||নকশী ইলিশ ভাপা পিঠা ||
|| আজ ২১ মার্চ,২০২৪ || রোজ: বৃহস্পতিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে যেমন আছি, ভালো আছি। তবে আগের পোস্টে বলেছিলাম যে অস্থিরতার ভেতর দিয়ে সময় কাটছে কিছুটা।তবে এটাও প্রকৃতির ই নিয়ম। যাই হোক, টাইটেল দেখেই ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন, আজ একটি চলমান প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। যদিও জানি ইতিমধ্যে সময়সীমা শেষ। তবুও, করেছি যখন, তাই আইডিয়াটুকুই শেয়ার করা। এবারের প্রতিযোগিতায় অনেকেই অনেক ভাবে তাদের নকশী পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। যা বিভিন্ন ভাবেই আকর্ষণীয় করা হয়েছে বিভিন্ন ফুড কালার ব্যবহার করেও। তবে আমি চেষ্টা করেছি প্রাকৃতিক ভাবেই ডেকোরেশন করে ভাপা পিঠায় একটা নকশী পিঠার ভাব ফুটিয়ে তুলতে। আমার মনে হয় একটু ভিন্ন ভাবে এই ভাপা পিঠা পরিবেশন করলেও তা টেবিলে বাকিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। আমি আশা করছি আমার আজকের পোষ্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
- চালের গুড়া -১ কাপ
- ইলিশ মাছ - ১ টি
- পেয়াজ কুচি- ২টি মাঝারি সাইজের
- কাচামরিচ কুচি- ৩/৪ টা
- হলুদ গুড়া
- লবণ -স্বাদমতো
- গাজর - ডেকোরেশন এর জন্য
- সয়াবিন তেল
- ধনিয়াপাতা কুচি -পরিমাণ মতো
ধাপ-১
আমি প্রথমেই ইলিশ মাছ টা লবণ হলুদ দিয়ে মেখে সয়াবিন তেলে ভালো করে ভেজে নিয়েছি। এরপর হাত দিয়ে বেশ ভালো করে মাছটা কাটা বেছে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবারে পেয়াজ, মরিচ, ধনিয়াপাতা গুলো ভাল করে কুচি করে নিয়েছি। এবং বেছে রাখা ইলিশ মাছের সাথে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবারে চালের গুড়াটা তৈরি করে নিবো। প্রথমে চালের গুড়া চালনী দিয়ে চেলে নিয়েছি। এবং পরিমাণ মতো লবণ পানি দিয়ে চালটা মেখে নিয়েছি ভাপা পিঠার জন্য যেমন করে তৈরি করতে হয়।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
ধাপ-৪
এবার একটা পাত্রে প্রথমে চালের গুড়া তারপর ধনিয়াপাতা সহ ইলিশ মাছের মিশ্রণ টি ছিটিয়ে দিয়ে আবার আরো কিছু চালের গুড়া ছিটিয়ে তার উপর ধনিয়াপাতা এবং গাজর দিয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবারে চুলায় একটি জলের হাড়ি বসিয়ে পিঠাটি ভাপিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আরেহ বাহ!এটা তো বেশ ইউনিক লাগল। নকশি ইলিশ ভাপা পিঠা বেশ দারুন ছিল। প্রতিটা কাজ আমার ভীষণ ভালো লাগে আপনার। আপনি অসুস্থ ছিলেন তারপর সুন্দর একটা কাজ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হলেন বেশ ভালো। খুবই খারাপ লাগতেছে সময়ের মধ্যে আপনি পোস্টটি করতে পারেন নাই। এটা বেশ ভালো একটা অবস্থান অর্জন করতে পারতেন। আপনার চিন্তাধারা এতটাই সুন্দর। আপনি আমাদের মাঝে তাও শেয়ার করলেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
না ভাই, আমি ভালোলাগা থেকেই শেয়ার করেছি। প্রতিযোগিতা মানেই আনন্দের সাথে নিজের আইডিয়া উপস্থাপন করা। তাই সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও, নিজের আইডাটা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি আনন্দ নিয়েই। আপনার দারুণ মন্তব্য প্রকাশ করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জাষ্ট অসাধারণ 😍
আপনার ইলিশ ভাপা নকশী পিঠা দেখে সত্যিই লোভ সামলানো মুশকিল। আমি এধরনের পিঠা এই প্রথম দেখলাম। এটা রং বিহীন এবং প্রাকৃতিক ডেকোরেশন করা। নিঃসন্দেহে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। বিশেষ করে আপনার চিন্তা চেতনার প্রশংশা করতেই হচ্ছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।
আমিও আসলে ভাবছিলাম ফুডকালার ছাড়াই কিভাবে একটু ভিন্নভাবে নকশা টা করা যায়। সেখান থেকেই এই চেষ্টা। আর খেতে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। সাথে সর্ষে বাটা থাকলে জমে যেত আরো।
এবারের প্রতিযোগিতার ধরন টাই ছিল অন্যবার থেকে সুন্দর তাই সুন্দর সুন্দর নকশা বাহারি ডিজাইন আমরা দিখছি।আজ আপনি করেছেন নকশি ইলিশ ভাপা পিঠা এই রেসিপিটা একদমই ইউনিক ছিল।এই নামে আমি রেসিপি শুনিনি আগে খুবই চমৎকার হয়েছে এবং সুন্দর করে আপনি উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইল।
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতিটি প্রতিযোগিতা ই হয় দারুণ কিছু!! আর এমন প্রতিযোগিতা গুলো আমাদের চিন্তা চেতনাকে বাড়িয়ে তুলতে বেশ সহায়তা করে।আপনার এত সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
কি যে বলে মন্তব্য করবো সেটার ভাষাই কিন্তু হারিয়ে ফেলেছি। এমন ইউনিক রেসিপি কিন্তু দেখে আর চোখ ফেরানো যায় না। দারুন একটি আনকমন রেসিপি আজ শেয়ার করলেন। খুব সুন্দর করে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এমন ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ মাকসুদা আপু। আপনার দারুণ মন্তব্য পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
বাহ আপু আপনি নকশি ইলিশ ভাপা পিটার দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। প্রাকৃতিকভাবে ডেকোরেশন করে খুব সুন্দর ধরনের একটি ডিজাইন আপনি ভাবা পিঠার মধ্যে তুলে ধরেছেন। একদম অসাধারণ একটি রেসিপি ডিজাইন ছিল এটি। সাথে রেসিপিটি তৈরির প্রক্রিয়াগুলি ও আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। যদিও বা আপনি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেননি তাও আমাদের এত সুন্দর একটি রেসিপি দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আশা করছি আপনার মাধ্যমে আগামীতে আরো দারুন দারুন রেসিপি দেখতে পারবো আমরা।
সেটাই ভাই৷ অংশগ্রহণ করতে কিছুটা দেরি করে ফেলেছি৷ তবুও প্রতিযোগিতার জন্যই যেহেতু আইডিয়া টি মাথায় এসেছিলো এবং করেও ফেলেছি। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
আপনি কি প্রতিযোগিতার নিয়ম ভালো ভাবে পড়েছেন? সকাল ৮ টায় সময় শেষ হয়ে গিয়েছিলো।
জি ভাইয়া। আমি দেখেছি এবং অবগত যে আমি সময়মতো অংশগ্রহণ করতে পারি নি। তবুও প্রতিযোগিতা মানে তো আর পুরষ্কারের জন্য প্রতিযোগিতা না, শুধুমাত্র আমার চিন্তাভাবনাটুকুই শেয়ার করা। যেহেতু আমি নিয়ম মানতে পারি নি তাই প্রতিযোগিতায় কাউন্ট না করা হলেও কোন আফসোস নেই ভাইয়া৷
আপনার অংশগ্রহণটি একসেপ্ট করা হয়েছে, তবে পরবর্তীতে সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবেন.
অবশ্যই ভাইয়া, আশা করছি এমনটা আর কখনোই হবে না। পাশাপাশি অসংখ্য ধন্যবাদ এবারের অংশগ্রহণ টিকে একসেপ্ট করার জন্যও ।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আসলে আপনার আইডিয়াটি একদম ইউনিক ছিল। এভাবে কখনোই চিন্তা করা হয়নি। ইলিশ দিয়ে ভাপা পিঠার রেসিপি। এই নকশী পিঠার রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনার আইডিয়াটা দেখে নতুন ছিলো,আপনার মাধ্যমে নতুন একটা রেসিপি শিখতে পারলাম।
ভাপা পিঠা ত সাধারণত মিষ্টিই খাওয়া হয়। আমি একটু অন্য রকম ভাবে চেষ্টা করে দেখলাম ভাই। আপনার দারুণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিযোগিতার সময় শেষ তাতে কি আমরা তো মজার পিঠা রেসিপিটি পেলাম।একদমই ইউনিক।ইলিশ মাছ দিয়ে চমৎকার সুন্দর পদ্ধতিতে যে পিঠা হয় জানা ছিলো না।দেখে লোভ লেগে গেলো।ভীষণ চমৎকার সুন্দর হয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোন প্রকার ফুড কালারের ব্যাবহার ছাড়াই আকর্ষণীয় রেসিপি করেছো।সত্যি প্রসংশার দাবিদার তুমি।খেয়েছো অনেক মজা করে বুঝতেই পারছি।ধাপে ধাপে চমৎকার করে পিঠা তৈরি পদ্ধতির সব খুটিনাটি শেয়ার করেছো আমাদের সাথে।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি তোমার চমৎকার মতামত শেয়ার করার জন্য। 🥰
আপনার চিন্তাভাবনার প্রশংসা করতেই হয়। খুবই ইউনিক একটি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইলিশ মাছ দিয়ে পিঠা বানানোর কথা কখনো চিন্তাও করিনি। পিঠাটি দেখতে বেশ লোভনীয় এবং আকর্ষণীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপু নতুন একটি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু। একটু কাচামরিচ আর ধনিয়াপাতার সাথে ইলিশের ফ্লেভার মিলেমিশে আমার কাছে বেশ অন্যরকম মজার ই লেগেছে। তবে সাথে একটু সর্ষে বাটা থাকলে আরো জমে যেত যেন বিষয় টা! আপনার প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য ভালোবাসা আপু। 🫰