রন্ধনশালায় কিছু সময় পর্ব এক ||@shy-fox 10% beneficiary
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি জায়গায় কমবেশি নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট হচ্ছে। আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে , মানুষের ভিতরে এখন ভিন্ন স্বাদ জাগ্রত হয়েছে বিধায়, নতুন নতুন রেষ্টুরেন্টগুলো জায়গাভেদে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে । সত্যি বলতে কি, প্রতিটি রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য এবং তাদের কাস্টমার সার্ভিস সত্যিই আলাদা । যাইহোক আমি কিছুদিন আগে আমার পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম আমাদের এলাকায় নতুন করে, গ্রামীণ পরিবেশে একটি রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে যার নাম রন্ধনশালা।
মূলত শহরের ইট পাথরের জীবন থেকে, কিছুটা দূরে একদম গ্রামীণ পরিবেশে খড়কুটো দিয়ে গড়ে উঠেছে এই রন্ধনশালা রেস্টুরেন্ট । যেটা দিনের বেলার থেকে রাত্রিবেলায় কাস্টমারদের বেশি আকৃষ্ট করে। যার প্রধান কারণ , তাদের আলোকসজ্জা ও গ্রামীন পরিবেশের ডেকোরেশন ।
সদ্য নির্মিত হওয়া পাকা রাস্তার দুই পাশে একদম বিশাল ফসলের ক্ষেত , তার ভিতরে এই গ্রামীণ আদলে গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর এই রেস্টুরেন্ট । মূল কথা হচ্ছে এখানকার কাস্টমার মূলত তারাই, যারা শহরের জীবন থেকে একটু নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পছন্দ করে, ঠিক সেইরকম মানুষজন এখানকার কাস্টমার ।
নতুন বাসায় উঠার পর থেকে, এমনিতেই অনেকটা গৃহবন্দী সময় কাটে আমার পরিবারের সদস্যদের। কারণ প্রতিনিয়ত এই চারদেয়ালের ভিতর থাকতে থাকতে তারা অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছে এবং কিছুদিন থেকে তারা আমাকে বলছিলো যে, তাদের একটু বাহির থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসার জন্য । আমি আসলে তাদের বিষয়টা চিন্তা করে দেখলাম যে, তারা যেটা বলেছে সেটা একদম ঠিকই বলেছে । তবে আমি আসলে সময় পাচ্ছিলাম না। যাইহোক অবশেষে সময় পেয়ে গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে এবং সময়টাকে আমি কাজে লাগিয়ে ছিলাম ।
সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আমার মামাতো ভাই ইমুকে ফোন দিয়ে বললাম, তোর ভাবি ও আমার পরিবার নিয়ে আমরা রন্ধনশালায় যেতে চাই । তুই একটা ছোট অটো গাড়ির ব্যবস্থা কর । যাইহোক ইমু তখন মোটামুটি ফ্রী ছিল এবং সে আমাকে আশ্বস্ত করেছিল, ঠিক আছে ভাইয়া আমি গাড়ির ব্যবস্থা করছি ।
অবশেষে পুরো পরিবার নিয়ে ,আমি ও ইমু রন্ধনশালার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম। যাইহোক বাসা থেকে যেতে বিশ মিনিটের মত সময় লেগেছে এবং বিশ মিনিট পরেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম সেই কাঙ্খিত রেস্টুরেন্টে । আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন মোটামুটি সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল এবং রঙ বে রঙের আলোর মাঝে পুরো রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য যেন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ এমনিতেই নিরিবিলি প্রকৃতির মাঝে গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে আলোকসজ্জা ও তাদের অতিথিয়তা সম্পূর্ণ ছিল আলাদা রকম । যা সহজে আমাদের মনকে আকৃষ্ট করে ফেলেছে।
সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে রেস্টুরেন্টের খাবার ও রেস্টুরেন্টের ভিতরের ডেকোরেশন সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম । কারণ সেখানকার খাবার আমি অবশ্য ভালোই বলব। কারণ তাদের খাবারের মান ও টেস্ট ভালোই। তবে দাম একটু বেশি, তবে এরকম গ্রামীণ পরিবেশে এত সুন্দর করে আপ্যায়ন করেছে, এতে একটু দাম নেওয়া আমি এক কথাই বলব ঠিক আছে । যদি তাদের ডেকোরেশনের কথা বলি, তাহলে সব থেকে বেশি যে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো হচ্ছে , সেখানে অনেকগুলো ফটো বুথ তৈরি করেছে, যেমন লাভ সাইনের ফটো বুথ, তারপরে দোলনা ব্যবস্থা করেছে, তারপরে তাদের যে মূলত ডেকোরেশন গুলো খড়কুটো দিয়ে করেছে সেগুলোও অনেক সুন্দর ।
সর্বোপরি আমি ও আমার পরিবার মোটামুটি ভালোই সময় কাটিয়েছি একদম নিরিবিলি পরিবেশে এই রন্ধনশালাতে । যাইহোক আমি প্রথম পর্ব আর বেশী দীর্ঘায়িত করবো না । তবে দ্বিতীয় পর্বে চেষ্টা করবো, আমাদের মুহূর্তগুলো ভিডিও আকারে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আশাকরি আমার যারা পাঠক আছে, তাদের কাছে আমার পরবর্তী পর্বের ভিডিওটা ভালো লাগবে। আমি সেখানে পুরো রেস্টুরেন্টের ভিউ, খাবারের মান ও সবকিছু ভালোভাবে দেখানোর চেষ্টা করব এবং অবশ্যই রেস্টুরেন্টের লোকেশনটা দিয়ে দেবো । যাইহোক বন্ধুরা ভালো থাকুন এবং চেষ্টা করুন আমার সঙ্গেই থাকার জন্য এবং চোখ রাখুন আমার পরবর্তী আর্টিকেলে।
"ধন্যবাদ"
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
ভাইয়া সচরাচর আমাদের মত মানুষের জন্য শহরের কোন জায়গা বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঘুরাঘুরি করা সবসময় সম্ভব হয় না, তাই গ্রামীণ পরিবেশে যদি এই ধরনের একটি রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়, তবে আমাদের মত মানুষের জন্য খুবই সুবিধা, সকল ব্যস্ততা শেষে কিছুক্ষণ শান্তভাবে ঘোরাঘুরি করলে মনে অনেক শান্তি আসে, আপনাদের সবার ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো, নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটানোটা পৃথিবীর সবথেকে আনন্দের সময় বলে আমি মনে করি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
গ্রামীন পরিবেশে এতো সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট বাহ। আপনার বর্নণা শুনে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্ট টা আমার মতো মানুষের জন্য যারা নিরিবিলি পছন্দ করে। এবং এটা শুনে বেশ ভালো লাগল দু পাশে ফসলের খেত এবং মাঝে এই রেস্টুরেন্ট।
পরিবারের সাথে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। এবং এখানে কী ধরনের খাবার পাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ কেমন। কতৃপক্ষের ব্যবহার এসবের সমন্বয়ে আরেকটি পোস্টের আশা করব। ধন্যবাদ ভাই।
অবশ্যই পরবর্তী পোস্টে আরো ভিন্নতা থাকবে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
🤓🤓🤓
শহরের কোলাহল মুক্ত পরিবেশে দারুন একটি রেস্টুরেন্ট হয়ে উঠেছে। আমরা আমাদের জীবনকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী রেখেছি। ইট পাথরে ঘেরা এই শহরের মাঝে নিজে যেন খাঁচায় বন্দি পাখির মত। তাই নিজেকে নিজের মতো করে খুঁজে বের করতে এবং মনকে প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিতে একটু নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে আসতে ভালোই লাগে। আমার মনে হচ্ছে আপনি দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বিশেষ করে পরিবারের সাথে সুন্দর মুহূর্ত গুলো কাটাতে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আমাদের এখানেও অনেকেরই রেস্টুরেন্ট তৈরি হচ্ছে গ্রামীণ পরিবেশে। এইটা আমাদের জন্য খুবই ভাল এবং আসলেই পরিবেশ গুলো খুবই সুন্দর।তাদের ব্যবহার আচার এবং রন্ধনশালা আমার অনেক ভালো লাগলো।সত্যি বলতে এই রাতে আলোকসজ্জায় আরও সুন্দরভাবে ফুটে উঠে চমৎকার লাগে।সারাদিন ব্যস্ত থাকার পর আপনি পরিবারের সাথে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটাই সবথেকে বেস্ট। আপনাদের জন্য দোয়া রইলো ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট গুলিই শুরুর দিকে ভালো সার্ভিস দিলেও পরে আর কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারেনা। যে কারণে যত্রতত্র রেস্টুরেন্ট ব্যবসা গড়ে ওঠে আবার ঝরেও যায়। এখনকার মানুষেরা রেস্টুরেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শুধু বৈচিত্র্যময় খাবারই নয় আশেপাশের পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয় গুলোও লক্ষ্য করে। সে দিক দিয়ে রন্ধনশালা কে ভালোই মনে হচ্ছে। লোকেশন টা দিলে আমরাও এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারতাম।
পরবর্তী পর্বে ভিডিও আকারে সব ডিটেলস দেওয়া থাকবে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই আমি জানি আপনার মন-মানসিকতা তেমন একটা ভালো নেই। তবুও যে এই সময় আমাদেরকে এরকম একটা সুন্দর পোষ্ট উপহার দিয়েছেন এটা আসলে কল্পনা বিহীন ছিল। আসলে আমরা যারা শহরে থাকি, আমরা নিজেরা আমাদের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আর পরিবারের সদস্য চারদেয়ালের ভিতর একঘেয়েমি হয়ে থাকে। তারা অস্থির হয়ে থাকে বন্দি পাখির মতো সারাক্ষণ শুধু চটপট আর ডানা ঝাপটানোর ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না তাদের। কোনো সময় মুখ ফুটে বলতে পারে না। আপনি যে একটু সময় পেয়ে ভাবিকে নিয়ে রন্ধনশালায় গিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্তটা কাটিয়েছেন সত্যি ভালো লেগেছে ভাইয়া। খুবই আনন্দ পেয়েছি এবং কি আপনার উপস্থাপনাটি ছিল অসাধারণ। আপনার রাজপুত্র নাকি রাজকন্যা আমি ভুলে গিয়েছি ভাবির সাথে ফটোগ্রাফি গুলা দেখার মত ছিল। মনের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখলাম আপনার এই রন্ধনশালার স্মৃতি টাকে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলেই ঘর বন্দী থাকতে ইচ্ছা করে না, আর বেশিদিন ঘরবন্দি থাকতেও ভাল লাগেনা। তাই আপনি নতুন বাসায় উঠার পরে পরিবারের সকলকে নিয়ে আজকে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলেন এবং ভ্রমণ করলেন। এটি খুবই সুন্দর একটি দিন কেঁটেছে, আপনার এবং পরিবারের সবাই অনেক আনন্দ করেছে। এটি সত্যিই অনেক আনন্দের মুহূর্ত। আপনার পরিবার এবং সকলের প্রতি শুভকামনা রইল এবং সকলকে নিয়ে সুস্থ থাকুন এই কামনাই রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমেই বলবো ভাবিকে দেখতে মাশাল্লাহ খুব সুন্দর লাগছে। আর রেস্তোরা টিও আমার কাছে অনেক বেশি দারুণ লেগেছে। আসলে পরিবার নিয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর মজাটাই আলাদা।আপনি সব কিছু সুন্দর ভাবে লিখেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
খুব খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া, আপনি যে সময় করে পরিবারের সবাইকে ঘুরতে নিয়ে গেছেন। আসলেই পরিবারের মানুষগুলো ঘরে থাকতে থাকতে একসময় বিরক্ত হয়ে পড়ে। সবাই মিলে বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে মন অনেকটা ভালো হয়ে যায়৷ খুব সুন্দর করে সবগুলো ছবি তুলেছেন৷ রাতের বেলার ছবি হলেও খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। পরবর্তী আর্টিকেল এর জন্য অপেক্ষায় রইলাম
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখছি। পরিবারসহ এতো সুন্দর একটি গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরে এলেন খুব ভালো লাগলো।এইভাবে যেন আজীবন থাকতে পারেন সেটাই কামনা করি। ❤️❤️
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।