টমেটো দিয়ে মাছের ডিমের বড়ার ঝোল রেসিপি।।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে আরম্ভ করিতেছি-
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে টমেটো দিয়ে মাছের বড়া রেসিপি শেয়ার করবো।
একদিন সন্ধ্যার সময় আমার হাজব্যান্ড বড় বড় তিনটি ঘনিয়া মাছ নিয়ে আসলেন। সন্ধ্যার সময় সাধারণত তিনি মাছ আনেন না কিন্তু ঐদিন মাছ গুলো দেখে আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম সন্ধ্যার সময় কেন মাছ আনলেন। তিনি বললেন রাস্তায় মাছ গুলো দেখে পছন্দ হয়ে যায়। আর এই মাছ গুলো বরশি দিয়ে ধরা হয়েছিল। আমি চাষের মাছ তেমন খাই না। তাই তিনি চাষের মাছ আনে না। তবে এগুলো হাওরের মাছ হওয়ার কারনে আনলেন। মাছ গুলো যখন নিয়ে এসেছেন তখনও মাছ গুলো জীবিত ছিল। আর মাছ গুলোর পেটে অনেক গুলো ডিম ছিল। আমি মাছ গুলো কেটে ডিম গুলো আলাদা করে ফেললাম। তারপর চিন্তা করলাম এগুলো দিয়ে বড়া বানাবো। তাই বড়া বানিয়ে রান্না করার সময় ফটোগ্রাফি করেছি। রেসিপি টি অনেক স্বাদ হয়েছে। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
- মাছের ডিম আড়াইশো গ্রাম
- টমেটো তিনটি
- কাচাঁ লঙ্কা ৭টি
- পেয়াঁজ কুচি পরিমান মত
- আঁদা বাটা পরিমান মত
- রসুন বাটা পরিমান মত
- মরিচের গুঁড়ো পরিমান মত
- হলুদের গুঁড়ো পরিমান মত
- জিরে গুঁড়ো পরিমান মত
- লবণ পরিমান মত
- তেল পরিমান মত
- পানি পরিমান মত
- বেসন আঁধা কাপ
রন্ধন পক্রিয়া
প্রথমে আমি একটি বাটিতে মাছের ডিম গুলো নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো লবণ হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, কেটে কুঁচি করে রাখা কাঁচা লঙ্কা ও বেসন সবকিছু একসাথে মিক্স করে নিলাম।
এ পর্যায়ে আমি চুলাতে একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তারপর তেলটা কিছুটা গরম হওয়ার পরে আমি মিক্স করা সবগুলো উপকরণ দিয়ে বড়া বানিয়ে ধীরে ধীরে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
বড়া গুলো তেলের মধ্যে দেওয়ার পরে আগুনের আঁচ কিছুটা বাড়িয়ে দিলাম। তারপর আমি ধীরে ধীরে মাছের ডিমের বড়া গুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ভালোভাবে ভেজে একটি মাটির পাত্রে রাখলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মাছের বড়া গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
এবার বড়া গুলো রান্না করার পালা তার জন্য বড়াগুলো নামিয়ে কড়াইতে আবার তেল দিয়ে দিলাম। তারপর পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, মরিচের গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো,কাঁচা লঙ্কা করাইতে দিয়ে দিলাম।
তারপর সবগুলো মসলা একসাথে মিক্স করে নিলাম তারপর কেটে রাখা টমেটো গুলো মসলার সাথে কড়াইয়ের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
তারপর মসলার সাথে টমেটো গুলো মিক্স করে কিছুটা পানি দিয়ে সব গুলো কষিয়ে নিলাম।
প্রায় দশ বারো মিনিট রান্না করে পর্যাপ্ত পরিমান ঝোল দিয়ে তাতে ভেজে রাখা মাছের বড়া গুলো দিয়ে দিলাম।
ঝোল দিয়ে বিশ মিনিট রান্না করার পরে লবন টেষ্ট করে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। আমার সুস্বাদু রেসিপি হয়ে গেছে।
পরিবেশন-
বন্ধুরা এই হলো আমার টমেটো দিয়ে মাছের সুস্বাদু বড়ার ঝোল রেসিপি। রেসিপিটা আমি দুপুরের দিকে করেছিলাম। তখন প্রচন্ড গরম ছিল তারপরও চেষ্টা করেছি সব উপকরণ ও মসলা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে। রেসিপিটা করার পরে মোটামুটি ভালই হয়েছে। তবে আমি ঝোলের পরিমাণটা একটু বেশি রেখেছিলাম। যদি ঝোল না রেখে শুকনো শুকনো ভুনা করতাম। তাহলে আরো বেশি সুস্বাদু হতো। তো বন্ধুরা আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | টমেটো দিয়ে মাছের ডিমের বড়ার ঝোল রেসিপি। |
স্থান | নিজ বাসা,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ৩০/০৪/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার রেসিপি তৈরি কিন্তু বেশ চমৎকার ছিল আপু। আপনার এত সুন্দর রেসিপি করতে দেখে আমি খুশি হয়েছি। বেশি দারুণভাবে রেসিপি সম্পন্ন করেছেন। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে আপনার এ মাছের রেসিপিটা।
আপনি আমার এই রেসিপিটা দেখে অনেক খুশি হয়েছেন।যেনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি রুচি সম্পন্ন খাবার তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো টমেটো আর মাছের এত সুন্দর বড়া তৈরি করতে দেখে। বেশ নতুন একটা ইউনিক রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম।
ভাইয়া এটা ইউনিকই, কারণ এটা সবাই করে খায় না।তাছাড়া এভাবে আমিও আগে জানতাম না। আমার শাশুড়ির কাছ থেকে এই রেসিপিটা আমি শিখেছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। মাছ ব্যবহার করে আপনি যেভাবে বড়া তৈরি করেছেন তা এর আগে আমি কোন সময় দেখেছিলাম না। প্রথমবারের মতো এটা যদি খেতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো লাগতো।
জি ভাইয়া,আমার কাছেও রেসিপিটি অনেক ভালো লেগেছে। আপনিও তাহলে মাছের ডিম দিয়ে এরকম বড়া বানিয়ে একবার রেসিপি করে খেয়ে দেখেন। খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
টমেটো দিয়ে মাছের বড়া রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এত মজাদার রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন, রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটি দেখে আপনার কাছে খুবই ভালো লাগার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে মাছের ডিমের তৈরি রেসিপি গুলো খুবই মজা লাগে তবে মাছের ডিম দিয়ে বড়া তৈরি করে কখনো রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি তাই অনেকটা ইউনিক মনে হয়েছে। পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে লোভনীয় এই রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া, মাছের ডিম দিয়ে যে কোন রেসিপি খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া এভাবে বড়া বানিয়ে রেসিপি তৈরি করলে আরো ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার বর বড়ো বড়ো হাওরের মাছ এনেছে জেনে ভালো লাগলো।আপনি চমৎকার সুন্দর করে মাছের ডিমের বড়ার ঝোল বানিয়েছেন আপু ভীষণ চমৎকার ও সুস্বাদু হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জ্বিআপু আমি যেহেতু চাষের মাছ খাই না। আমার জন্য আমার বর সব সময় নদীর মাছ আনার চেষ্টা করেন। আর ঐদিন ঘনিয়া মাছের পেটের ডিম গুলো দিয়ে এই রেসিপিটি তৈরি করেছি। ধন্যবাদ আপু
আপু আপনার পোস্টের টাইটেলে খুব সম্ভবত মাছের ডিমের বড়া হতো। মাছের ডিমের বড়া এভাবে ভুনা করে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
ভাইয়া আপনার কথাটি ঠিকই আছে আমার টাইটেলের লেখাটা আমি খেয়াল করিনি। জি ভাইয়া রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি অনেক সুন্দর করে কমেন্টস করেছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু হাওরের মাছ এমনিতেই অনেক টেস্ট হয়। টমেটো দিয়ে মাছের বড়ার এত সুন্দর রেসিপি অবশ্য এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার টমেটো দিয়ে মাছের বড়ার এই রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আসলে ছেলে মানুষ রাস্তাঘাটে তাজা মাছ দেখলে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না। কারন সব সময় তো চাষের মাছই খাওয়া হয়। এরকম নদীর মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না। এজন্য হয়তো ভাইয়া সন্ধ্যার সময়ও মাছ নিয়ে এসেছিল। যাই হোক মাছের ডিমের খুব চমৎকার রেসিপি তৈরি করেছেন। মাছের ডিমতো সবসময় ভুনা খাওয়া হয়। এরকম রেসিপি প্রথম দেখলাম। একেবারে ইউনিক লেগেছি রেসিপিটি আমার কাছে।