ননসেন্স পোয়েট্রি : "বাথরুম" [My first nonsense verse]
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
সদ্য কৈশোর বিড়ি টানার ধুম,
আর ব্যাঙ ডাকা গলায় গান ।
চিৎকারে স্বর প্রতিধ্বনিতে
আজ হৃদয়ে ঝড় তোলে ।
স্বরের ধ্বনিতে প্রতিধ্বনি
হৃদয়ের কথা বলে ।
ভালোবাসে যাকে তারই নাম ধরে
গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠে ।
হিন্দি গানের সুরে
তখন বাথরুমে ঝড় তোলে ।
কষ্ট পাওয়ার সুখ,
এক চোখে হাসি তার আরেক চোখে জল ।
অব্যক্ত হৃদয়ের গোপন কথা
অশ্রু হয়ে ঝরে ।
প্রতিটি ফোঁটায় তার
বেদনার কথা বলে ।
কিশোরী মনের ব্যাথা
শাওয়ারের জলে মেশে ,
জলের শব্দে কান্নার শব্দ
হৃদয়ের ব্যাথা ঢাকে ।
বাথরুম ই যে কত কাহিনী আর কত গোপন ব্যথার সাক্ষী , তা দাদা তোমার কবিতা তে যেমন ফুটে উঠছে তেমন আশা করি সবার জীবনেই এই অবস্থা এসছেই।
হয়তো কারোর ভালোবাসার আঘাতে, বাথরুম এর চার দেওয়াল কাজে লেগেছে , আবার হয়তো অজানা জগতের কাছে মুখ লোকাতে কেও বাথরুমে গিয়ে কান্না কাটি করেছে।
বড় হওয়ার ও কত জ্বালা ,তাই নাহ?
বাচ্চা বয়সে যার তার সামনে কত কান্না করেছি সকলে।
যেই না বয়সটা বাড়ল, লোক কি ভাববে, এই ব্যাপার মাথায় এলো। তখনই নিজের প্রাইভেসী শুরু।
সাওয়ারের জলের ঠান্ডা পরশ কখনও জ্বলন্ত ব্যথায় আরো নুনের ছিটে দিয়েছে ।
আবার কখনও সেই জলেরই পরশ পেয়ে ক্লান্ত আঘাত মুছে গেছে।
কবিতা থেকে অনেক কিছু ছবি ভেসে উঠলো। তাই হয়তো একটু বেশি লিখে ফেললাম। দাদা।
আপনার কাছে ননসেন্স পোয়েট্রি হলেও আমার কাছে কিন্তু ভালই লেগেছে কবিতা টি😅
শুরুটা ভালই ছিল বেশ বলা চলে।
১:- আসলেই দাদা আজকে বাথরুম আছে বলে অনেক সদ্য কৈশোরে পা দেয়া ছেলেটা ধুমসে বিড়ি খায়। কোন কিছু ভয়-ভীতি ছাড়াই। বিড়ি খাওয়ার সাথে সাথে মনের যত কথা আছে, ব্যথা আছে সবকিছু গানের মাধ্যমে উড়িয়ে দেয়। এক কথায় যাকে বলে বাথরুম সিঙ্গার।
২:- বর্তমান সময়ে মেয়েদের অনেক প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হতে হয়, যেটা তারা মুখ খুলে কাউকে বলতেও পারেনা। এইসব কষ্ট তারা শাওয়ার করার সময় পানির মধ্যে ফেলে দেয়।
এই ব্যাপারটি একদম সত্যি দাদা।কয়েক বছর আগেও যখন আম্মু এটা ওটা নিয়ে বকা দিতো তখন কান্না করতাম কারণ সকলের সামনে অভিমাণের কান্না করাটাও তো লজ্জার।
আপনি দেখি সকলের মনের খবর নিয়ে বসে আছে দাদা।
কি করে যে পারেন এভাবে লিখতে কে জানে!সকলের মনের গোপন ব্যাপারগুলো একেবারে ছন্দে ছন্দে সাঁজিয়ে তুলে ধরলেন আমাদের সামনে।
বাথরুমে আমরা সবাই কমবেশি গান গাই। দাদা আপনার কবিতা ২ টি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে, পড়ে সত্যি অনেক মজা পেলাম।
প্রথম লাইনটা পড়েই হাসি পেল। মাইন্ড করবেন না প্লিজ। সবটুকু পড়ার পরে মনে হলো ভালোই তো হয়েছে। চালিয়ে যান দাদা আমরা আছি আপনার সাথে
কবিতায় অনেক কথা খুব সহজেই যায় যেটা লেখনিতে অনেক সময় প্রকাশ করা যায় না। ছন্দগুলো দারুন ছিল। কিছুটা মজারও তবে কৈশোর কালের আনন্দ বেদনা খেয়ালিপনাগুলো খুব অল্প কথায় দারুনভাবে উঠে এসেছে।
মজার ব্যাপার এখানে বৈষম্য না করে দুটি কবিতা লিখা। কৈশোরে ছেলেরা বাথরুমে গলা ফাটিয়ে গান গেয়ে ঝড় তোলে এটা একদম খাটি সত্য।
তরুণীর মনের ব্যাথা ও আনন্দ ঘিরেও বাথরুম।
সব মিলিয়ে আসলে বলব, নন্ সেন্স নয় ভার্সগুলো বরং চেপে রাখা কৈশোর এর কিছু সুখ দু:খগাথা।
বাথরুম মানে কারোর কাছে বিড়ি খাওয়ার জায়গা তো কারোর কাছে হিন্দি গানের মন্স 😂😂🤣🤣
অনেকদিন পর একটা মজার কবিতা পড়লাম অনেক মজা পেয়েছি দাদা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মজাদার কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভবিষ্যতে এমন কবিতা আরো চাই, । অনেক মজাদার
মনে আছে যখন একটু বুঝতে শিখেছি আর একটু একটু গুনগুনিয়ে গান শিখেছি, তুমি ছিলে প্রথম স্টেজ গান গাওয়ার। আর যখন একটু বড় হলাম হেরে গলায় গান ধরতাম মা বলতো পাগল ছেলে 😂 তবুও দমে যাইনি এখনও পর্যন্ত মাঝে মাঝেই গেয়ে উঠি সেই অনবদ্য বাথরুম সংগীত "ও প্রিয়া তুমি কোথায়" আর কষ্ট আর বেদনায় কিছুটা চিৎকার করে কাঁদার জায়গা বাথরুম। আমি অনেক কেঁদে হালকা হয়েছি বাথরুমে। আমার মনের মতো একটা কবিতা পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে কি বলবো☺️ মিলে গেছে সবকিছু । অনবদ্য দাদা ♥️
"গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠে
হিন্দি গানের সুরে
তখন বাথরুমে ঝড় তোলে"
দাদা এই কথাটা কিন্তু একদমই ঠিক বলেছেন। বাথরুমে গেলে আমাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়। কেন জানি বাথরুমে গোসল করতে ঢুকলেই মনের আনন্দে গান চলে আসে। আমার মনে হয় এটি সবার ক্ষেত্রেই হয়। বাথরুম আমাদের অতি আপন যেখানে আমরা মনের আনন্দে গান গাইতে পারি। হয়তোবা এই গানটি অন্য কেউ শুনলে মান সম্মান কিছুই থাকবে না তাই বাথরুম কে আপন ভেবেই গান শুনিয়ে দেই সব সময়। বাথরুমে গেলে মনে হয় যেন গলার সুর বেয়ে মধু ঝরছে। আহারে দাদা কি সুন্দর ভাবে কবিতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি কথায়ই যেন আমাদের মনের কথা। আপনার কবিতাটি পড়ে বাথরুমের মাঝে হারিয়ে গেলাম। আর কল্পনা করতে লাগলাম আমি কোন কাজগুলো করি। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।