আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -১০
গতকালের পোস্টে বলেছিলাম যে পাহাড়ের একদম মাথায় একটি মিউজিয়াম আছে । এই মিউজিয়ামে হিমালয়ান বন্যপ্রাণ এর বহু স্টাফ করা শরীর সংরক্ষিত আছে । ভেতর ফোটো তুলতে দিতে চায় না । তাও আমি প্রায় তিরিশটার মতো ফটো তুলেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই সব ফটোগ্রাফ শেয়ার করতে চলেছি ।
এই মিউজিয়ামটি একদমই ছোট্ট । কলকাতার মিউজিয়াম দেখার পরে এটা দেখতে মন চাইবে না । কিন্তু, কলকাতার মিউজিয়ামে যা নেই, এখানে কিন্তু তা আছে । কলকাতার মিউজিয়াম হলো সব কিছুর মিউজিয়ম । আর এটি হলো শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী মিউজিয়াম । আরো একটি বিশেষত্ব আছে এই মিউজিয়ামের । এটি হলো কেবলমাত্র হিমালয়ের পাদদেশ ও তৎসংলগ্ন পর্বতশ্রেণীর জঙ্গলে পাওয়া যাবতীয় প্রাণীকুলের মিউজিয়াম ।
কলকাতার মিউজিয়ামে হিমালয়ের প্রাণীকুলের নিদর্শন বেশ কম । আর এখানে প্রাচুর্যতায় ভরপুর । প্রায় এক ঘন্টা ধরে ঘুরে ঘুরে দুই তলা বিশিষ্ট এই জুওলজিক্যাল মিউজিয়ামটি পর্যবেক্ষণ করেছিলাম । পাখি, মাছ, প্রজাপতি, উভচর, সরীসৃপ, বাঘ, চিতা বাঘ, বুনো মোষ আর অসংখ্য কীট পতঙ্গের স্টাফড নিদর্শনে ভরপুর এই মিউজিয়াম । তো চলুন দেখে নেওয়া যাক দার্জিলিং ভ্রমণের আমাদের আজকের এপিসোড নাম্বার টেন ।
এগুলো হলো সব হিমালয়ের পাদদেশের জঙ্গল তরাই এ পাওয়া পক্ষীকুল । তৃণভূমি, ঘন জঙ্গল, জলাভূমি, লেকের তীরবর্তী জঙ্গল, পাহাড়ি নদীর দুই তীরবর্তী অংশে এই সকল পাখি পাওয়া যায় ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ০০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই পাখিগুলো অনেকটা আমাদের দেশের পাতিহাঁসের মতো দেখতে । এরা আসলে পরিযায়ী পাখি । এদের অধিকাংশের বাস সাইবেরিয়ায় । ঠান্ডা দেশের পাখি এরা । শীতকালে যখন প্রচন্ড শীত পড়ে তখন এরা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তরাইয়ের ঘন এবং উষ্ণ জঙ্গলে এসে আস্তানা গাড়ে ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ১০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই পাখিগুলোর ছবি আলাদা করে দেয়ার একটা কমন কারণ আছে । এরা সবাই হলো শিকারী পাখি । এখানে চিল, বাজ, ঈগল, পেঁচা, কাক, শকুন, ধনেশ, ময়ূর প্রভৃতি পাখি আছে ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ২০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এগুলো হলো বিভিন্ন শ্রেণীর কীট পতঙ্গের সমাহার । এর মধ্যে আছে হরেক প্রজাতির প্রজাপতি, বিটলস, মথ, মাছি, মৌমাছি, ফড়িং, ঘাস ফড়িং প্রভৃতি ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
হিমালয়ের পাদদেশ ও তৎসংলগ্ন পর্বতশ্রেণীতে প্রচুর হ্রদ, নদ ও নদী আছে । এছাড়াও অসংখ্য ছোট বড় জলাশয় তো রয়েছেই । এই সব জলাশয়ে প্রাপ্ত কিছু মাছের নিদর্শন রয়েছে এই মিউজিয়ামে ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
হিমালয়ের জীববৈচিত্রে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ও কচ্ছপ রয়েছে । এদের মধ্যে কেউ সরীসৃপ আবার কেউ উভচর ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৫০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
তরাইয়ের ঘন জঙ্গলে বহু হিংস্র শ্বাপদ ও তৃণভোজী প্রাণী আছে । তাদের মধ্যে থেকে গুটি কয় নমুনা এখানে প্রদর্শিত হয়েছে ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ০০ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাঘ, মহিষ এর মাথা ও চামড়া ।
তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
প্রতিদিন ৫০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৩য় দিন (500 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 03)
সময়সীমা : ২২ নভেম্বর ২০২২ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত
তারিখ : ২৪ নভেম্বর ২০২২
টাস্ক ১২২ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 33b4845bdb532b3d3514649080249c3a994f949a09e2182c9ca10786f32b3e0b
টাস্ক ১২২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
RME, Thank You for sharing Your insights...AND photographs.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দেখে বোঝা যাচ্ছে দাদা মিউজিয়ামটি আকারে ছোট হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।যেসব পশুপাখি আমরা ছোট বেলায় দেখতাম।সেসব আদিকালের পশুপাখি গুলো এখন বর্তমানে দেখা যায় না বললে চলে তা এখানে দেখতে পাচ্ছি।মিউজিয়ামটি কলকাতার মিউজিয়ামের মত বড় না হলে ও কিন্তু বেশ মূল্যবান কিছু পশু পাখি সংরক্ষণ করা হয়েছে।ভালো লেগেছে দেখে ফটোগ্রাফি গুলো।
এই রকম মিউজিয়ামে যেতে আমার ভালোই লাগে,তার চেয়ে বেশি মজা পায় আমার ছেলে।দাদা আপনি ছবি তুললেন কেমনে,আচ্ছা ছবি তুলতে দেয় না কেন?।যাই ছোট হলেও অনেক গুলো ছবি তোলেছেন।অনেকগুলো প্রানী দেখতে পারলাম।ধন্যবাদ
দাদা প্রথমত সাপ গুলোকে দেখেই কেমন শরীর গুলিয়ে উঠলো,দেখতেই ভয় লাগে।না জানি কোনোদিন সামনাসামনি এলে কি যে অবস্থা হবে!ছোট হলেও অনেক কিছুই আছে।
বাহ্ কলিকাতার তুমি যে মতে ছোট হলেও এই এই মিউজিয়াম টিতে তো অনেক বর্ণ পশু পাখি রয়েছে। এজন্যই মনে হয় এই মিউজিয়ামটি শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী মিউজিয়াম । আবার এখানে কেবলমাত্র হিমালয়ের পাদদেশ ও তৎসংলগ্ন পর্বতশ্রেণীর জঙ্গলে পাওয়া যাবতীয় প্রাণীকুল পাওয়া যায়। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার শেয়ার করা মিউজিয়ামের ভেতরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। তবে সাপের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে একটু ভয় লেগেছে। হঠাৎ করে গায়ে একেবারে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। আসলে সাপ ভীষণ ভয় পাই আমি। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীগুলোকে দেখে ভালোই লাগলো। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং পশুপাখি গুলো দেখে ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জুওলজিকাল মিউজিয়ামে দেখছি প্রাণীকুলরে সমাহারে ভরপুর! বেশ কয়েকজাতের প্রানীকুলের ফটোগ্রাফ দেখতে পেলাম। দেখে একদম জীবন্ত মনে হচ্ছিল দাদা!
দাদা কলকাতা আর হিমালয়ের মিউজিয়ামে তো অনেক পার্থক্য আছে। হিমালয়ের মিউজিয়ামে ছবি তুলতে দেয়না তারপরও আপনি তিরিশটার মতো ছবি তুলেছেন। আপনার জন্য আমরা সবাই এত গুলো প্রাণীর ছবি দেখতে পেলাম। সাপ গুলোর ছবি আসার পরে আমি খুব তারাতারি দেখে ফেলেছি কারন সাপ আমার খুব ভয় লাগে। ধন্যবাদ দাদা।
Thank You for sharing...