কবিতা "বিশ্বাস"

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


Copyright-free Image source : Pixabay


কবিতা "বিশ্বাস"



💘


♡ ♥💕❤

"বিশ্বাস" - শব্দটির পরে এখন ঘৃণা ধরে গিয়েছে;
বিশ্বাস করবো কাকে ?
বিভীষণ এখন ঘরে ঘরে,
মুখোশ আঁটা সারি সারি মানুষের ভীড়ে,
আসল মানুষটি গিয়েছে হারিয়ে ।

ভরসা এখন করবো কাকে ?
স্বার্থপর লোভী মানুষ আজ
পিছন থেকে ছুরি মারে ।

আমি যতবার বিশ্বাস করেছি ততবার ঠকেছি;
বারবার ঠকেছি, ঘরে-বাইরে অজস্রবার ঠকেছি ।
যাকেই করেছি বিশ্বাস এ জীবনে,
বিশ্বাসভঙ্গ সেই-ই করেছে কি অনায়াস ভঙ্গীতে ।

নির্লজ্জতার সব সীমা অতিক্রম করে,
যাকে উপকার করেছি সেই আজ
হাসিমুখে কৃতঘ্ন গিয়েছে বনে ।

আর ভালোবাসা ? মানুষকে ভালোবেসে দেখেছি,
সে শুধু সুযোগ খোঁজে;
স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভালোমানুষটির সাজ,
স্বার্থ ফুরোলেই অমাবস্যার চাঁদ ।

সমগ্র বিশ্বকে বিশ্বাস করে ঠকেছি,
প্রিয়জনকে বিশ্বাস করে ঠকেছি,
পরকে বিশ্বাস করে যেমন ঠকেছি,
আপনকে বিশ্বাস করেও তেমনই ঠকেছি ।

শুধু আমাকে যে বিশ্বাস করেছে
পারিনি কখ্খনো তাকে ঠকাতে ।

♡ ♥💕❤


Sort:  
 3 years ago 

ঠিক বলেছেন দাদা, এখন তো বিশ্বাস করত তার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছে..

 3 years ago 

দাদা কারো প্রতি যখন আমাদের বিশ্বাস হারিয়ে যায় তখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না। কাউকে বিশ্বাস করতে ভীষণ ভয় পাই। কাছের মানুষের থেকে প্রতারণার শিকার হওয়া সত্যিই অনেক কষ্ট করে। এক জীবনে সবথেকে যাকে আমি বিশ্বাস করি সেই মানুষটি যখন বিশ্বাস ভঙ্গ করে তখন বিশ্বাসের ওপরই বিশ্বাস রাখা যায়না। যতবার কাছের মানুষগুলোকে বিশ্বাস করেছি ততোবারই ঠকেছি। যাইহোক নিঃশ্বাস নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি কবিতা আমাদের উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বাস নিয়ে এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভালোমানুষটির সাজ,
স্বার্থ ফুরোলেই অমাবস্যার চাঁদ ।

স্বার্থ ফুরালেই মানুষের আসল রুপ চলে আসে দাদা, তখন নিজের উপরেই অনেক ঘৃণা আসে যে কাকে বিশ্বাস করেছিলাম, তখন নিজেকে আর শান্ত রাখা সম্ভব হয় না।

সমগ্র বিশ্বকে বিশ্বাস করে ঠকেছি,
প্রিয়জনকে বিশ্বাস করে ঠকেছি,
পরকে বিশ্বাস করে যেমন ঠকেছি,
আপনকে বিশ্বাস করেও তেমনই ঠকেছি।

প্রিয় দাদা, পৃথিবীতে এক জায়গায় থাকতে হলে সবাইকে নিজে থেকেই ঠিক থাকতে হয় কিন্তু আমরা নিজেরা ঠিক থাকতে পারিনি, আমি এটা বুঝতে পারতেছি কবিতাটি লিখতে আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে, আমাদের ক্ষমা করবেন প্রিয় দাদা।

 3 years ago 

জীবনে অনেক ঠিকেছি। কিছু শিক্ষা পেয়েছি। তবুও বিশ্বাস করতে হয়, এটাই জীবন।

বিশ্বাস আর ভালবাসার মাঝেই জীবন। ধন্যবাদ

 3 years ago 

সমগ্র বিশ্বকে বিশ্বাস করে ঠকেছি,
প্রিয়জনকে বিশ্বাস করে ঠকেছি,
পরকে বিশ্বাস করে যেমন ঠকেছি,
আপনকে বিশ্বাস করেও তেমনই ঠকেছি ।
শুধু আমাকে যে বিশ্বাস করেছে
পারিনি কখনো তাকে ঠকাতে।

দাদা বিশ্বাস নিয়ে খুবই সময় উপযোগী কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আসলেই বিশ্বাস এমন একটা জিনিস বা ব্যাপার কার ও কাছ থেকে একবার উঠে গেলে তা পুনরায় স্থাপন করা সম্ভবপর হয় না।আপনার কবিতাটি দাদা আমি তিনবার পড়েছি যতবারই পড়েছি ততবারই মন ছুঁয়েছে আমার।সত্যিই দাদা আপনার লিখনির প্রশংসায় করতেই হয়।

কবিতায় যেনো নিজের জীবনের কিছু বাস্তবতা দেখলাম!

 3 years ago 

বাস্তববাদী কবিতা।আসলেই আমাদের মানুষের কত রুপ,সামনে ভালো, পিছনে থেকে ছুড়ি মারে।একদম সত্যি।

 3 years ago 

বহুবার ঠকেছি
বহু পথ পেরিয়ে সঠিক জায়গাতেই এসেছি।

যে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারেনা , যে বিস্বাসঘাতকতা করে নির্দ্বিধায় , সে একটা নিকৃষ্ট কিট। বিশ্বাস করার মতো লোক খুঁজে পাওয়া এ পৃথিবীতে খুবই দুরূহ কাজ। আর এই বিশ্বাসের মতন সুন্দর পবিত্র জিনিসটাকে যে কুলষিত করে তার বিবেকটা কিভাবে কাজ করে সেটা ভেবেই অবাক হই।

পথ চলতে আশেপাশের কিছু মানুষের নুংরামি দেখে কেন জানি না নিজেই লজ্জিত হয়ে যাই।

 3 years ago 

দাদা কবিতার কথাগুলো যদি আপনার মনের কথা হয়ে থাকে। তাহলে বলতেই হয় আপনি একজন বিশ্বাসী মানুষ। আর এই যুগে বিশ্বাসী মানুষ পাওয়া সত্যিই অনেক কঠিন। ভালো লাগলো আমাদের পছন্দের ভালোলাগা মানুষটা এত অবিশ্বাসীদের ভিড়ে নিজেকে এখনও বিশ্বাসী হিসেবে ধরে রাখতে পেরেছে জেনে। ধন্যবাদ

 3 years ago 

বর্তমান যুগ এমন হয়েছে যে কাউকে বিশ্বাস করার আগে হাজারবার চিন্তা করা উচিৎ। এই পৃথিবীতে এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না যে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয় নি। সবাই কম বেশি ঠকেছে। বিশেষ করে ভালো মানুষ গুলোই বেশি ঠকে। কারণ তারা সবাইকেই নিজের মত ভাবে। কারো প্রতি বিশ্বাস একবার নষ্ট হলে তা আর ফিরে পাওয়া মুশকিল। সকল মানুষ ভালো থাকুক এই বিশ্বাসঘাতকদের হাত থেকে।