বাগানের জন্য তৈরি চারা গুলোর আপডেট

in আমার বাংলা ব্লগ17 days ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_0571.jpeg

ইতিমধ্যে বীজ থেকে চারা উৎপন্ন নিয়ে দুটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। হ্যাঁ বন্ধুরা, গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বীজ থেকে যে চারা গজিয়েছিল তার একটি পর্ব। আজকে তার পরবর্তী আপডেট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। মোটামুটি সবগুলো বীজ থেকেই চারা উৎপন্ন হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র পেঁপে গাছের চারা তৈরি করতে পারিনি। এর আগের বছরও ট্রাই করেছিলাম কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলাম। এবারও তাই হয়েছে।হয়তো বিজ ভালো ছিল না। যাইহোক যেগুলো পেয়েছি তা নিয়ে অনেক হ্যাপি। কারণ যথেষ্ট পরিমাণে চারা উৎপন্ন হয়েছে যা দেখলে আসলে মনটি জুড়িয়ে যায়। চারা উৎপন্ন হতে শুরু করে তাদের বেড়ে ওঠা পর্যন্ত দেখতে আসলে অনেক ভালো লাগে। গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম সদ্য গজানো কিউট চারাগুলো।এখন মোটামুটি বেশ ভালই বড় হয়েছে। যেহেতু একটি পটের মধ্যে অনেকগুলো চারা থাকে, এ কারণে তারা ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারেনা। এজন্য তারা একটু বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে সেপারেট পটে নিয়ে নিতে হয়। দুই তিন দিন আগে তাদেরকে সেপারেট করা হয়েছে। কিন্তু একসাথে এত চারা একদিনে করা সম্ভব হয়নি। দু তিন দিন আগে হাসবেন্ড এই কাজটি করেছে। এরপর বাকি চারাগুলো ধীরে ধীরে সেপারেট করা হবে।যাইহোক চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আমার সেপারেট করা চারাগুলো।

IMG_0514.jpeg

এই পট গুলোর মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে টমেটো, এ ছাড়াও কিছু রয়েছে লাউ ও শসা।

IMG_0517.jpeg

IMG_0518.jpeg

IMG_0515.jpeg

IMG_0516.jpeg

IMG_0520.jpeg

উপরের সবগুলো লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার চারা।

IMG_0522.jpeg

এগুলো শসা।

IMG_0568.jpeg

আর এগুলো হচ্ছে সিম গাছ। সিম গাছ বেশ ভালই বড় হয়ে গিয়েছে।দেখতে বেশ সতেজ হয়েছে। এখনই সময় হয়ে গিয়েছে বাগানে নেওয়ার। কিন্তু এখনো যথেষ্ট ঠান্ডা রয়েছে। আর কিছুদিন পরে গরম পড়লে বের করে ফেলবো।

এখনো বাকি রয়েছে সেপারেট করা কাঁচা মরিচ, করলা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স ও বরবটি। সময় মত এদেরকেও সেপারেট করা হবে। আর এই কাজটি আমার হাজব্যান্ড খুব ভালো ভাবেই করে। আমি তাকে একটু সাহায্য করি। এগুলো শুধু পটে রেখে দিলেই কিন্তু হয় না। এদের পিছনে যথেষ্ট খাটনি রয়েছে।যেমন নিয়মিত পানি দেওয়া, প্ল্যান্টের এক ধরনের ফুড পাওয়া যায় সেগুলো মাঝে মাঝে দিতে হয়। যেহেতু অনেকগুলো চারা তাই কিচেন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি রুমের জানালার পাশ দিয়ে তাদেরকে রেখে দিয়েছি। জানালার পাশে রাখলে তারা আলো ও বাতাস উভয়টি খুব ভালোভাবে পেয়ে থাকে। যাইহোক আজ তাহলে এতটুকুই। পরবর্তীতে যখন তাদেরকে আমার বাগানে নেয়া হবে তখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 16 days ago 

টব রাখার জন্যে বাসার জানালায় এক্সট্রা জায়গা রাখা হয়েছে মনে হচ্ছে। এটা কি প্লানিং করেই এরকম করা?

অনেক সবজির আবাদ করছেন বাসাবাড়িতেই। এটা খুবই ভাল একটা বিষয়।

চারা গুলো বেড়ে উঠুক ঠিক মত এবং আপনারা কাংখিত সবজিগুলো খেতে পারেন, এই কামনা রইল।

 16 days ago 

না ভাইয়া, এদেশে এমনই সিস্টেম, জানালার পাশে এভাবে অনেক জায়গা থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 16 days ago 

সদ্য বেড়ে ওঠা গাছগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। চারা গুলো খুব সতেজ হয়েই বেড়ে উঠেছে।একটু বড় হলে এই চারাগুলোকে আলাদা পাত্রে রাখতে হয়।আর ভাইয়া এই কাজটি খুব সুন্দর ভাবেই করেছেন।আর একটু বড় হলে এই চারা গাছ গুলো বাগানে নেয়া হবে।আপনার শেয়ার করা চারা গাছের বেশকিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে চমৎকার এই গাছগুলোর ফটোগ্রাফি আর আপডেট শেয়ার করার জন্য।

 16 days ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

 16 days ago 

বাগানের জন্য তৈরি চারা গুলোর দারুণ কিছু তথ্য দিয়েছেন আপনি। আপনার চারা তৈরির পদ্ধতি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপু আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুজতে পেরেছি চারা গুলো সতেজ হয়েছে। বিশেষ করে আপনার টমেটো, এ ছাড়াও কিছু রয়েছে লাউ ও শসা। কিন্তু পেঁপে চারা বীজ ভালো ছিল না তাই তৈরি হয়নি। সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 16 days ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

 16 days ago 

প্রতিবছর অনেক গাছ লাগান আপনি। শুরু থেকে যেভাবে দেখি মনে হয় যেন নিজের বাগান। সব শেষে যখন ফল ও ফুল হয় তখন আসলেই দেখতে খুব ভালো লাগে। পেঁপে গাছ যেহেতু হয় না এর পরে দেশে আসলে এখান থেকে চারা নিয়ে গিয়ে লাগায়েন। সব কিছুরই যত্নের প্রয়োজন। গাছের তো আরো বেশি। এই যত্নের জন্যই তো সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠেছে গাছগুলো।

 16 days ago 

এই পেঁপের বীজগুলো বাংলাদেশ থেকে আনা হয়েছিল। বুঝলাম না কেন হয় না?

 16 days ago 

বেশ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে চারাগাছগুলো, তবে হ্যা সিমগাছগুলো একটু বেশী বড় হয়েছে এবং বাগানে রোপন করার উপযুক্ত। আশা করছি ঠান্ডা কমে গেলে দারুণ পরিবেশে বাগানে রোপন করতে পারবেন। ধন্যবাদ

 16 days ago 

জ্বী ভাইয়া এখন অপেক্ষা করছি কবে বাগানে নিতে পারবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

 16 days ago 

মাশাল্লাহ আপু আপনি চারা গুলো দেখতে অনেক হেলদি হয়েছে। এরকম হেলদি চারাতে ও ফলোন ও হয় অনেক ভালো। তবে এবারও পেপে বিজ গুলো থেকে চারা বের করতে পারেন নাই জেনে খুব খারাপ লাগলো। তবে আপনি যদি একটা ভালো মানের পেঁপে বাসায় নিয়ে এসে সেই পেঁপে থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনি পেঁপের চারা তৈরি করতে পেরেছেন। আপনার শখের বাগান আরো ভালো হোক এই শুভ কামনাই রইল।

 16 days ago 

বাহ্ আপনি তো ভালো একটি বুদ্ধি দিয়েছেন। এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 16 days ago 

এর আগে এদের বীজ রোপন করার পোস্ট দেখেছিলাম। এখন সেগুলো থেকে গাছ হয় গেছে দেখে ভালো লাগল। আশাকরি এভাবে আর কিছুদিন যত্মে রাখলে বাগানে রোপন করলে সবজি দ্রুতই ধরবে। তবে পেঁপে গাছটা যে হলো না এটা শুনে বেশ খারাপ লাগল। এভাবে এগিয়ে যান আপু। আপনার বাগান করার এই ধারাবাহিকতা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।

 16 days ago 

আমারও অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।

 16 days ago 

মাশাআল্লাহ আপু, গাছগুলো দেখতে খুব বেশি সুন্দর লাগছে। টমেটো, লাউ, শসা এবং কুমড়ো বীজগুলো ভালো ছিল বিধায় খুব সুন্দর করে চারা গুলো উঠেছে। তবে পেঁপের বীজ ভালো হয়নি কেন সেটা বুঝলাম না আপু। নাকি সেখানে পেঁপে গাছের চারা উৎপাদন করার অন্য কোন পদ্ধতি আছে। যাইহোক গাছগুলো বাগানে নেয়ার পর অবশ্যই আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। তাহলে দেখতে পারবো। এসব কাজগুলোতে এক্সপার্ট হিসেবে ভাইয়া করলেই ভালো হবে। আপনার হেল্পও ভাইয়ার কাজে আসবে আর গাছগুলো খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠবে।

 16 days ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন আপু। হয়তো পেঁপে অন্য পদ্ধতিতে রোপন করতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 16 days ago 

বাহ্! চারাগুলো দেখতে তো আসলেই বেশ কিউট লাগছে। বীজ থেকে চারা গজালে দেখতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। চারাগুলোকে আলাদা পটে পৃথক করাতে খুব ভালো হয়েছে। আশা করি চারাগুলো এখন খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠবে। আমাদের ভাইয়া আসলেই বেশ এক্টিভ। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন আপু। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 16 days ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 16 days ago 

আপু আলো বাতাস পূর্ণ জায়গায় রাখলে গাছ তাড়াতাড়ি বাড়ে। পেঁপে গাছে আসলে নরমালি ছায়া যুক্ত স্থানে গরুর গোবর দিয়ে লাগালে দ্রুত বেড়ে যায়। ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর গাছগুলো যেন পর্যাপ্ত রোদ পায় সেদিকে একটু খেয়াল রাইখেন আপু। চারাগুলো দেখতেও চমৎকার লাগছে। বড় হলে আরও ভালো লাগবে।

 16 days ago 

পেঁপের চারাই তো উৎপন্ন করতে পারিনি।তো কিভাবে লাগাবো? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর টিপস গুলো দেয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 64092.96
ETH 3145.83
USDT 1.00
SBD 3.88