নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া কেনো গুরুত্বপূর্ণ?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা পৃথিবীতে সব কিছুর গুরুত্ব দিলেও যেই জিনিসটির কিংবা যেই ব্যাপারটিতে মোটেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি না, কিংবা গুরুত্ব হয়তো দিতে চাইও না, সেটা হলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য যেটা আসলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যাপার। কারণ দিনের পর দিন যদি কোন মানুষ তার নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল না রাখে, বা নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নেয়, তাহলে তার একটা বড় ক্ষতি হয়ে যায়, যেটা কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয় কিংবা আসলে ক্ষতিপূরণ করাটাও সম্ভব হয় না। তাই আজকে ভাবলাম যে এই বিষয়টি নিয়ে একটু লেখালেখি করা যাক, কারণ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।
আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি যতটা যত্ন, যতটা খেয়াল কিংবা যতটা দুশ্চিন্তা রয়েছে, ঠিক ততটাই আমরা উদাসীন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ হলো আমরা যদি দিনের পর দিন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নেই এবং আমরা যদি দিনের পর দিন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করি, তাহলে একটা সময় আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে যাব, যেখানে আসলে আমরা আর কোনো রকম সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারবো না। এবং যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই, তাও আমরা সেটা ভুল সিদ্ধান্তই নেবো।
কারণ, একটা মানুষ যখন আসলে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারে না, তার যত্ন নিতে পারে না, তখন কিন্তু সে আসলে তার স্বাভাবিক মানসিকতা কিংবা স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকে না। এবং একটা ব্যাপার খুব স্বাভাবিক যে আমরা যদি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে না থাকি, কিংবা আমরা যদি আসলে স্বাভাবিকভাবে সব কিছু ভাবতে না পারি, এটাও কিন্তু খুব স্বাভাবিক যে আমরা আমাদের কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারবো না। তাই আমাদের যে কোনো সিদ্ধান্তের জন্য, বিশেষ করে জীবনে চলার পথে ভালোভাবে চলার জন্য, অত্যন্ত দরকারি হলো মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া।

