অল্পতে খুশি থাকার মানে

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg


আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

অল্পতে খুশি থাকার মানে আমার কাছে অনেক বড় একটা শান্তির জায়গা। আগে হয়তো ভাবতাম, বড় কিছু পেলে তবেই খুশি হওয়া যায়। কিন্তু সময় গড়াতে গড়াতে বুঝলাম, জীবনের আসল আনন্দটা লুকিয়ে থাকে ছোট ছোট মুহূর্তে, ছোট ছোট পাওয়াতে।

যেমন ধরো, হুট করে একটা প্রিয় গান কানে এলে মন ভালো হয়ে যায়। বা বিকেলের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলে এক ধরনের শান্তি কাজ করে। আবার মায়ের হাতের রান্না খাওয়া, বন্ধুর হালকা একটা মেসেজ, কিংবা হঠাৎ করেই আকাশে রংধনু দেখে যাওয়াও আমাকে খুশি করে তোলে। এসব কিছুই হয়তো খুব সাধারণ, কিন্তু এগুলোর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে অনেক সত্যিকারের আনন্দ।

অল্পতে খুশি থাকার মানে এই না যে আমি বড় কিছু চাই না বা স্বপ্ন দেখি না। আমি চাই, স্বপ্নও দেখি, কিন্তু সেটার পেছনে ছুটতে গিয়ে যেন যেটুকু আছে সেটাকেই অস্বীকার না করি। কারণ প্রতিদিনকার জীবনে যেটুকু পাই, সেটাও তো অনেকের কাছে অনেক বড় কিছু।

নিজের মনের শান্তিটা অনেকাংশে নির্ভর করে এই অল্পতে খুশি থাকার অভ্যাসটার উপর। আমি যখন চারপাশের মানুষদের দেখি যারা সবকিছু পেয়েও হাসে না, তখন আরও বেশি বুঝি যে, খুশি থাকা কোনো বাইরের কিছু না, এটা একেবারেই নিজের ভেতরের ব্যাপার।

তাই আমি এখন আর বড় কিছু না পেলে মন খারাপ করি না। বরং যেটুকু আছে, সেটা নিয়েই ভালো থাকার চেষ্টা করি। অল্পতে খুশি থাকতে পারা একটা শিল্প, আর আমি সেই শিল্পটা রপ্ত করার চেষ্টা করছি প্রতিদিন।

ABB.gif