শব্দ দূষণ
গতরাতে অদ্ভুত রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে , এমনিতেই গতকাল বিজয় দিবস ছিল, যার কারণে চতুর্দিকে আনন্দের ছড়াছড়ি। বিজয়ের আনন্দ যেন আকাশে বাতাসে। লোকে লোকারণ্য প্রতিটি জায়গায়, সবাই নানা রকম রঙিন কাপড় পড়ে যে যার মত করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
যদিও সবার সকাল শুরুটা হয়েছিল শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে এবং সকল শহীদের এর আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিজয়ের আসল আনন্দে যেন প্রেতাত্মা ছোঁয়া দিয়েছিল।
যদিও আমি শহর অঞ্চলের কথা বলতে পারবো না , তবে গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে যখন বিকেলের দিকে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম তখন দেখছিলাম অনেক উঠতি বয়সী তরুণ ছেলেরা ছোট ট্রাক ভাড়া করে তার উপরে সাউন্ড সিস্টেম সেট করে উচ্চ শব্দে অদ্ভুত সব গান বাজিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল।গানগুলোর না ছিল তেমন কোনো অর্থ বা তেমন কোন ভাবার্থ।
তাছাড়া কিছু স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা তো হঠাৎই মোটরবাইক পেয়ে যেন উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। মোটরবাইকের গতি ছিল একদম বেপরোয়া। শুনেছিলাম পার্শ্ববর্তী এলাকায় নাকি দুটো এক্সিডেন্ট হয়েছিল। কি একটা অবস্থা, মুহূর্তেই বিজয় আনন্দে যেন ভাটা পড়েছিল।
এখানে কে রাখে কার খোঁজ, সবাই ব্যস্ত আপন আনন্দে। বিজয়ের আনন্দে সন্ধ্যার পর থেকেই প্রেতান্মার ভর করা শুরু হয় আরও বেশ সক্রিয়ভাবে। যদিও অনেক জায়গাতেই প্রেতান্মা সেভাবে ভর করতে পারেনি, তবে মফস্বল ও গ্রাম অঞ্চলের দিকের অবস্থা ছিল একদম নাজুক।
পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে চলেছে অশ্লীল সব কার্যক্রম। রাতে একদম ঠিক মত ঘুমাতে পারিনি, এমনিতেই উচ্চশব্দ তার সঙ্গে সাউন্ড বক্সের মিউজিকের ধাক্কা যেন বারবার বুকে এসে লাগছিল।
এখানে কে সুস্থ কে অসুস্থ, এসব কোন কিছু দেখার সময় কারো হাতে নেই। সবাই একত্রিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি নিয়েই যেন ব্যস্ত তারা। অবশেষে প্রেতাত্মার উচ্ছৃঙ্খল কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটেছিল যেন একদম ভোর রাতের দিকে।
জাতি হিসেবে সত্যিই আমরা বড্ড অদ্ভুত, মুহূর্তে মুহূর্তে রূপ বদলানোর স্বভাব আমাদের থেকেই গেল। এমন শব্দ দূষণযুক্ত অবস্থার যারা সৃষ্টি করেছিল, তাদের সুবুদ্ধির উদয় হোক।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তাহলে ভাবুন, এই বিজয়ের জন্য যারা আত্মহত্যাগ করেছিল তারা এসব দেখলে হয়তো হার্টফেইল করে মরে যেত। আসলে লড়ে ছিল এক সতেজ স্বপ্ন বুকে নিয়ে। কিন্তু দিন যত গেছে সেই সব স্বপ্নই ও জানে হালকা হয়ে পালকের মত উড়ে গেছে। আর মানুষের পর মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম কেবল উন্মাদনা স্রোতে ডুব সাঁতার দিয়ে যাচ্ছে।
যথার্থ বলেছেন দিদি।
আসলে যে হারে শব্দ দূষণ বেড়ে চলেছে এতে করে কিন্তু মানুষের শ্রবণ শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। আজ আপনি শব্দ দূষণ নিয়ে দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটা শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
উঠতি বয়সী কিছু কিছু তরুণেরা বিজয় দিবস হোক কিংবা ভালোবাসা দিবস-ই হোক না কেনো,তারা খুব বাজেভাবে পালন করার চেষ্টা করে। আসলে তারা এইসব দিবস গুলো এভাবে পালন করার জন্য সবসময়ই রেডি হয়ে থাকে। ওদের কারণে যে মানুষজন ডিস্টার্ব ফিল করে,তারা সেটা ভাবেও না। তাদের পরিবারের অভিভাবকেরা তাদেরকে কিছু বলে নাকি,সেটা আমার জানা নেই। যাইহোক তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
পারিবারিক শিক্ষার বড্ড অভাব আছে ভাই, এটা একদম সত্য কথা।
ভাইয়া প্রতি বছর এরকম বিজয় দিবস এলেই এলাকার ছেলেরা বক্স বাজিয়ে পিকনিক করে।এটা আসলে আমার কাছে তেমন একটা পছন্দ নয়। কেননা, ১৬ ই ডিসেম্বর একটি সম্মানীয় মাস। আমিও গতকাল বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম বক্সের বিরক্তিকর শব্দের জন্য।
আর বলিয়েন না ভাই, আমি গত রাতে ঘুমাতেই পারিনি।
এখন উৎসব মানেই উচ্চ ভলিউমে গান বাজানো। এতে অন্যের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তার খেয়াল কেউ রাখে না। দিন দিন যেনো আমাদের আনন্দ প্রকাশের ভাষা বিভৎস রুপ নিচ্ছে। ফলে উৎসব করতে যেয়ে প্রাণ হারানোর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সবার সুবুদ্ধির উদয় হোক এ কামনা করি।
সুবুদ্ধির উদয় হওয়া নতুন প্রজন্মের বড্ড দরকার।
বিজয় দিবসের আনন্দে একদল মানুষ জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে তারই উদাহরণ এটি ভাইয়া।আসলে তারা ঠিক কি গান বাজাবে, কিভাবে দিনটি উদযাপন করবে পরিবেশ বান্ধব রেখে সেটাই বোঝে না।এমন উগ্র মানুষ সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুবুদ্ধির উদয় হোক এমনটা আমিও চাই।কিন্তু কিছু কিছু মানুষের বুদ্ধি থাকলেও তারা তা সুবুদ্ধিতে প্রয়োগ করে না।মানবিক গুণ সবার মাঝে জাগ্রত হোক এমনটাই দিনশেষে কামনা করি।