ছোট দাদার বিবাহ জমজমাট খাওয়া দাওয়া ও ফটোগ্রাফি পর্ব:২

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন‌। আজ আমি আপনাদের মাঝে ছোট দাদার বিবাহের দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করি,আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।


গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা আবার সোজা চলে এলাম বাড়িতে।বেশি সময় আমাদের হাতে ছিল না কারণ সন্ধ্যার সময় আমাদের বরযাত্রী যেতে হবে। তার জন্য নিজেদের একটু সাজগোজা করতেই হবে আর যাইহোক ছোট দাদার বিবাহ বলে কথা। যাইহোক বাড়িতে এসে সোজা চলে গেলাম ফ্রেশ হতে ফ্রেশ হয়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম করলাম। বেশি সময় বিশ্রাম নিতে পারলাম না নিলয় দাদা ফোন করে আমাকে বলল কিছু কাজ আছে সেই কাজগুলো খুব দ্রুত সেরে ফেলতে হবে আমাদের। কারণ বরযাত্রী যারা যাবে তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।সেই গাড়ি কখন আসবে কয়েকটা গাড়ি এসেছে। এমন অনেক টুকিটাকি কাজ কিন্তু রয়েছে যেগুলো আমি আর নিলয় দাদা দেখাশোনা করতেছি।


যাইহোক সন্ধ্যা সময় আমরা রওনা করব সন্ধ্যার আগেই গাড়িগুলো চলে এসেছিল। আর ছোট দাদার যে গাড়িতে করে যাবে সে গাড়িটি ফুল দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। যাতে করে দেখলে মনে হয় এটি বরের গাড়ি। যাইহোক সন্ধ্যা হতে হতে আমরা কিন্তু দাদার যেখানে বিবাহের অনুষ্ঠান করা হয়েছে সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা করলাম। আমি নিলয় দাদা বড় দাদা। আমরা সবাই এক গাড়িতে গেলাম। প্রায় এক ঘন্টা পথ পেরিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম সেই গন্তব্য স্থানে যেখানে দাদার বিবাহের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। খুব সুন্দর সাজানো ছিল আর আমরা গাড়ি থেকে নামতেই আমাদের কিন্তু গেটে আটকিয়ে দেওয়া হল। কারণ হলো বড় যখন মেয়ে পক্ষের বাড়িতে যাবে তখন কিন্তু মেয়ে পক্ষ গেট ধরে থাকে। সেখানে মেয়ে পক্ষ যা দাবি করবে তা পূরণ করে তারপর তারা ভেতরে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি দিবে। আমার কাছে এটা কিন্তু খুব ভালো লাগে। এই গেট ধরায় অনেক মজা করা হয়ে থাকে অনেক কথোপকথন করতে হয় যেটা বিয়ের একটি অন্যতম আনন্দের একটি অংশ।


যাই হোক দাদা সেসব দাবি পূরণ করেছিল। আর তারপর আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। সোজা চলে গেলাম দুই তালাতে কারণ ওখানেই মেইন বিয়ের প্যান্ডেল করা হয়েছে। নিলয় দাদা সব সময় বড় দাদার কাছেই ছিল। সবাই যার যার মতন আনন্দ করতে লাগলো। এখানে আমি সহ আমাদের কমিউনিটির অনেকেই ছিল। সম্পর্কে তারা আমার দাদা হয়ে থাকে। আমি তাদের সাথে একসঙ্গে আনন্দ করতে লাগলাম। আর বিয়ে বাড়ি মানেই খাবারের ছড়াছড়ি। অনেক ধরনের খাবার ছিল যা বলে শেষ করতে পারবো না। আমি কিন্তু খাইতে ভালোবাসি যার কারণে আমি বিয়েতে যেই খাওয়া শুরু করে দিলাম। আমার সাথে সাথে আরো অনেকেই খাওয়া শুরু করলো। মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের খাওয়ার কারণে অন্যরা চান্স পাচ্ছিল না। প্রথম পর্বের খাওয়া খেয়ে আমরা সোজা চলে গেলাম ছোট দিদির কাছে। দিদির কাছে যে দিদির সঙ্গে কিছু ছবি তুললাম। দিদির কিছু সিঙ্গেল ছবি তুললাম।আর নিজেরা একটি গ্রুপ ছবি তুললাম স্মৃতি রেখে দেওয়ার জন্য। বিয়ের দিন দিদিকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল আর দাদাকে ও কিন্তু খুব সুন্দর লাগছিল। দুজনকে এত সুন্দর লাগছিল সেটা বলার বাইরে আমি তো ১০০ তে ১০০ দিয়েছি।

IMG20231118203914.jpg

IMG20231120195922.jpg

IMG20231118224145.jpg

IMG20231118214829.jpg

IMG20231118203943.jpg

IMG20231118203935.jpg

IMG20231118203924.jpg

IMG20231118203905.jpg

IMG20231118203855.jpg

IMG20231118203851.jpg

IMG20231118203657.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি :oppo
ক্যামেরা মডেল:oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:3.37mm
তারিখ:১৮.১১.২০২৩
সময়:০৯.১০মিনিট
স্থান: কলকাতা


কিছু সময় পর দিদিকে বিয়ের মন্ডপে আনা হল। কোলে করে আনা হয়েছিল দিদির মুখ দুইটি পান পাতা দিয়ে ঢাকা ছিল। আর তারপর দিদিকে যখন দাদার সামনে আনা হলো তখন দিদি কিন্তু এই পান পাতা মুখ থেকে সরালো আর তখন একে অপরকে দেখতে পেল এটাকে বলে শুভদৃষ্টি। শুভদৃষ্টি হওয়ার পর আরও অনেক ইভেন্ট রয়েছে। যেমন সাত পাকে বাঁধা,সিঁদুর দান ইত্যাদি। একে একে সবগুলো ধাপগুলো শেষ হতে লাগলো। অনেকেই বিবাহ দেখছে আবার অনেকেই খাওয়া-দাওয়া করে এসে তারপরে বিবাহ দেখছে। যাই হোক সবাই কিন্তু দাদার বিবাহটা উপভোগ করছে। আর আমি খেয়ে খেয়ে ছোট দাদা ও ছোট দিদির বিবাহ উপভোগ করতে লাগলাম।

আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 7 days ago 

দুজনকে ১০০/১০০ দিলে হবে না । একজনকে একটু বেশি দিতে হবে🤭

 7 days ago 

দাদার বিয়েতে বেশ দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। আপনার লেখাপড়া যা বুঝলাম বেশ ভালো লাগার মুহূর্ত ছিল এবং খুবই আনন্দ করেছেন এই মুহূর্তে। শুভকামনা রইল আপনার দাদাদের জন্য। যেন তারা সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে এবং ভালো থাকেন।

 7 days ago 

প্রথমে দাদাদের জন্য শুভ কামনা করি তাদের বন্ধন অটুট থাকুক। সর্বদা যেন হাসিখুশি ভাবে চলতে পারে সেই কামনা রইল। পোস্ট পড়ে যা বুঝতে পারলাম আপনি বেশ আনন্দিত ছিলেন এবং আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন খাওয়া-দাওয়ার মধ্য দিয়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 61314.55
ETH 3436.06
USDT 1.00
SBD 2.54