আসসালামু আলাইকুম/🌺
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের স্বপ্ন থাকে পরিবারকে সাথে নিয়ে আনন্দময় ঈদ উল্লাসে মেতে উঠবে। আর পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে নিজের টাকায় ঈদের উপহার দেবে। আসলে ঈদের উপহার দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো লাগার কাজ করে। আর এই ভালোলাগা যেন আর কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিবারের সকলকে আমাদের নিজের টাকায় উপহার দেওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু আমরা এই উপহার সবাইকে দিতে পারি না। যদি সবাইকে দিতে পারি তাহলে আমাদের যখন চাকরি হবে তখন সেই টাকা দিয়ে দিতে পারি। কিন্তু এই চাকরি পাওয়ার পরে আমাদের প্রিয় মানুষগুলো আর এই পৃথিবীতে থাকে না। তখন আমাদের টাকা থাকে কিন্তু প্রিয় মানুষ গুলো থাকে না।তখন যেন মনের ভিতরে সবচাইতে বেশি কষ্ট হয়, কারণ এই প্রিয় মানুষগুলোকে কিছু না দেওয়ার কষ্ট যেন তিলে তিলে শেষ করে দেয়। আর আমারও অনেক স্বপ্ন ছিল, আমার নিজের টাকা দিয়ে পরিবারের সকলকে আমি একটা সপ্নময় ঈদ উপহার দেবো। সকলকে আমার নিজের টাকা দিয়ে উপহার দেবো। সেটা আমার জীবনের যেন অন্যরকম একটা চাওয়া ছিলো।
আমি পরিবারের ছোট সন্তান। যার কারণে পরিবারের কোনো চাপ আমার উপর ছিল না। বাবা-মা ভাই-বোনেরা আমাকে প্রতিবারই ঈদে উপহার দিত এবং এই উপহার পেয়ে ভালোই লাগতো। আসলে উপহার পাওয়ার পরে যে কতটা ভালো লাগে সেটা আমি খুব ভালোভাবে জানি মতাই আমিও ভাবতাম আমার যতটা ভালো লাগে, আমি যদি কাউকে উপহার দেই তাহলে তারও ঠিক ততটাই ভালো লাগবে। যার কারণে আমি প্রতিবারই গিফট নিতাম এবং আমি ভাবতাম আমিও একদিন পরিবারের সকলকেই ঈদের উপহার দেবো। তাদেরকে চমকে দেব। তাই আমার বাংলা ব্লগে যখন আমি কাজ করেছি তখন থেকেই আমার মনের ভিতর এই পরিকল্পনা ছিল।তখন থেকেই ভেবেছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করে আমি আমার স্বপ্নময় ঈদের পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করবো। আসলে দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমিউনিটির সদস্য আমাকে করিয়েছে এবং এডমিন মডারেদের অসংখ্য ধন্যবাদ যাদের গাইড লাইন পেয়ে এত সুন্দর একটি কমিউনিটিতে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।আর যে মানুষটির কথা না বললে নয়। সে হলো
@nevlu123 ভাই।যার কারণে আজ আমি স্টিমেট প্লাটফর্ম এত বড় একটা পজিশনে নিজেকে দাঁড় করতে পেরেছি। তাই স্বপ্নময় ঈদ পালনের জন্য আমি আমার স্টিম কিছু কিছু করে জমিয়ে এই স্বপ্নময় ঈদ পালন করতে পারছি। আসলে কারো কারো স্বপ্ন থাকে মোটরসাইকেল, মোবাইল কিনবে, কিন্তু আমার প্রথম স্বপ্ন ছিল আমি আগে স্বপ্নময় ঈদ পালন করব, তারপরে বাকি স্বপ্নগুলো পূরণ করব।আর এই স্বপ্নময় ঈদ এবার পালন করতে পারব বলেই, ঈদের আগেই স্টিম এর দাম বেড়ে গিয়েছিল। আর যখনই দাম বেড়ে গিয়েছিল, তখনই আমি ৩০ হাজার টাকার স্টিম বিক্রি করে দেই এবং এই ৩০ হাজার টাকা দিয়ে আমি ভেবেছিলাম এবার সকলের জন্যই ঈদের কেনাকাটা করবো।
আসলে বাবারা অন্যরকম, প্রত্যেকটা বাবাই যেন নিজের কোন চাহিদা থাকে না। আমার বাবাও ঠিক তেমনিম ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি বাবা কোন ঈদেই আগে জামা কাপড় নিতেন না। পরিবারের সকলকে জন্য কিনতেন এবং আমাদের জন্য কিনতেন। তারপরে টাকা থাকলে বাবা কিনতে, না হলে কিনতেন না। আসলে গত রোজার ঈদে আমার বড় ভাই বাবাকে একটা জুতা কিনে দিয়েছিল। সেই জুতার এবারও ঈদ পরবে। বাবাকে বললাম এবার একটা জুতা কিনতে হবে। বলল যে আমার নতুন জুতাই রয়েছে। এক বছর আগে জুতা সেটা নাকি নতুন। যার কারণে এবার আমি ভেবেছি, এবার আমি স্বপ্নময় ঈদের প্রথমে আমি মার্কেটে গিয়ে বাবার জন্য একটা দামি জুতা কিনব। যার কারণে আমি প্রথমে বাটা শোরুমে আসি এবং বাবার জন্য জুতা খুঁজতে থাকি।
খুঁজতে খুঁজতে একটা জুতা আমার খুবই পছন্দ হয়। আসলে এই জুতার কালারটা বাবা খুবই পছন্দ করে। যার কারণে এই জুতাটা আমি দেখলাম, জুতাটির দাম ছিল ১৯৯৯ টাকা। মানে ২০০০টাকা। আর এই জুতাটি আমার কাছে অনেকটাই ভালো লেগেছে। যার কারণে বাবার জন্য এই জুতাটা কিনলাম এবং মার জন্য একটা চটি বাটার জুতা কিনলাম। এটার দাম কমই ছিল ৮০০ টাকা ছিল।
বাবা মার জন্য জুতা কিনলাম, আর এই জুতা যখন বাবা মাকে দেবো তখন তো আমাকে বকা দেবেই। কারণ এর আগে আমি যখনই কিছু না কিছু কিনে নিয়ে গিয়েছি। তখন আমাকে বকা দিয়েছে, যে তোর কিসের জন্য কিনতে হবে। তোর পড়াশোনাতে অনেক টাকা খরচ হয়। আমাদের কিছু দিতে হবে না। এবার তোর জুতা কিনলাম। জানিনা কতটা বকা দিবে।আমি কিনেছি কি না আমার খোঁজ তো নিবেই।তাই আমিও বাটা শোরুম থেকে একটা জুতা কিনলাম। তবে আমার জুতার দাম,কম ছিল, এক হাজার টাকা। কারণ বাবারা সবসময় কম দামি জিনিস পড়তো। আমিও তাদের এবার অনুভূতি অনুভব করার জন্য সেটাই করলাম।
আমার বাবা যেহেতু জুব্বা পরে। যার কারণে আমি জুব্বার কাপড় কেনার জন্য পাঞ্জাবির কাপড়ের দোকানে আসলাম। সেখান থেকে ভালো মানের একটি জুব্বার কাপড় আমি পছন্দ করলাম। আর এই কাপড় ৬০০ টাকা গজের ছিল। বাবার পনে চারগজ লাগে তাই আমি কিনলাম।তারপর কাপড় কিনে একটি ভালো মানের টেইলার্সে এই জুব্বা বানাতে দিলাম। আমার বাবার জব্বার মাপ আমার আগে থেকে জানা ছিল। যার কারণে বাবাকে আর জানানো প্রয়োজন হয়নি।সারপ্রাইজটাও দেওয়া হবে।
তারপরে আমি একটা ব্যান্ডের দোকানে আসলাম। সেখানে এসে আমি তিনটা শাড়ি কিনব। আমার আম্মার জন্য এবং আমার বড় আপু ও ছোট আপুর জন্য। কারণ প্রতিবছরই বড় আপু এবং ছোট আপু আমাকে কিছু না কিছু ঈদের উপহার দিত। আর এবার আমি তাদেরকে উপহার দিয়ে চমকে দেবো মযার কারণে আমার আম্মা ও আমার আপুদের জন্য আমি তিনটা শাড়ি কিনলাম মতিনটা শাড়ি মোটামুটি আট হাজার টাকার মধ্যে হয়ে গিয়েছিল।
তারপরে আমি আমার ছোট বোনের জন্য জামা কিনতে আসলাম। আসলে ছোট বোন অনেকবার বলেছে ভাইয়া কবে চাকরি করবে, কবে আমাকে ঈদের উপহার দেবে। এটা কথা ছোট বোন মুখে অনেক বার শুনেছি। তাই ছোট বোনকে এবার চমকে দেওয়ার জন্যই ওর জন্য একটা জামা ও একটা বোরকা কিনলাম। ওর জন্য আমি বাজেট করেছিলাম পাঁচ হাজার টাকা। মোটামুটি ৫০০০ এর একটু বেশি লেগেছে, ৬০০০ টাকার মধ্যে ওর একটা বোরখা ও জামা কেনা হয়ে গিয়েছিল।
তারপর আমি আমার কেনাকাটার জন্য আমার পছন্দের বিগবাস শপিংমলে আসলাম। সেখান থেকে আমি একটা প্যান্ট ও একটা শার্ট কিনলাম। তবে একটা প্যান্ট শার্ট ও গেন্জি আমার মোটামুটি চার হাজার টাকার মধ্যে হয়ে গেছে। আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে আমার জামা কাপড় এবার ঈদে প্রথম কিনলাম।
তারপর দর্জিবাড়ি শপিংমলে আসলাম। সেখানে অনেক ভালো ভালো পাঞ্জাবী পাওয়া যায়। যার কারণে আমি আমার বোনের জামাইদের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। মানে আমার দুলাভাইদের জন্য।দুলাভাইরা আমাকে অনেকবারই গিফট দিয়েছে। তবে আজকে তাদের আমি ধারণা পাল্টে দিব। তাদের যেন অনুভূতি অন্যরকম হয়।শালা হয়ে দুলাভাইকে গিফট করেছে। এটা আমার কাছে একটা অনেক বড় পাওয়া হবে। তাই আমি দুলাভাইদের জন্য শপিং করতে এসেছি। আর দুলাভাইদের জন্য আমি দুটি পাঞ্জাবি নিয়েছি, দুটি পাঞ্জাবী চার হাজার টাকার মধ্যে হয়ে গেছে।
তারপরে আমি আমার বড় ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে আসলাম। আসলে বড় ভাইকে কোনদিনও কিছু গিফট করা হয়নি। বড় ভাই আমাকে অনেক কিছু গিফট করেছে। বাবার পরে বড় ভাই যেন আমাদের আগলে রেখেছে। সেই বড় ভাইকে গিফট করার জন্য আমি ভালো মানের একটি পাঞ্জাবির দোকানে আসলাম। সেখান থেকে ৩৯০০ টাকা দিয়ে একটি পাঞ্জাবি কিনলাম, টুপিওসহ কিনলাম।
তারপরে আমি নিজে পাঞ্জাবি কিনার জন্য একটি দোকানে আসলাম। এই দোকানে আমার খুবই পরিচিত, এখান থেকে আমি অনেক পাঞ্জাবি কিনেছি। তাই সেখান থেকে আমি একটি পাঞ্জাবী কিনলাম। তবে আমার পাঞ্জাবির দাম ১৬০০ টাকা নিয়েছিল। আসলে আমি খুব দামী জিনিস পছন্দ করি না। আমি মনে করি অল্প দামের মধ্যে জিনিস নিলে ভালো হবে। তবে আমি অল্প দামে জিনিস কিনলেও আমার আত্মীয়-স্বজনদের এবার আমি দামি জিনিস দিয়েছি। যাতে তারা মনে করে গিফট দেওয়া জিনিস কম দামে দেইনি।
আসলে এই মার্কেট করতে আমার তিন চার দিন লেগেছেম অনেকের জন্য জিনিস কিনেছি এবং ঘুরে ঘুরে জিনিস কিনে নিয়েছিম যার কারণে সময় বেশি লেগেছে এবং মোটামুটি আমার মার্কেট শেষম তারপরে আমি একটি দোকানে বসে ভাবতেছিলাম আর কার জন্য কি কেনা যায়। ভাবতে ভাবতে মনে হল ছোট বাচ্চারা অনেকেই রয়েছে। আমার আত্মীয়-স্বজনের ভিতর। যার কারণে ওদেরকে কিছু দিতে হবে। বিশেষ করে আমার ভাগিনা ভাগ্নি রয়েছে মবোন এবং ভাইয়ের ছেলে মেয়েরা রয়েছে। কিন্তু ছোট বাচ্চাদের জিনিস তো আমি কিনতে পারবো না। যার কারণে ছোট বাচ্চারা যতগুলো রয়েছে, ওদেরকে আমি এক হাজার টাকার একটা বাজেট করলাম। সবাইকে এক হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেব। এটাই ভালো হবে কারণ ছোটদের জিনিস কেনা কষ্টে আমি মনে করি।
এই সকল মার্কেটগুলো করে আমি আমার রুমে রেখে দিয়েছি। এগুলো আমি ঈদের আগের দিন রাতে সবাইকে দিয়ে দেব। এবং তাদেরকে সারপ্রাইজ দিবো। তারাও তো কখনোই ভাবেনি আমি তাদেরকে এবার এত বড় একটা সারপ্রাইজ দিতে পারবো। তাই আমার মনের ভিতর অনেক আনন্দ এবং অনেক ভালো লাগছে। আসলে কাউকে গিফট দেওয়ার মধ্যে যে এতটা ভালো লাগা কাজ করে সেটা আমি কখনোই কল্পনা করিনি। আর এবার আমি সেই কল্পনাটা উপভোগ করতে পারছি। আসলে পরিবারের সকলকে যখন ঈদের মার্কেট করে দেওয়া হয়, তখন নিজের কাছে অনেকটাই শান্তি এবং প্রশান্তি লাগে। আর এই অনুভূতি যেন আমি এবার উপভোগ করতে পারছি। তাই আমার মনের ভিতরে অনেক শান্তি এবং অনেক আনন্দ হচ্ছে। যখন আমি এই গিফট গুলো তাদের হাতে দেবো, তার হাতে দেওয়ার পরে আমার আরো বেশি ভালো লাগবে এবং তারা যখন হাতে পাবে তারও আনন্দিত হবে ও অবাক হবর।সেই দৃশ্য আমি চোখ বুজেই কল্পনা করতে পারছি। বিশেষ করে আমার বাবা-মা হয়তো তখন বলবে যে তুই কিসের জন্য কিনে দিয়েছিস, কিন্তু মনে মনে বলবে আমার ছেলে আজ বড় হয়েছে, আমার ছেলে নিজের টাকায় জিনিস কিনে দিয়েছে। আসলে বাবা মনে মনে যে কতটা আনন্দ হবে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।সকলের জন্য গিফট কিনতে পেরে যে শান্তি পাচ্ছি এই শান্তি আর কোথাও খুঁজে পাবো না।
স্থান:সিরাজগঞ্জ ,বাংলাদেশ।
ক্যামেরা.মডেল - Note 6 Pro
অবস্থান
৩০ হাজার টাকার মধ্যে ২৭ হাজার টাকা আমার সকলের জন্য মার্কেট করার মাধ্যমে শেষ হয়ে গিয়েছে। আসলে সবার জন্য গিফট কিনেছি,তাই আমার ২৭,০০০ টাকা ব্যয় হয়েছে। আর তিন হাজার টাকা রয়েছে, সেখান থেকে আমি কিছু টাকার নতুন নোট নেব। নোট নিয়ে এগুলো আমি ঈদের দিন আমার বাড়ির আশেপাশে বাচ্চাদেরকে আমি গিফট করবো। আসলে কাউকে গিফট করার মধ্যে যে এতটা আনন্দ এবং এতটা প্রশান্তি পাওয়া যায়, সেটা আমি এবার ঠিকই বুঝতে পারছি। আর আমার স্বপ্ন ঈদ বাস্তবায়নে আমার বাংলা ব্লগের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমি এই স্বপ্নময় ঈদ পালন করতে পারছি। তাই বাংলা ব্লগে এডমিন, মডারেটর এবং বিশেষ করে বড় দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।যার কারণেই এখান থেকে আমি আমার স্বপ্নময় ঈদ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। এভাবেই আমার বাংলা ব্লগ আমাদের সবার স্বপ্ন পূরণ করে দেবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি ঈদ মোবারক।🙏🤲🙏
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
Posted using SteemPro Mobile
পরিবারের ছোট ছেলে হওয়াই আপনার উপর হয়তো কোন প্রেসার ছিল না কিন্তু একটা ইচ্ছা ছিল সবাইকে ঈদে এইরকম উপহার দিতে। এখন সেটা পূরণ করতে পেরেছেন। একটা কথা ঠিক আমাদের যখন সক্ষমতা হয় তখন আমাদের প্রিয় মানুষ গুলো আর পৃথিবীতে থাকে না। বাবার জন্য জুতা জুব্বার কাপড় অন্য অন্যদের জন্য কেনাকাটা টা ভালোই করেছেন ভাই। দেখে বেশ ভালো লাগল। স্টিমিট আমাদের জীবনে বেশ ভালো একটা অবদান রেখেছে।
আসলে ভাই টাকা এক সময় শেষ হয়ে যাবে। তবে প্রিয়জনদের ভালোবাসা প্রিয়জনদের খুশি করার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। এগুলো যেন স্মৃতি হিসেবে রয়ে যায়, আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে নিজের টাকার থেকে কাউকে কিছু গিফট করতে পারলে এর থেকে আনন্দ আর কিছুই নেই। আপনি স্টিমেট এর টাকা থেকে সবার জন্য ঈদের মার্কেটিং করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনি ৩০০০ টাকা করে নিবেন।আর ঈদের সময় নতুন টাকার নোট ঈদের সালামি পেলে বাচ্চারা খুব খুশি হয়। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপু কাউকে গিফট করার মধ্যে যে আনন্দ, এই আনন্দটা সত্যিই অসাধারণ, মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
এ বছর আপনি আপনার স্টিমেট এর ইনকামের টাকা দিয়ে ঈদ মার্কেট করেছেন। এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে নিজের কোন স্বপ্ন পূরণ করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার কেনাকাটা করার পাশাপাশি আপনার পরিবারের সদস্যদের ও কিছু কেনাকাটা করেছেন। এটা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।
প্রিয়জনদের উপহার দেওয়ার মধ্যে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। আমার খুবই ভালো লেগেছে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জীবনের সেরা অর্জন বলতে আমার বাংলা ব্লগ। আমিও ভাই আমার পরিবারের জন্য মার্কেট করেছি। আপনি ৩০ হাজার টাকা বাজেট রেখেছেন। আমারও দেখতে দেখতে বিশ হাজার টাকা ফুরিয়ে গেছে। এই ফুরানোর মধ্যে অনেক প্রশান্তি। আসলেই নিজে না নিয়ে অন্যকে দেয়ার মধ্যে অনেক প্রশান্তি কাজ করে। আপনি বাবা-মার এবং সবার জন্য মার্কেট করেছেন। দেখে ভীষণ ভালো লাগতেছে।সব থেকে ভালো লাগতেছে কোয়ালিটি ফুল জিনিসগুলো কিনেছেন। আসলে বাবা-মা চায় তার ছেলে যেন সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে। বাবা-মা অনেক সময় নিতে চায় না। আশা করি আপনি বাকি জীবনটা সবার মুখে হাসি ফুটাতে পারবেন।
আসলে ভাই কিনতে কিনতে কখন যে টাকা শেষ হয়ে গেল, তারপরে খুবই ভালো লেগেছে, কারণ প্রিয়জনদের অনেক দিন পর গিফট দিতে পেরেছি।
https://twitter.com/rayhan111s/status/1777172952754397522?t=8SwBJe6IWOZJedrGP10GwQ&s=19
আপনি আপনার স্বপ্নময় ঈদ বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই প্লাটফর্মে কাজ করার কারণে অনেকেই নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতেছে। আর আপনি তো আপনার ফ্যামিলির প্রত্যেকটা সদস্যের জন্য নিজের টাকা দিয়ে গিফট কিনেছেন শুনে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনার ফ্যামিলির প্রত্যেকটা সদস্যের আপনার কেনা গিফট গুলো অনেক বেশি পছন্দ হবে। স্টিমের দাম বাড়ার কারণেই এগুলো কিনতে পেরেছিলেন। সবার জন্য কেনাকাটার মুহূর্তটা এত সুন্দর করে করে নিয়েছেন দেখেই ভালো লেগেছে।
আসলে ভাই এটা আমর অনেক স্বপ্ন ছিল। এভাবে একটা ঈদ করব, আর সেই ঈদ আমার পূরণ হলো এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে, আপনার মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ।
আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিলো কারন আপনার মতো আমার ও ইচ্ছে আমার একান্ত নিজের টাকা দিয়ে সবাইকে কিছু সারপ্রাইজ গিফট করবো।আপনি পেরেছেন আপনার আনন্দ আমিও যেনো উপলব্ধি করতে পারছি।আসলে পরিবারের সবাইকে গিফট দিতে ও গিফট পেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার কেনাকাটা গুলো দারুন হয়েছে। বাচ্চাদের জিনিস কেনা খুব কষ্টেরই।টাকা দিয়ে ভালো ই করবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু এরকম ভাবে ঈদ পালন করার ইচ্ছা আমার অনেক আগে থেকে ছিল। অবশেষে ইচ্ছাটা পূরণ হলো। আসলে নিজের টাকা দিয়ে প্রিয়জনদের উপহার দেওয়ার মধ্যে অনেক শান্তি কাজ করে। যাই হোক আপনার মন্তব্য করে ভালো লাগলো।
নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে পারলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আপনি স্টিম বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন এবং ২৭,০০০ টাকা দিয়ে সবার জন্য শপিং করেছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো শপিং করতে আসলেই অনেক সময় লাগে। আশা করি সবাই খুব পছন্দ করবে সবকিছু। কারণ প্রতিটি জিনিস খুব সুন্দর হয়েছে। এভাবেই একের পর এক স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবেন, সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাই প্রিয়জনদের জন্য কিছু করতে পারলে অনেক ভালোলাগা কাজ করে। মনে যেন শান্তি লাগে। আর এই শান্তি আমি উপভোগ করতে পেরেছি, আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।