"সাথী রান্না ঘরে ধোনে পাতার স্বাদে ইলিশ মাছ ও ডিমের মজাদার " রেসিপি"꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
ইলিশ মাছ আর ডিম
রেসিপি নিয়ে এলাম আজ,,
সাথী রান্না ঘরে চলছে
তারি কারুকাজ।
"সাথী রান্না ঘরে ধোনে পাতার স্বাদে ইলিশ মাছ ও ডিমের মজাদার " রেসিপি"꧂☆
☆꧁সাথী রান্না ঘরে ধোনে পাতার স্বাদে ইলিশ মাছ ও ডিমের মজাদার " রেসিপি" ও অনুভূতি ꧂☆
ইলিশ মাছ বাঙালির রসনাতৃপ্তির এক অনন্য উৎস। তার সঙ্গে ডিম এবং ধনেপাতার স্নিগ্ধ মিশ্রণ খাবারটিকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন মাত্রায়। রঙে এটি যেমন লোভনীয়, খেতে ঠিক ততটাই মুগ্ধকর হয়েছে। ইলিশ মাছের সেই অতুলনীয় স্বাদকে আরও গভীর এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে আমার রান্নার কারিগরি। প্রতিটি উপকরণ এমন সুন্দরভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে ব্যবহার করেছি , যা কেবল একজন রন্ধনপ্রেমীর পক্ষেই সম্ভব।
এমন খাবার শুধু পেট ভরায় না, হৃদয়ও ভরিয়ে তোলে। প্রতিটি চামচ যেন এক একটি স্বাদের বিস্ফোরণ—ইলিশ মাছের ডিমের নরম-মোলায়েম স্বাদ, ধনেপাতার সুবাস, আর মশলার নিখুঁত মিশ্রণ প্রতিটি লোকমায় এনে দিয়েছে অনির্বচনীয় সুখ। এটি শুধু আমাদের পরিবারের জন্য একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নয়, বরং এটি আমার নিজের প্রতি ভালোবাসার এবং সৃষ্টির প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন।
আমার এই রেসিপিটি যেন আরও অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে, ভালোবাসা দিয়ে তৈরি যে কোনো খাবারই হৃদয় স্পর্শ করে। এমন চমৎকার খাবার তৈরির জন্য তোমাকে অনেক অভিনন্দন জানাই। সাথী রান্নাঘরের এই অসাধারণ সৃষ্টি যেন রন্ধনযাত্রার একটি মাইলফলক হয়ে থাকে। আরও অনেক নতুন নতুন খাবারের স্বাদ আগামীতে উপহার দিব। ।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
সাথী রান্নাঘরে আবারও সবাইকে স্বাগতম। আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের সকলের জন্য খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। আর সেটা ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গিয়েছেন। বন্ধুরা আজ সাথী রান্নাঘরে থাকছে সুস্বাদু মজাদার *** ধোনে পাতার স্বাদে ইলিশ রেসিপি***।
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
ইলিশ মাছ
ডিম
শুকনো মরিচ গুড়া
পেঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
রসুন
আদা
সরষে বাটা
লবণ
হলুদ
জিড়ার গুঁড়া
তেল
ধোনে পাতা
- প্রথমে ইলিশ মাছ গুলো ভালোভাবে ধুইয়ে লবন হলুদ দিয়ে মেখে নিলাম।
- প্রথমেই চুলার মধ্যে একটি করাই বসিয়ে দিয়ে মাছের ডিম গুলো সিদ্ধ করে নিব।
- এবার মাছ গুলো তেলে ভেজে নিবো।
- মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে, পেঁয়াজ গুলো লাল লাল করে ভেজে, মসলা গুলো ভেজে নিয়ে মাছের ডিম গুলো পিচ্ পিচ্ করে কেটে নিব।
- এবার ডিম গুলো ভেজে নিয়ে মাছ গুলো দিয়ে হালকা কষে নিবো। কষা হয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে ধোনে পাতা ও জিড়ার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে ঢেকে দিব।
- এবার চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করব।
!
তো বন্ধুরা আমার আজকের এই রেসিপিটি যদি, আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: রেসিপি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ।
ইলিশ মাছ রান্না করে খেয়েছি কিন্তু কোনদিন ইলিশ মাছের ডিম ও মাছ দিয়ে রান্না করে খাইনি। আপনার রান্নাটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে খেতে ।ধনে পাতা ব্যবহার করার কারণে রেসিপিটির স্বাদ হয়তো আরো বেশি বেড়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। ইলিশ মাছ এভাবে রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। আর ইলিশ মাছের ডিম তো আমার বরাবরই খুব পছন্দ। আজকে দুপুরে ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছের ডিম খেলাম। যাইহোক রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইলিশ মাছ ও ডিমের মজাদার রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে এভাবে রেসিপি কখনো
তৈরি করা হয়নি। তাই রেসিপিটা তৈরি করা খুব ইচ্ছা জাগলো। তবে পরিবেশন দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে।
অনেক লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ইলিশ মাছের ডিম এবং ইলিশ মাছ একই সাথে রান্না করেছেন আপনি। ইলিশ মাছের ডিম খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করার রেসিপি দেখে যেন মন চাইছে এখনই খেতে শুরু করে দেয়।
খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপির পরিবেশন দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তাই ধাপগুলো দেখে শিখার চেষ্টা করলাম, পরবর্তীতে তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।
ইলিশ এবং ইলিশের ডিম দিয়ে দারুন সুন্দর লোভনীয় পদ বানিয়ে ফেললে তো। দেখেই তো খিদে বেড়ে যাচ্ছে। অনেকদিন ইলিশ মাছ খাইনি। আর এই মাছ আমি খুব ভালোবাসি। তোমার ধাপে ধাপে করা রেসিপিটি দেখেই বেশ লোভ বাড়িয়ে দিল। ইলিশ মাছের ডিমটাকেও খুব সুন্দর করে প্রসেস করলে তুমি। সব মিলিয়ে দারুন একটি রান্নার পোস্ট শেয়ার করলে সকলের সাথে।
ইলিশ মাছের রেসিপি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি করা যায়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ধোনে পাতার স্বাদে ইলিশ মাছ ও ডিমের মজাদার " রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
ধনে পাতার স্বাদে চমৎকার সুন্দর করে ইলিশ মাছ রান্না করেছেন যা অনেক লোভনীয় লাগছে।ধনে পাতা ইলিশের স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বুঝতে পারছি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।