আমার বাড়ির আঙিনায় আমার শীতকালীন সবজি বাগান
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ২০ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন, যে বর্তমান সময়ে সকল ধরনের সবজি থেকে শুরু করে সর্ব স্তরের জিনিস পত্রের দাম অনেক টা বৃদ্ধি পেয়েছে।আর এতো পরিমাণ দাম দিয়ে জিনিস পত্র কিনে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে গ্ৰামের কৃষকেরা এই দিক থেকে একটু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেননা, কৃষকেরা বর্তমান সময়ে ঠিক ভাবে জিনিস পত্র কিনে খেতে পারছেন না। যারা একটু সচল, ভালো রকমের ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চাকরি করেন, তারা হয়তো কিছু টা খেতে পারছেন।আর বাকিরা সবাই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে এমন সমস্যার ভুগছি।আমি আশা করছি আমরা খুবই তাড়াতাড়ি এমন সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো ।
যেহেতু, শাক সবজি এবং নৃত্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পর্ণ্য দ্রব্যের মূল্য অনেক টা পেয়েছে, তাই আমি আমার আম্মু সহ আমাদের বাসায় একটি শীতকালীন সবজি বাগান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।আর যেহেতু শীতকালে আমাদের কে একটু বেশি সবজি খেতে হয়, তাই আমাদের এই উদ্যোগ টি নেয়া হয়েছিল।আর আমাদের বাসার আঙ্গিনায় বিশাল বড় একটি জায়গা পড়ে ছিল।তাই আমি বাজার থেকে লাউ এবং শিমের বীজ সংগ্রহ করছিলাম।আর গ্ৰামের মানুষেরা শীতকালে বেশিরভাগ সময় শীতকালীন সবজি খেতে বেশি পছন্দ করতেন। যাইহোক, আমি বাজার থেকে লাউ এবং শিমের বীজ সংগ্রহ করলাম। তবে, সবজি বীজের দাম খুবই কম।
আমি বাসায় এসে আমার আম্মু সহ আমাদের আঙ্গিনায় একটি জায়গা নির্বাচন করলাম। আমাদের আঙ্গিনায় প্রায় পাঁচ শতক জমি পড়ে রয়েছে। আমরা প্রায় এক শতক জমি সবজি চাষের জন্য তৈরি করে নিলাম।আমি পুরো জায়গা টুকু কোদাল দিয়ে চাষ করছিলাম। যেহেতু পুরো জায়গার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করবো, তাই পুরো জায়গা টি চাষ করে নিয়েছিলাম। এরপর আমরা এই জায়গার এক পাশে লাউয়ের বীজ গুলো লাগিয়ে নিলাম এবং অপর দিকে শিমের বীজ গুলো জমির অন্য দিকে লাগিয়ে নিলাম। এরপর আমি পুরো জায়গা টির মাটি গুলো সমান করে নিলাম এবং বেশ কিছু সার প্রয়োগ করলাম। যেহেতু এর আগে এই জায়গার মধ্যে এর আগে সবজি চাষ করা হয়নি, তাই সার প্রয়োগ করছিলাম।
বেশ কিছুদিন পর আমাদের শিমের বীজ এবং লাউয়ের বীজ গজানো শুরু হয়। এরপর আমরা বেশ কয়েকটি বাশ এবং পাটের সিন্ডা দিয়ে বড় আকারে একটি জাঙ্গি তৈরি করলাম।পুরো জাঙ্গি টি খুবই সুন্দর করে সাজিয়েছিলাম।যাতে করে এই জাঙ্গির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সবজি চাষ করা হয়। ধীরে ধীরে আমার সবজি বাগানের গাছ গুলো জাঙ্গির উপরে উঠে এবং ফুল বের হয়। সেই ফুল থেকেই সব্জি ও বের হয়ে যায়। আমরা গতকাল এই সবজি বাগান থেকে একটি লাউ পেড়ে রান্না করছিলাম।নিজ বাগান থেকে চাষ করা লাউ খেতে বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে।লাউ বাগানের মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি লাউ রয়েছে, আমরা ধীরে ধীরে সেই লাউ গুলো খাওয়ার চেষ্টা করবো এবং সেই সাথে আমাদের আশেপাশের মানুষ কে ও দেয়া যাবে।পুরো শীতকাল জুড়ে আমরা এই শীতকালীন সবজি গুলো খেতে পারবো।
তবে, আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সবজি বাগানের শিম খেতে পারিনি। সবেমাত্র শিমের ফুল বের হয়েছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমার আমাদের সবজি বাগান থেকে শিম সংগ্রহ করে খেতে পারবো। আপনারা চাইলে আপনাদের বাড়ির আশেপাশের ফাঁকা জায়গা গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পারেন।এতে করে বাজার খরচের টাকা কিছু টা কমিয়ে আসবে।আমি আবার নতুন একটি সবজি বাগান দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছি, আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি দিতে পারবো। আমার এই উদ্যোগ টি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
ভাই এত সুন্দর লাউ শাক দেখে মনে হচ্ছে সরিষা বাটা দিয়ে খাই। আসলে বড়ির গাছের ফল সবজির স্বাদ কেনা সবজির থেকে আলাদা। আপনার সবজি বাগান আমার অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাড়িতে যদি ফাঁকা জায়গা থাকে, যথেষ্ট রোদ আসে, তবে সে জায়গা ফেলে না রেখে সেখানে বিভিন্ন শাক/ সবজি চাষ করাই ভালো ভাই। নিজেদের চাহিদাও যেমন মিটে, তেমনি বাজারের উপর ও চাপ কমে। আবার ভেজালমুক্ত সতেজ শাক/সবজি খাওয়া যায়! আপনার বাগানের গল্প পড়ে ভালো লাগলো। আশা করছি লাউ এর মতো সীম ও অনেক দিন ধরে খেতে পারবেন। শুভকামনা রইলো।
আরে বাহ বেশ সুন্দর তো সিম আর লাউ গাছ উঠেছে। বাড়ির আঙিনায় এরকম ছোটখাটো সবজির বাগান থাকলে অর্গানিক খাবার দাবার খাওয়া যায়। আমিও লাউ গাছ লাগিয়েছি ছোট্ট ছোট্ট বেরিয়েছে। তবে তা টবে।
নিজেদের বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। বাহ্ এটা শুনে খুব ভালো লাগলো যে নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি আশেপাশের মানুষজনদেরও দিবেন। শিমের ফুল আসা শুরু করেছে কিছুদিনের ভিতরেই খেতে পারবেন। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাড়ির আশেপাশে এরকম খালি জায়গা গুলোতে সবজি বাগান থাকলে ভালোই হয়। বিভিন্ন রকম সবজি লাগিয়েছেন। শীতকালীন সবজিগুলো খাওয়ার মজাটাই আলাদা। খুব সুন্দর লাউ ধরেছে আর শিমের ফুল বের হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই শিম হবে। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে।
আপনার সংগ্রহ করা লাউ এবং সিমের বীজ থেকে তো দারুণ সুন্দর গাছ তৈরি হয়েছে। গাছগুলি অনেক বড় হয়েছে বলে দেখতে সুন্দর লাগছে। দারুন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। আপনার সবজি বাগান কিন্তু খুব সুন্দর।
দ্রব মূলের ও সবজির দাম দিন দিন বেড়েই চলছে আর আমরা যদি সকলেই আপনার মতো সবজি বাগান করি তাহলে অনেকটা সাশ্রয় হয়।আপনার উঠানে লাগানো লাউ ও শিম গাছ দারুণ হয়েছে ভাইয়া।শিমের ফুলও কচি ছোট্ট লাউটি দেখে মুগ্ধ হলাম।শিম যখন একবার ধরা শুরু করবে তখন আর খেয়ে শেষ করতে পারবেন না কারণ শিম প্রচুর ধরে।বেশ ভালো লাগলো আপনার চমৎকার সুন্দর লাউও শিম গাছ গুলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
আসলে আমারও এই ধরনের চিন্তাভাবনা থাকে যে বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের সবজি গাছের চাষ করব। কিন্তু সময়ের কারণে সেই জিনিসটা আর হয়ে উঠছে না এবং শহর এলাকায় এখন একটু ফাঁকা জমি পাওয়া বড়ই কঠিন। এত সুন্দর একটা আঙিনা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।