প্রতিযোগিতা-৬৭ || শীতের মিশালী সবজি দিয়ে বড়ি- পালং নিরামিষ ঘন্ট ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪|| সোমবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোষ্ট এর শিরোনাম দেখেই বুঝে ফেলেছেন, প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চলমান প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ করবো এই রেসিপি দিয়েই। শীতকালের অন্যতম প্রধান ভালো লাগার দিক ই হচ্ছে নানা রঙের সবজির বাহার! ভরপুর শীতের মরশুমে বাজারে গেলে যেন এত রঙের সবজি দেখে মনটাই ফুরফুরে হয়ে উঠে। আর আমরা তো জানিই, যত রঙ- বেরঙ এর সবজি খাবার পাতে থাকবে, শরীরের জন্য ততই ভালো। শীতকালে আমার সবচেয়ে সেরা, সবচেয়ে পছন্দের রেসিপি হচ্ছে - শীতের সবজি দিয়ে কুমড়ো বড়ি- পালং শাক ঘন্ট! এই রান্না টা একদম কম মসলা দিয়ে এবং নিরামিষ ভাবে করি আমি। এতে সবজির স্বাদ গুলো বেশ বোঝা যায়! আর সাথে কুমড়ো বড়ি এবং পালং শাক যুক্ত হওয়ায় স্বাদ তো আরোও বাড়িয়ে দেয়। শীতকালে এই রেসিপি টা মোটামুটি স্বর্গীয় স্বাদ এর অনুভূতি দেয় যেনো! 😋😋। এই রেসিপিটায় যত রকমের সবজি পাওয়া যায়, সব ই দেয়া যায়। বেগুল-মূলা, কুমড়ো বড়ি আর পালংশাক এর কম্বিনেশন টাই রান্নার মূল স্বাদ জমিয়ে দেয়, তার সাথে আরোও যত সবজি যোগ করা যায়, ততই মজা! যারা খেয়েছেন এই সবজি, তারা তো সকলেই জানবেন ই! যারা এভাবে খান নি, আমি অনুরোধ করবো একবার হলেও এভাবে করে খেয়ে দেখবেন। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সরাসরি রান্নায় চলে যাই। তার আগে এক নজরে রান্নার উপকরণ গুলোও দেখে নেই....
উপকরণসমূহ :-
উপকরণ : | পরিমাণ : |
---|---|
ফুলকপি | অর্ধেক টা মতোন |
বাধাকপি | ১/৪ অংশ |
মূলা | ২ টা |
লম্বা বেগুণ | ২ টা |
সীম | ১০ টার মতোন |
নতুন আলু | ৪ টি |
গাজর | বড় - ১ টা |
পালং শাক | ১ আটি |
কুমড়ো বড়ি | ৬ টি |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | সামান্য |
আদা বাটা | সামান্য |
গোটা মৌরি, পাঁচফোড়ন | সামান্য |
শুকনো মরিচ | ২ টি |
কাচামরিচ | ৫ /৬ টি |
চিনি | কয়েক দানা |
তেজপাতা | ২ টি |
রন্ধনপ্রণালীঃ
ধাপ-১ :
প্রথমে আমি সকল সবজি গুলোকে প্রায় একই রকম সাইজে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২ :
এবারে শাক এবং ধনিয়াপাতাও ভালো করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩ :
এবারে একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে কুমড়ো বড়ি গুলো ভালো করে ভেজে তুলে রাখবো।
ধাপ-৪ :
এরপর একই তেলে প্রথমে কেটে রাখা আলু, মূলা আর গাজর গুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে নিবো। সেগুলো লাল লাল হয়ে এলে এবারে বাকি সব সবজি গুলো যোগ করে আবারো ভাজতে থাকবো। এর মাঝেই সাথে কাচামরিচ, লবণ, হলুদ যোগ করে দিবো। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে ঢেকে দিয়েছি। আঁচ মাঝারি রেখেছি পুরো টা সময়। এতে সবজির রঙ টা বেশ বজায় থাকে! নষ্ট হয় না।
ধাপ-৫ :
এরপর কেটে রাখা পালং শাক গুলো দিয়ে দিবো। এই রান্নায় আলাদা করে আর কোনো পানি ব্যবহার করতে হয় নি। সবজি এবং শাক থেকেই যে পানি বের হয়েছে তা দিয়েই সবগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়। শাকের পানি কিছুটা ছেড়ে দিলে কুমড়ো বড়ি গুলোও যোগ করে দিয়েছি। সব ভালো করে সিদ্ধ হয়ে এলে একটি গামলায় তুলে রেখেছি।
ধাপ-৬ :
এরপর কড়াই ধুয়ে আবার অল্প তেল গরম করে নিয়েছি। এতে ২ টি তেজপাতা, ২টি শুকনো লঙ্কা, সামান্য পরিমাণ গোটা পাঁচফোড়ন এবং কিছুটা মৌরি ফোড়ন দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭ :
এরপর সেই তেলে সামান্য পরিমাণ আদা বাটা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি। এবারে তুলে রাখা সবজি দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। সবশেষে ধনিয়াপাতা এবং সামান্য কয়েক দানা চিনি যোগ করে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশনঃ
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
রেসিপিটি আমার দারুন পছন্দ হয়েছে। আপনি দারুন একটি রেসিপি করেছেন। যা দেখে কিনা আমারও বেশ খেতে মন চাইছে। এমন করে রান্না করলে কিন্তু অনায়াসে অনেক ভাত খাওয়া যায়। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যা আপু! সত্যি কথা বলতে, আমারো বেশি ভাত খাওয়া হয়ে গিয়েছিলো রাতে 🫢😋
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি খুবই মজাদার শীতের এই সুস্বাদু সবজি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করলো।
খুবই মজা হয়েছে খেতে ভাই! রাতে ভাত খাওয়া বেশি হয়ে গিয়েছে এই রেসিপির জন্য 😋😋
সবজি দিয়ে বড়ি- পালং নিরামিষ ঘন্ট দেখে মজাদার রেসিপি মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপির পরিবেশের আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
শীতকালের প্রধান প্রধান সব সবজির সমারহ ঘটিয়েছেন।পুষ্টিকর এবং মজাদার সবজি দিয়ে নতুন একটি রেসিপি তৈরি করছেন আপনি।এরকম পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইউনিক এ রেসিপিটি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এই রেসিপি টি আসলেই একইসাথে পুষ্টিকর এবং মজাদার!
কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। শীতকালীন রকমারি সবজি গুলি দিয়ে মজাদার একটি ঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ স্বাদ হয়েছিল। এরকম পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভীষণ মজা হয়েছিল ভাই খেতে। 😋
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি বিয়ের শীতকালীন অনেক রকমের শাকসবজি সমন্বয়ে রেসিপি তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আপনার রেসিপি টা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। অসাধারণ হয়েছে আপনার এই রেসিপি তৈরি করা।
ধন্যবাদ সুমন ভাই।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখি খুব ভালো লাগলো। প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। পালং শাক, বড়ি এবং অন্যান্য শীতের সবজি দিয়ে দারুন একটি সবজি রান্না করেছেন। এভাবে সবজি রান্না করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়।রন্ধন পদ্ধতি বেশ চমৎকার লাগলো। বিস্তারিত বর্ণনা সহকারে রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
আপনাকেও ধন্যবাদ। পুরো পোস্ট টি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন অভিনন্দন আপু আপনাকে। শীতকালীন সবজি,বড়ি ও পালং দিয়ে নিরামিষ ঘন্ট দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। মজাদার এই রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। শুভ কামনা রইলো আপু আপনার জন্য।
চেষ্টা করেছি গুছিয়ে উপস্থাপন করার। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।