মিনিয়েচার মডেল "সপ্তমাশ্চর্য ভ্রমণ", ইকো পার্কে : দ্বিতীয় আশ্চর্য "জর্ডনের পেত্রা নগরী"
কলকাতায় অবস্থিত ইকো পার্কে আমাদের দেখা সপ্তমাশ্চর্য-এর মধ্যে দ্বিতীয় আশ্চর্য "জর্ডনের পেত্রা নগরী" । এই মিনিয়েচার মডেলটি দেখে আমি তো পুরো হতবাক । অনেকটা সময় নিয়ে ঘুরে ঘুরে সব দেখেছি । বর্তমানের জর্ডনের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি শহর "ওয়াদি মুসা"-র একটি পাহাড়ের পাদদেশে এই প্রাচীন নগরীর ভগ্নাবশেষ অবস্থিত ।
পুরো একটা পাহাড় কেটে এই নগরী তৈরী করা হয়েছিল । পাহাড় কেটে খোদাই করা এই নগরীর অট্টালিকা গুলির মধ্যে সবচাইতে বিখ্যাত হলো একটি মন্দির । মন্দিরটি "পেত্রা মন্দির" বা "খাজনেত ফিরাউন" নামে পরিচিত । "খাজনেত ফিরাউন" শব্দের অর্থ ফারাওদের খাজানা বা ধনভাণ্ডার । খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ।
মন্দিরের দেয়ালে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন মূর্তি ও চিত্রকলা খোদাই করা আছে । সেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ।
"পেত্রা মন্দির"-এ ঢোকার প্রবেশদ্বার ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"পেত্রা মন্দির"-এর ভেতর "আল খাজানায়" ঢোকার প্রবেশপথ । গুহা কেটে তৈরী করা ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"পেত্রা মন্দির" সুদীর্ঘ সময় ধরে রোমের অধীনে ছিল । কালক্রমে আরবদের দখলে যায় । পবিত্র ক্রুসেড যুদ্ধের সময় খ্রিষ্টানদের দখলে থাকে দীর্ঘদিন ধরে, এরপরে স্থায়ীভাবে আরবদের দখলে চলে যায় । এতবার হাতবদল হওয়াতেও মন্দিরে অবস্থিত রোমান দেব-দেবীর মূর্তি এবং বাইজেন্টাইন চিত্রকর্মগুলো অবিকৃত থাকে । কোনো পক্ষই এর ঐতিহ্যবাহী মূর্তিগুলির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করেনি । তবে ভূমিকম্পে যথেষ্ঠ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল । উপরের প্রত্যেকটি মূর্তি রোমান দেব-দেবীর ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"পেত্রা মন্দির" এর দেয়ালে প্রচুর খোদাই করা ও রঙ করা শিকার চিত্রকর্ম রয়েছে । এগুলি বহু প্রাচীন রঙিন গুহাচিত্র । খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ আব্দের বলে ধারণা করা হয়ে থাকে ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মন্দির এর দেয়ালে খোদাই করা প্রাচীন দেবতা ও দেবীর মূর্তি । এত প্রাচীন যে স্থানে স্থানে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমান হয়ে গিয়েছে ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"মন্দির" গাত্রে বাইজেন্টাইন শিল্পকর্মের কয়েকটি নমুনা ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"মন্দির" এর অভ্যন্তরে আরো কিছু বাইজেন্টাইন শিল্পকর্মের নমুনা - দেব-দেবীর মূর্তি ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই মূর্তিগুলি আরো প্রাচীন এবং এগুলি খুব সম্ভবত রোমানদের দখলে যাওয়ার বহু পূর্বের মূর্তি ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মন্দির থেকে নিষ্ক্রমণের পূর্বে আরো বেশ কয়েকটি প্রাচীন দেব-দেবীর মূর্তির ফটোগ্রাফ তুলি ।
তারিখ : ০১ এপ্রিল ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ইকো পার্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
This is cool
Thank You for sharing Your insights...
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
দাদা সত্যি বলতে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। তবে দেব দেবির মূর্তি গুলো বেশ ভালো লাগল। চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা। আপনার জন্য এবং আপনার পরিবার এর জন্য শুভকামনা রইল। 💞💞
Thank You for sharing Your insights...
এই সৌন্দর্য যেন যে কাউকে মুগ্ধ করতে পারে। পাথর খোদাই করে অট্টালিকা তৈরি করা বিষয়টি একটু আশ্চর্যজনক।
Thank You for sharing...
এতো যুগ আগেও যে কি করে এতো সুন্দর হাতের কাজ করতে পারতো তাই ভাবছি আমি।তখন এতো আধুনিক কিছুই ছিলোনা।তাও হাতের কাজ এখনের সাথে তখনের কোনো তুলনাই হয়না।দাদা হিংসে হয়,যদি নিজের চোখে দেখতে পারতাম সামনাসামনি।
মন্তব্য কি যে করবো ভেবে পাচ্ছি না। পুরোটাই অবাক করার মত। লাইট গুলোর ফোকস দারুন ছিল। পাহাড় কেটে নগরী তৈরী। কতটা কঠিন ছিল এই কাজ গুলো। মিনিয়েচার মডেল টিও কম কিছু নয়। সত্যি বলতে বাবা সব সময় বলে ভারত যে দেখেনি সে এখনো মায়ের পেটেই রয়ে গেছে। কত কি দেখছি আপনার মাধ্যমে। ধন্যবাদ দাদা।
Thank You for sharing...
বাস্তবিক অর্থেই ব্যাপারটা হতবাক হওয়ার মতোই ভাই ।কারণ মন্দিরে ঢোকার পূর্ব মুহূর্তে যে সৌন্দর্য্য ছিল এবং মন্দিরের ভিতরের যে কারুকার্য, তা যে হতবাক হবে ভাই । আমার কাছেও বেশ ভালোই লেগেছে । শুভেচ্ছা রইল ভাই।
জর্ডনের পেত্রা নগরীর কথা বইয়ে পড়েছি।আজ অনেক কিছু দেখলাম আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দাদা।খুবই ভালো লাগলো,বিশেষ করে ভাস্কর্য গুলি চোখ ধাঁধানো ছিল।ছবিগুলো উপভোগ করার পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারলাম,ধন্যবাদ দাদা।
সপ্তাশ্চর্য নিয়ে যখন লেখা পড়েছিলাম ছাত্রাবস্থায় তখন এত কিছু জানা হয়নি। শুধু জর্ডানের এই পেত্রা নগরী সম্বন্ধে সাধারণ কিছু কথাবার্তা জেনেছিলাম। মিনিয়েচার সপ্তাশ্চর্য ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি চমৎকারভাবে পেছনের ছোট ছোট ইতিহাস গুলো কেও আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তুলে আনছেন। ধন্যবাদ।