সজনে পাতার ভর্তা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সজনে পাতার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করবো। আপনারা কি এটা দেখে মেহেদি পাতা বাটা মনে করেছিলেন? দেখতে অনেকটা ওরকমই লাগছিলো। হঠাৎ করে একদিন হাজবেন্ড বাসায় সজনে পাতা নিয়ে এসেছিলো। সে কিনেনি তার বস গিফট করেছে। সজনে পাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। নিয়মিত সজনে পাতা খেলে বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। মূলত এই জন্যই এই সজনে পাতা নিয়ে এসেছিল। যদিও এর আগে আমি কখনো সজনে পাতা রান্না করিনি। তাই ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখলাম যে ভর্তা করে খাওয়া যায়। ভর্তা করে খেতে নাকি বেশ মজা লাগে। তাই এভাবে ভর্তা করেছিলাম। দেখে আমার কাছে শুরুতে খুব একটা ভালো লাগেনি। কিন্তু খাওয়ার সময় দেখলাম যে আসলেই অনেক মজা হয়েছিল। আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
চিংড়ি শুটকি
রসুন
পিঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
শুকনা মরিচ
সরিষার তেল
প্রথমে চিংড়ি শুঁটকিগুলো কড়াইতে টেলে নিয়েছি। তারপর গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি।
 |  |
|---|
এখন চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে রসুন, কাঁচা মরিচ এবং পিঁয়াজ দিয়ে ভালো মতো ভেঁজে নিয়েছি।
 |  |
|---|
ওগুলো ভাজা হয়ে গেলে সজনে পাতা দিয়ে দিয়েছি। তারপর তেলের সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।
 |  |
|---|
বেশ কিছুক্ষণ রান্নার পর লবণ দিয়ে দিয়েছি। তারপর আরো কিছুক্ষণ ভেঁজে সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে একটি বাটিতে উঠিয়ে রেখেছি।
 |  |
|---|
চুলায় আরেকটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে সরিষার তেল দিয়ে শুকনা মরিচ গুলোকে ভেঁজে নিয়েছি।
 |  |
|---|
তারপর ওই তেলের মধ্যে চিংড়ি শুটকি গুলো দিয়ে ভালোমতো ভেঁজে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এখন সবকিছু বাটায় ভালোমতো বেটে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এভাবে আমার সজনে পাতার ভর্তা তৈরি হয়ে গেলো।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | oppo reno5 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness 
OR SET @rme as your proxy
সজনে পাতার ভর্তা আমার এবং আমার বাবার, দুজনেরই খুব পছন্দ। আমাদের বাসার সামনে একটা সজনে গাছ আছে। সেখান থেকে প্রায় প্রতিদিনই আমরা সজনে পাতার ভর্তা খাই। খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ।
অনেককেই দেখছি সজনে পাতা খায়। আমি আরো জানতামই না এই পাতার ভর্তা খাওয়ার পদ্ধতি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পাতা সাজলে পাতা। এই পাতা যত রান্না করে খাওয়া যায় বা ভর্তা করে খাওয়া যায় তত নিজেদের জন্য ভালো। নিজের ছয় সাতটা গাছ থাকা সত্ত্বেও খাওয়া হয় না। অনেকদিন পর সাজনা পাতার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো।
জ্বী ভাইয়া সজনে পাতার অনেক উপকারিতা এজন্যই খাওয়া হয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এখন তো সবকিছুই মানুষের হাতের মুঠোয় ইউটিউবে সার্চ দিলে মজার মজার সব ইউনিক রেসিপির আইডিয়া পাওয়া যায় যাই হোক ভিন্ন ধরনের সজনে পাতা ভর্তা রেসিপি তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন এটা পুরোপুরি ইউনিক ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ইউটিউব থাকার কারণে কোন কিছু রান্না করতে আর অসুবিধা হয় না। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
এটা সত্যি বলেছেন আপু সজনে পাতায় অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। সজনে পাতার ভর্তা রেসিপি এর আগে অবশ্য কখনো খায়নি তবে খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমিও এই প্রথম এভাবে ভর্তা করেছিলাম। ভালো লেগেছিল খেতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমি এখন পর্যন্ত সজনে পাতার ভর্তা রেসিপি খাইনি। আজকে আপনার মাধ্যমে প্রথম সজনে পাতার ভর্তা রেসিপি দেখতে পারলাম। আপনি দেখছি খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে এতো সুন্দর একটি সজনে পাতার ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। আজকে আপনার মাধ্যমে আজকে নতুন একটি রেসিপির সাথে পরিচিত হতে পারলাম।
এভাবে সজনে পাতার ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া ভালো লাগবে এবং অনেক বেশি উপকারীও হবে।
সজনে পাতার ভর্তা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাসায় এভাবে বানিয়ে খেয়ে ফেলুন ভাইয়া অপেক্ষা কেন।
সজনে পাতার ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দ। এদিকে তো একদমই পাওয়া যায় না। নানু বাড়িতে গেলে একটু খাওয়া যায় এই ভর্তা। তবে আমরা একটু অন্যরকম ভাবে এই ভর্তাটা তৈরি করি। চিংড়ি শুটকি দিয়ে তৈরি করাই খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনার সজনে পাতার ভর্তা পছন্দের জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
দারুন একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে আজ শেয়ার করেছেন। কেননা এই সজনে পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর আপনি খুব দারুণভাবে এই রেসিপি তৈরীর বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আজকের পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সজনে পাতার অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। এজন্য মাঝে মাঝে খাওয়া উচিত। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।