সবাইকে শুভ সকাল,
সবাইকে জানাই পবিত্র জুম্মা মোবারক! কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন পরিবার পরিজনকে নিয়ে। নিশ্চয় আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আশা করি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনারা অবশ্যই জানেন প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকে আমি একটি সামুদ্রিক মাছ রান্নার রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা তো সবাই জানেন আমি কক্সবাজারে বসবাস করি। এখানে সামুদ্রিক মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়া যায়। তাই আমি সব সময় সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার সুযোগ পাই। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে সামুদ্রিক মাছ অনেক বেশি পছন্দের। বিশেষ করে মিঠা পানির মাছ অনেক কম খাওয়া খাওয়া হয়।
সেটা আজ থেকে নয় ছোটকাল থেকে আমার অভ্যাস সামুদ্রিক মাছগুলো আমি খুব পছন্দ করি খেতে। আজকে আমি যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সে মাছ হচ্ছে সুরমা মাছ। আপনারা সবাই জানেন সুরমা মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে এই মাছের মধ্যে কাটা কম হওয়ার কারণে বাচ্চারা খুবই পছন্দ করেন। তবে সুরমা মাছ আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। সুরমা মাছে কাটা কম হওয়ার কারণে আমার খুবই পছন্দের। বাজার থেকে কিছু মাছ নিয়ে আনছিল একদম কেটে ফ্রেশ করে। তো আমি চিন্তা করলাম যে যেহেতু একদম ফ্রেশ মাছ নিয়ে আসলো তাই তাজা রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগবে। সেই চিন্তাভাবনা করে আমি কচুর মুখি দিয়ে সুরমা মাছের রেসিপি করেছিলাম।
এই মাছের রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগছিল। কাটা কম হওয়ার কারণে ছোট বাচ্চাদের খাওয়াতে যেমন সুবিধা হয় বড়দেরও খেতে বেশ ভালো লাগে। তো বন্ধুরা আমি সেই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আজকে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে বন্ধুরা আমি রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি সেই ধাপ গুলো আপনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করে নেব—
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি উপকরণসমূহ পরিমাণ মতো উল্লেখ করেছি এবং পরিমাণ মত আপনাদেরকে নিয়ে দেখিয়েছি। কচুর মুখি গুলোকে পরিষ্কার করে নিয়েছি এবং মাছগুলোকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
সুরমা মাছ আর কচুর মুখির সুস্বাদু রেসিপি তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
যেহেতু পরিমাণ গুলো উল্লেখ করেছি এখন আমি সরাসরি রান্নার ধাপে চলে যাব। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রান্নার জন্য একটি পাত্র নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। সেখানে পরিমাণ মত সরিষার তেল দিলাম। তেল গুলো গরম হয়ে আসলে পেঁয়াজ এবং রসুন কুচি দিয়ে দিব। তাছাড়া তেলের মধ্যে টমেটো পেস্ট দিয়ে দিলাম।
রান্নার ধাপ-২
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অন্যান্য মসলাগুলো দিয়ে দিলাম। দেওয়ার পরে সামান্য পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিচ্ছি।
রান্নার ধাপ-৩
মসলাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে দিয়ে দিব কচুর মুখি। যেগুলো আমি আগে থেকেই খোসা গুলো ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। কচুর মুখি দেওয়ার পরে বেশ কিছুক্ষণ সিদ্ধ করতে হবে যাতে নরম হয়ে আসে।
রান্নার ধাপ-৪
যখন কচুর মুখি গুলো সিদ্ধ হয়ে হালকা নরম হয়ে আসে তখন মাছ দিয়ে দিব। মাছ আগে ধুয়ে রেখেছিলাম পরিষ্কার করে। মাছ দেওয়ার পরে আরো কিছুক্ষন কষিয়ে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৫
আমি হালকা করে ঝোল দিয়েছিলাম কারণ এভাবে ঝোল খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রয়োজনমতো সিদ্ধ করার পরেই যখন পারফেক্ট হয়ে আসে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। চুলা থেকে নামিয়ে নেওয়ার পরে একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম পরিবেশনের জন্য।
রেসিপির পরিবেশনা
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অবশ্যই দেখে বুঝতে পারছেন কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। এই মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। যেহেতু এই মাছ রান্নার আগে নরম থাকলেও রান্না করলে একটু শক্ত হয়ে যায়। তাছাড়া কাটা কম থাকার কারণে বাচ্চারা অনেক বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও কচুর মুখি দেওয়ার কারণে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। বলতে গেলে খুবই স্বাদের একটি রেসিপি। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার রেসিপিটি ভিজিট করার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু আপনার মতো সৌভাগ্য আমাদের নেই বলে মিঠা পানির মাছই খেতে হয়। এদিকে সামুদ্রিক মাছ খুবই অল্প পাওয়া যায় আর যা ও রয়েছে তার আকাশ ছোঁয়া দাম। আপু মাঝে মাঝে কিছু মাছ পাঠিয়ে দিয়েন,তাহলে আমরাও খেতে পারবো। যাই হোক যেহেতু কাটা ছাড়া সুরমা মাছ তাহলে তো বাচ্চারা খেয়ে খুব মজা পেয়েছে।কচুর মুখী দিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে সুরমা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি আছি তো আপনি বাবুকে নিয়ে চলে আসেন। আপনাকে বেশ ভালোভাবে সামুদ্রিক মাছ রান্না করে খাওয়াবো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সামুদ্রিক মাছ অনেক সুস্বাদুও পুষ্টিকর হয়ে থাকে।আপনার এই মজাদার সামুদ্রিক মাছ ছোট বেলা থেকে পছন্দ জেনে ভালো লাগলো।সুরমা মাছ কোনদিন খাওয়া হয়নি।কচুরমুখী দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয় খেতে।আপনার রেসিপিটির কালার দেখে লোভ লেগে গেলো।ধাপে ধাপে মজাদার রেসিপিটির রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুরমা মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু আপু। আপনিও খেয়ে দেখবেন যদি সুযোগ হয়।
কচুর মুখি আর সুরমা মাছ দুটোই আমার অনেক পছন্দের। সামুদ্রিক মাছগুলো আমিও অনেক পছন্দ করি। আর সামুদ্রিক মাছগুলোর মধ্যে অনেক আয়রন ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের প্রত্যেকের শরীরের আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে সক্ষম থাকে। আপনার কচুর মুখির আর সুরমা মাছের রেসিপিটি দেখে কিন্তু অনেক লোভনীয় লাগছে।রেসিপির কালারও অনেক চমৎকার এসেছে। এ ধরনের রেসিপি গুলো হলে গরম গরম ভাতের সাথে আর কিছু প্রয়োজন হয় না।
কচুর মুখি দিয়ে যেকোন রেসিপি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে আপু।
কচুর মুখি দিয়ে সুরমা মাছ বা ইলিশ মাছ রান্না করলে খেতে খুবই মজা লাগে।আজকে আপনার তৈরি করা কচুর মুখি দিয়ে সুরমা মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।রেসিপিটির প্রত্যেকটা ধাপ আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে ভালো লাগার জন্য।
সুরমা মাছ এবং কচুরমুখীর তরকারি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু।আপনার অন্যান্য গুণের সাথে রান্নার গুনটিও প্রশংসনীয়।রান্নার প্রতিটি স্টেপ খুব সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
চলে আসেন আপু বাসায় আপনাকে আবার রান্না করে খাওয়াবো।
একদম মিলে গেল, সমুদ্রের পাশে আছেন আবার সামুদ্রিক মাছ খেতে পছন্দ করেন। সব কিছু মিলিয়ে আপনার পছন্দ অনেকটাই মিলে গেল। যাইহোক সামুদ্রিক মাছ খেতে আমার কাছেও ভালো লাগে। আর আমার ছেলে তো সব রকমের মাছ পছন্দ করে। যদিও কাঁটাওয়ালা মাছগুলো খেতে দেই না। শুধুমাত্র কাঁটা কম যুক্ত মাছগুলোই খাওয়ানোর চেষ্টা করি। খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। কচুরমুখি আমার খুবই ভালো লাগে খেতে। আর এভাবে মজা করে রান্না করলে তো লোভ লাগবেই।
আমার ব্যক্তিগতভাবে সামুদ্রিক মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কচুর মুখী সবজি আমার ভীষণ পছন্দ। যেভাবে রান্না করা হোক অনেক বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনি সুরমা মাছ দিয়ে বেশ মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। সুরমা মাছ দিয়ে কচুর মুখী কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটা তো দেখে লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির কালারটা দারুন এসেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমারও বেশ পছন্দের আপু কচুর মুখি সবজি। চিংড়ি মাছের সাথে ইলিশ মাছের সাথে অনেক বেশি ভালো লাগে।
সুরমা মাছ আর কচুর মুখির সুস্বাদু রেসিপি খেয়ে দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার কাছে দারুন লেগেছে। রেসিপির কালারটা অসাধারণ হয়েছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখার জন্য।
কচুর মুখী এবং সুরমা মাছ দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এধরনের রেসিপি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছ খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ধাপে ধাপে রেসিপি তৈরি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন এভাবে রান্না করলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে