গৃহপালিত পাখি
আজ মঙ্গলবার
আজ
মঙ্গলবার ২০২৪
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের বাড়ির কবুতর পাখির ফটোগ্রাফি শেয়ার। আশা করি কবুত পাখির ফটো গুলো দেখে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। তাহলে চলো ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করি।
আমি ছোট থেকে লক্ষ্য করে আসছি আমাদের পরিবারে কবুতর পালতে খুবই পছন্দ করে। তাই সে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে কবুতর রয়েছে। আমি জানি এটা শান্তি প্রিয় পাখি। তাই বিভিন্ন কারণে এ পাখিটাকে আমাদের পরিবারের সবাই পছন্দ করে। আমি খেয়াল করে থাকি এ পাখিগুলো শুধু আমাদের বাড়িতেই নয় আমার প্রত্যেকটা আঙ্কেল আন্টির বাড়িতেও এই পাখিটা রয়েছে। তবে শ্বশুরের বাড়িতে আর তাদের গ্রামে এই পাখিটা তেমন একটা পাল্টে দেখি না। তবে বাড়িতে গেলে আমাদের কবুতরগুলো মাঝেমধ্যে ফটো ধারণ করতে পারি। বেশ কিছুদিন আগে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কবুতরগুলোর ফটো ধারণ করলাম। অনেক সুন্দর ভাবে সেগুলোকে খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। বিয়ের আগে দীর্ঘদিন আমি নিজে হাতে তাদেরকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতাম। এখন তো আর সেভাবে সম্ভব হয় না তবুও বাড়িতে আসলে তাদের একটু খাওয়ানোর চেষ্টা করি। আমাদের বাড়িতে এখনো ২০-২৫ টা কবুতর রয়েছে। প্রতিনিয়ত তাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব গ্রহন করে আমার ছোট ভাইটা। আমি বাড়িতে গেলে সুযোগ করে আমিও খাবার দেই তাই ভাইয়ের দায়িত্বটা একটু কমে।
সে আগের মত কবুতরগুলো এখনো গরুর গোয়াল ঘরের চালে বসে থাকে। এছাড়াও পাশের মেজ আঙ্কেলের ছাদের উপর বসে থাকতে লক্ষ্য করি। এদিকে আমাদের বাড়ির মধ্যে একটি নারিকেল গাছ রয়েছে সেই নারিকেল গাছের পাতার উপরে বসে থাকে।আমি যখন ফটো ধারণ করছিলাম তখন সবাই তোরাই করতে বাইরে চলে গেছে তাই বেশি একটা কাছে ছিল না। তবে চেষ্টা করলাম তাদের সুন্দরভাবে ফটো ধারণ করতে। ফটো ধারণ করছিলাম মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক থেকে উড়ে এসে বাঁশের আড়ার উপর বসতে থাকলে সবাই। আর সেই সুযোগে আমিও চেষ্টা করতে থাকলাম সুন্দর করে কিছু ফটো ধারণ করতে। কবুতরগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এদের গায়ের লোমগুলো আর একটা সুন্দর হয়ে থাকে তাই এদেরকেও দেখতে ভালো লাগে।
আমাদের কবুতর ঘরটা অনেকটা পুরাতন হয়ে গেছে তাই আমি বাড়িতে বলেছিলাম ঘরটার জন্য নতুন করে আবার সমস্যার পরে। তাই জানতে পারলাম এবার শীতেই নতুন করে ঘর তৈরি করে নিয়ে আসা হবে এবং এই ঘর স্থানে স্থাপন করবে। এছাড়াও আমাদের বাড়িতে রয়েছে অনেকগুলো দেশি মুরগি। আমরা সবাই জানি দেশি মুরগির চাহিদা অনেক বেশি দাম অনেক বেশি। তাই নিজে যদি চেষ্টা করা যায় তাহলে এভাবে কবুতরের পাশাপাশি দেশি মুরগি পালা সম্ভব। দেশি মুরগিগুলো উড়ে যেতে পারে না। তবে পাকনা মিলে বেশ কিছুটা পথ উঠতে পারে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় গোয়াল ঘরের পাঁচিল এর উপরে উঠে দাঁড়িয়ে থাকে অথবা পাশের কুল গাছটাতে উঠে বসে থাকে। অনেকদিন পর এভাবে বাড়ির পাখিগুলো দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগছিল। আমারও ইচ্ছে রয়েছে আমি আমাদের বাড়িতে মায়ের মত করে পাখি পালবো। বিশেষ করে কবুতর আর মুরগি। আমার বাবুটা একটু বড় হলে আমি এ সমস্ত পাখিগুলো পালা শুরু করব। কারণ এদের দাম অনেক বেশি এবং এদের মাংস শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পোস্ট বিবরণ
| ফটোগ্রাফি | ফসলের মাঠ |
|---|---|
| ফসল | শীতকালীন |
| ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
| ক্যামেরা | Huawei |
| লোকেশন | Gangni-Meherpur |
| ফটোগ্রাফার | Simransumon |
| দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।

















কবুতর হল শান্তির প্রতীক। কবুতর পালন করতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আমাদের বাসাতেও কবুতর আছে। আর গ্রামের বাসায় বিভিন্ন রকমের পশুপাখি পালন করা হয়। আপনার এই পোস্ট দেখে ভালো লাগলো আপু।
গৃহপালিত পশু পাখি গুলো গ্ৰাম এলাকার মধ্যে লালন পালন করতে একটু বেশি সুবিধাজনক। কেননা, গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে একদম খোলা পরিবেশ।আর এই খোলা পরিবেশের মধ্যে গৃহপালিত পশু পাখি গুলো পালন করে বেশ আরামদায়ক। আমার বাসায় ও বেশ কিছু মুরগি এবং কবুতর রয়েছে।আমি সব সময় এই সব কে আদার খাওয়ার চেষ্টা করি।
অনেক ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট দেখে। অনেক সুন্দর হবে গৃহপালিত পাখি কবুতর আর মুরগির ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন দেখে খুশি হলাম।