বেকারত্বের কষ্ট আর আশার আলো
বর্তমান আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা শোচনীয়। একটি জরিপে দেখা গেছে এবং আমাদের এই দেশে বর্তমানে এক কোটিরও বেশি সংখ্যক যুবক-যুবতী যারা গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করেছে তারা এখন পর্যন্ত বেকার হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত কোন চাকরি কিংবা ব্যবসার সাথে যুক্ত হতে পারেনি। এই বিপুল জনসংখ্যা একটি হতাশার গল্প শোনায় যে হতাশা আমরা কখনোই কেটে উঠতে পারি না। কেউ কেউ আবার নিজের উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করে।
আবার যাদের পরিবারিক তেমন কোন সামর্থ্য নেই ব্যবসা করার জন্য। তারা প্রতিনিয়তনি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য ছোট থেকে ছোট কাজও করে যাচ্ছে। এমন মানুষও আমি অনেক দেখেছি এই সমাজে। নিজের পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য একটি গ্রাজুয়েট ছেলে কত নিচু লেভেলের কাজ করতে পারে সেটা আমাদের এই সমাজ শিখায়। যদিও আমাদের এই সমাজ এটাও শিখায় কোন কাজেই ছোট নয় প্রত্যেকটা কাজেই একটি সম্মান রয়েছে কিন্তু তারপরও আমি একটি বিষয় বলছি যে ছেলেটা প্রায় জীবনের ২০ টা বছর দিয়ে পড়াশোনা করে গ্রাজুয়েট করছে এই সমাজ কিন্তু তাকে কোন চাকরি ক্ষেত্রে তৈরি করে দিতে পারছে না।
তবে কথায় আছে যে মানুষটার অদম্য চেষ্টা রয়েছে তারা কোনো না কোনো পথ বেছে নেয়। এবং সেই পথেই কাজ করতে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে বর্তমানে বাংলাদেশে উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেই কোন কিছু করার চেষ্টা করছে। এতে করে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার দিন দিন কমছে। যদিও এর পরিমাণ অনেকটাই নগণ্য তবে কোন কিছু শুরু হলে অবশ্যই সেটা একে অপরের প্রতি প্রভাব ফেলে এবং এই বিষয়টা আমি মনেপ্রাণী বিশ্বাস করি। তাই আমি মনে করি কোন না বোন কাজ করা উচিত এবং নিজেদেরকে কাজে ব্যস্ত রাখা দরকার।


Postda gorə təsəkkurlər