রেসিপি পোস্ট :মাছের ঝোল রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৩০শে নভেম্বর, শনিবার , ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি যে খুব ভালো রান্না করতে পারি এমনটা না। তবে আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। এই মাছগুলো নাম আমি জানিনা। কেউ জানলে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি কেমন হয়েছে আপনারা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মাছ | ছয়টি |
২ | কাঁচা মরিচ | সাতটি |
৩ | ঝালের গুড়া | তিন টেবিল চামচ |
৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | জিরা গুঁড়া | হাফ টেবিল চামচ |
৭ | তেল | পরিমাণ মতো |
৮ | জিরা | এক টেবিল চামচ |
৯ | চিনি | এক টেবিল চামচ |
১০ | আলু | একটি |
১১ | বেগুন | একটি |
১২ | কচু | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে মাছ গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর আলু,বেগুন এবং কচু কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর মাছ এবং সবজিগুলোতে ভালো করে লবন হলুদ মেখে নিতে হবে।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তারপর মাছগুলো ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-২
মাছগুলো ভেজে উঠিয়ে নেওয়ার পর।কড়াই এর সামান্য তেল দিয়ে বেগুন ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর আলু এবং কচু সাথে একটু সময় নিয়ে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪
তারপর সবজিগুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
বেশ কিছুক্ষণ সময় জ্বাল করে আলু এবং কচু সেদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
তারপর ঝোলের মধ্যে ভেজে রাখা বেগুন এবং মাছগুলো দিয়ে নিয়েছি। এভাবে কিছুক্ষণ জ্বাল করে নিবো।তারপর একটি পাত্রে ঢেলে নিবো।
ধাপ-৭
তারপর কড়াই সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে জিরে ফোড়ন দিয়ে নিবো
ধাপ-৮
তারপর ঝোলের উপরে জিরে গুঁড়া দিয়ে নিয়েছি। ভালোভাবে নেড়ে আরেকটু ঝড় শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে নিয়েছি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি রান্নাটি পরিবেশন করে নিয়েছি। এটাই ছিলো আমার আজকের মাছ রান্না।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আমি ম্যান্ডেটরি টাস্ক কমপ্লিট করার পরে স্ক্রিনশট নিয়েছি।
মাছের এরকম ঝোল রেসিপি খেতে সত্যি অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি তৈরি বর্ণনাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে এমনিতেই যেকোনো মাছ ঝোল করে রান্না করে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু এখন হতে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন এই টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে হবে এবং কমেন্টে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
ছোট ছোট মাছের এমন ঝোল প্রতিদিন চলার পথে নিত্য সঙ্গী আমাদের। এমন ঝোল না হলে যেন মধ্যাহ্ন ভোজ কমপ্লিট হয় না। দারুন সুন্দর হবে আপনি তার রেসিপিটি শেয়ার করলেন বোন। বাঙালি চিরকালীন প্রিয় খাবার মাছের ঝোল। রেসিপিটি দেখেই মনে হচ্ছে রান্নাটি খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
আপু মাছের নাম টি আমাদের মাঝে শেয়ার করলে ভালো হতো। আপনার তৈরি করা মাছের ঝোল রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আলু দিয়ে যে কোন ধরনের মাছের রেসিপি তৈরি করলে একটু বেশি মজাদার হয়।
আমি উপরে লিখে দিয়েছি ভাইয়া মাছের নাম আমি জানিনা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এভাবে মাছের ঝোল খুব কম খাওয়া হয় আমাদের বাসায়। আপনি খুব সুস্বাদু ভাবে মাছগুলো রান্না করেছেন। আপনার রেসিপিটা বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। খুব সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়ই। বিভিন্ন রকম সবজি দিয়েছেন। ভিন্ন ধরনের রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। এভাবে মাছ রান্না করলে কিন্তু খুবই ভালো লাগে খেতে। আপনার মাছ রান্না টা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো আপু। রান্নাটা অসাধারণভাবে সম্পন্ন করেছেন।
মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপে শেয়ার করার জন্য রেসিপিটা তৈরি করা শিখে নিলাম।
আলু বেগুন ও কচুর মুখী দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে মাছের রেসিপি করেছেন। এরকম রেসিপি গুলো খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে।আপনার রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।