আর্টঃ খালি কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটায় সূর্যমুখি ফুলের বাগান।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল। ২৭শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি আর্ট পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

ar7.jfif

ar5.jfif

বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। পোস্ট এর ভিন্নতা আনতে চেস্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করতে। তবে একই রকম আর্ট না করে কিছুটা ভিন্নতা আনার চেস্টা করি।আজ আমি একটি খালি কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটায় সূর্যমুখি ফুলের বাগান আর্ট করে গাছ লাগানোর টব বানিয়ে নিয়েছি।যদিও কাজ্টি করতে কিছু সময় লেগেছে। কারন একটি রং শুকানোর পর অন্য রং এর কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু করার পর বেশ ভালই লাগছিলো। আর গাছ লাগানোর পর আরও বেশি সুন্দর লাগছিলো।এখন এটি আমি ঘর সাজাতে ব্যবহার করবো। আর এই আর্টটি করতে প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি খালি কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটা ও বিভিন্ন শেডের এর পোস্টার রং সহ অন্যান্য আরও কিছু উপকরণ। চলুন দেখে নেই কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটায় সূর্যমুখি ফুলের বাগানের আর্ট এর বিভিন্ন ধাপ সমূহ। আশাকরি আজকের আর্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।

উপকরণ

ar16.jfif

ar9.jfif

১।কন্ডেন্স মিল্কের খালি কৌটা
২।বিভিন্ন শেড এর পোস্টার রং
৩।বিভিন্ন সাইজের তুলি

অংকনের ধাপ সমুহ

ধাপ-১

ar1.jfif

প্রথমে কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটা ভালোভাবে ধুঁয়ে মুছে পরিস্কার করে নিয়েছি।

ধাপ-২

ar15.jfif

কৌটার উপরের অংশ আকাশী ও নিচের অংশ সবুজ রং করে নিয়েছি।

ধাপ-৩

ar13.jfif

এবার সাদা রং দিয়ে কিছু মেঘ এঁকে নিয়েছি আকশী অংশে।

ধাপ-৪

ar12.jfif

সবুজ অংশে কিছু ডাল এঁকে নিয়েছি এলোমেলোভাবে।

ধাপ-৫

ar10.jfif

এবার হলুদ রং দিয়ে সূর্যমুখি ফুলের পাপড়িগুলো এঁকে নিয়েছি।

ধাপ-৬

ar7.jfif

সবশেষ সূর্যমুখি ফুলের মাঝখানে খয়েরি রং করে সূর্যমুখি ফুলের বাগান আঁকা শেষ করেছি।

উপস্থাপন

ar3.jfif

ar6.jfif

ar4.jfif

আশাকরি আজকে কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটায় আঁকা সূর্যমুখি ফুলের বাগানের আর্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন নতুন ধরনের আর্ট শেয়ার করতে।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। শুভরাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীআর্ট
ক্যামেরাSamsung A-10
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

image.png

Sort:  
 yesterday 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি আর্ট করে দেখানোর জন্য। এমন সুন্দরভাবে আর্ট করলে সত্যিই উৎসাহিত হওয়া যায়। যেখানে একজন আরেকজনাকে অনুপ্রাণিত করে তোলে প্রতিভা দ্বারা।

 8 hours ago 

আমার আর্ট দেখে আপনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 yesterday 

Daily task

t1.png

t2.png

t3.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

দারুন তো,ফেলনা জিনিস দিয়ে সুন্দর আর্ট করেছেন।কালার কম্বিনেশনও ভালো ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

 8 hours ago 

ফেলনা জিনিসকে নতুন রুপ দিতে বেশ ভালো লাগে। তাই প্রায়ই এই কাজটি করি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 yesterday 

কৌটায় সূর্যমুখি ফুলের বাগান আর্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার আর্ট খুবই সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের আর্ট গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। চমৎকার হয়েছে আপু।

 8 hours ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 yesterday 

আপু আনার শেয়ার করা খালি কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটায় সূর্যমুখি ফুলের বাগান দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি চমৎকার আর্ট করেছেন।বিশেষ করে আকাশটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য।

 8 hours ago 

আকাশের আর্টটি যে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

 yesterday 

খালি কন্ডেন্স মিল্ক এর কৌটায় সূর্যমুখি ফুলের বাগান অসাধারণ হয়েছে। দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে ইউরিক ভাবে এই ফুলের পেইন্টিং করেছেন দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।

 8 hours ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 yesterday 

ফেলে না দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে ডিজাইন করে এই দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে আপনার দক্ষতা দেখলে অনেক ভালো লাগে।

 8 hours ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া।