ব্যাঙ্গালুরু টিমের বেস্ট ফিনিশার দীনেশ কার্তিক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতদিন ব্যাঙ্গালুরু আর পাঞ্জাবের মধ্যে খেলা ছিল। এই আইপিএল এ মোটামুটি বেশ ভালোই খেলছে যেকয়টা দেখলাম তাতে। গতকালকের ম্যাচটাও বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল, খেলার মধ্যে একটা উত্তেজনা কাজ না করলে সেই খেলাটা ঝিমানো মনে হয়। গতকাল ব্যাঙ্গালোরের মাঠে অর্থাৎ ঘরের মাঠেই খেলাটা হয়েছে, ফলে ব্যাঙ্গালোর ছেড়ে দেওয়ার কথা তো নয়, এই ম্যাচ তারা যেকোনো মতেই জিতবে। টসেও তারা জিতে যায় আর এইবার ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। প্রথমত পাঞ্জাবের খেলা একদম নেতিয়ে গিয়েছিলো অর্থাৎ প্রথম ৬ ওভার যে ভাইটাল অভার থাকে এই টি২০ তে সেটাতেই অবস্থা করুন ছিল। ধাওয়ান তো বল খেয়েই যাচ্ছিলো আর ব্রিটিশ একজন প্লেয়ার সে কি খেললো বুঝলাম না, যেন গা ছেড়ে খেলার মতো একটা খেলা খেললো, দেখে যেটা মনে হলো ধাওয়ান এর আসলে আগের মতো সেই খেলা আর নেই।
তবে খেলতে না পারলেও টিকে ছিল আর সুযোগ মতো পরে মোটামুটি খেলে দিয়েছিলো কিছুটা। রানের যে অবস্থা ছিল তার রান রেট অনুযায়ী ১৫০ মতো হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু খেলায় মোড় ঘুরেছে লাস্ট ২-৩ টা ওভারে। যশ একমাত্র ভালো বল করেছে প্রথম থেকেই, ধারালো বল করা যাকে বলে, মনে হচ্ছিলো দ্বিতীয় ওভারটাই মেইডেন অভার হয়ে যাবে। এর ওভারে মোটামুটি অনেক রান চেপে গিয়েছিলো, যদিও লাস্ট ওভারে একটু মার খেয়েছে আর এটা হও টি২০ তে। প্রথমত এদের রানগুলো উঠেছে মাঝখানে কিছুটা আবার ৬ ওভারের পরে কিছুটা। সব মিলিয়ে লাস্টের দিকে ১৭৬ রানে চলে যায়। এটা অনেকটা বিগ টার্গেটের মতো বলা যায়। সব থেকে খেলায় ইন্টারেষ্টিং এসেছে লাস্টের দিকে কারণ ব্যাঙ্গালুরু শুরুটা ভালো করলেও পরে গিয়ে উইকেট পড়ে যাওয়ায় বিপদ হয়ে যায়।
কোহলি একা মোটামুটি বেশ ভালোই খেলে দিয়েছিলো, কিন্তু ম্যাক্সওয়েল, দু প্লেসি এরা কেউই টিকতে পারেনি, এসেই আউট হয়ে যায়। ফলে একটা বাড়তি প্রেসার পড়ে যায়, কারণ রিকুইরেড রান রেট হঠাৎ করে ১১ চলে যায় যেখানে ৮ দরকার ছিল। কোহলি একাই এই রানের ৫০% এর বেশি তুলে দিয়ে গিয়েছিলো। তবে বেশ ফিনিশার হলো দীনেশ কার্তিক, বরাবরই সে ফিনিশার হিসেবে ভালো খেলে আর বেশিরভাগ ম্যাচ উইনও হয়ে থাকে এই ক্ষেত্রে। গতকালকের ম্যাচটা যদি জিতে থাকে, তাহলে ই কার্তিকের জন্যই, নাহলে চাপ ছিল রান তোলা।
মাহিপাল নামের একজনও তার সাথে একটু খেলে দিয়েছিলো, ফলে রানটা দ্রুত উঠে গিয়েছিলো। তবে এখানে বেশ ভালো কিছু ফিল্ডিংও দেখা গিয়েছে, যেমন ব্যাঙ্গালোরের দিকে যদি বলি তাহলে তাদের কিপার একটা ব্রিলিয়ান্ট ক্যাচ ধরেছিলো, অনেক উঁচুর বল, কঠিনও ছিল। এছাড়া পাঞ্জাবের দিক থেকেও ভালো ফিল্ডিং ছিল, বেশ কিছু বাউন্ডারি বাঁচিয়েছে। রাবাডা আর হরপ্রীত এই দুইজনের ৮ ওভার বিশাল রান চেপে দিয়েছিলো, মাত্র ৩৬ রান উঠেছিল এই ৮ ওভারে। এইটা একটা বিশাল ফ্যাক্ট ছিল রান রেট বেড়ে যাওয়ার পিছনে। যাইহোক, প্রথম ম্যাচ হারার পরে এইটা বেশ লড়াই করে জিততে পেরেছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বেঙ্গালুরু টিমের বেস্ট ফিনিশিয়াল হিসেবে কাজ করেছে দিনেশ কার্তিক। কালকে খেলাটি আমি দেখেছি। খেলাটি অসাধারণ ছিল। কোহেলি একাই ফিফটি পার্সেন্ট এর বেশি রান করেছিল, কিন্তু তার পরেও অনেকটা আশা ছেড়ে দিয়েছিল, কিন্তু শেষ ফিনিশিয়াল হিসেবে দীনেশ কার্তিক আবারো প্রমাণ করে দিল এবং ম্যাচ জিতে দিলো।ম্যাচটি দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার। আর সেরা ফিনিশিয়া হিসাবে কার্তিকদা আবারো নিজেকে প্রমাণ করে দিলেন।
দাদা আইপিএল এর বেশিরভাগ ম্যাচ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইন আপ সবসময়ই খুব ভালো থাকে, তাই তাদের ম্যাচগুলো বেশ উপভোগ করি। বিশেষ করে বিরাট কোহলি আর ডু প্লেসির ব্যাটিং। যদিও ডু প্লেসি এই ম্যাচে ভালো ব্যাট করতে পারেনি। তবে দীনেশ কার্তিকের মতো ফিনিশার পৃথিবীতে খুব কমই আছে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু জয় পেয়েছে এই ম্যাচে,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে পাঞ্জাব কিংস দলে বেশ কয়েকজন ইংলিশ ব্যাটসম্যান রয়েছে,যদিও তারা এই ম্যাচে ভালো ব্যাট করতে পারেনি। তবে আশা করা যায় সামনের ম্যাচগুলোতে তারা ভালো করবে। শিখর ধাওয়ান আগে অনেক ভালো ব্যাট করতো। এই ম্যাচে ধাওয়ান যেভাবে ব্যাট করলো,এমন ব্যাটিং টি-২০ ম্যাচে একেবারেই বেমানান। যাইহোক তবুও পাঞ্জাবের স্কোর বেশ ভালোই বড় হয়েছে। যাইহোক আপনি চমৎকারভাবে এই ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করেছেন দাদা। রিভিউ পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্রিকেট খেলা তেমন একটা দেখা হয় না।তবে আপনাদের রিভিউ পড়তে বেশ ভালোই লাগে।বিশেষ করে অল্প কথায় আপনি সুন্দরভাবে রিভিউ করেন, তাছাড়া ব্যাঙ্গালোরকে জেতার আশা করা সত্ত্বেও সেই যে শেষে লড়াই করে জিতে গিয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো,আসলে খেলাধুলায় লড়াই না থাকলে মজা লাগে না।ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি আজকেও অনেক সুন্দর একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে, আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বেঙ্গালুরু আর পাঞ্জাবের মধ্যে যে খেলাটা হয়েছিল, সেই ম্যাচের রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর করে আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই ম্যাচটার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে দাদা। দীনেশ কার্তিকের মতো এরকম ফিনিশার সত্যিই খুব কমই রয়েছে। তার বিষয়ে অনেক কিছুই শুনেছি অনেকবার। আগে খেলা সম্পর্কে কোন রকম ধারণা না থাকলেও এখন কিছুটা রয়েছে। আর এই ম্যাচের শেষ ফিনিশার দীনেশ কার্তিক ছিল। এই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু জয়ী হয়েছে দেখে আমার কাছে তো অসম্ভব ভালো লেগেছে দাদা। তাদের জয়ের বিষয়টা সত্যি অনেক ভালো ছিল। আসলে কার্তিকের জন্যই জেতা হয়েছে মনে হয়। না হলে তো রান তোলাই চাপ ছিল একেবারে তাদের জন্য। মাহিপালও একটু ভালো খেলার কারণে রানটা আরেকটু তাড়াতাড়ি উপরে উঠেছে। এই ম্যাচটা আসলেই লড়াই করে জিততে পেরেছে তারা। দাদা আশা করছি এ রকম আরেকটা খেলা বিষয়ক পোস্ট আপনি খুব শীঘ্রই সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন। এটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।
আসলে দীনেশ কার্তিক বেঙ্গালুরু টিমের জন্য শ্রেষ্ঠ ফিনিশিয়া হিসাবে কাজ করেছে। ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচটি আমি দেখেছি। এই ম্যাচটি অনেক জাকজমক ছিল। বিশেষ করে বিরাট কোহলি যখন ভালো খেলতে ছিলো আমার খুবি ভালো লেগেছে। আমার পছন্দের প্লেয়ার তাই।তার পর অনেকটাই সম্ভব না হারিয়ে যায় কিন্তু তখনই দীনেশ কার্তিক সুন্দর তার ফিনিশিং নিয়ে আসে এবং জয় তুলে দেয়। আসলে এই ম্যাচটি আমার কাছে অনেক আকর্ষণ ছিলো। বিশেষ করে আইপিএলের প্রত্যেকটা ম্যাচ অনেক ভালো হয়। আর এই প্রত্যেকটা ম্যাচ আমি এখন উপভোগ করছি।
দাদা খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়লে খেলা তো আর দেখাই ভালো লাগেনা। এই ম্যাচটা কিন্তু একেবারে ইন্টারেস্টিং ছিল। আর ম্যাচটার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়তেও দারুণ লেগেছে আমার কাছে। দীনেশ কার্তিক কিন্তু আসলেই ব্যাঙ্গালুরু টিমের বেস্ট একজন ফিনিশার। সে ফিনিশিংটা এত সুন্দর ভাবে দিয়েছে যে সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মত। প্রথম ম্যাচ হেরে গেলেও এই ম্যাচটা তারা লড়াই করেই জিতেছে। এটা তাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। দীনেশ কার্তিক সবসময়ের জন্যই একজন ভালো ফিনিশার। তার কারণেই তাদের টিম জয়ী হয়েছে। শেষ পর্যায়ে সেই সব সময় ভালোই ফিনিশার দেয়। এরকম ইন্টারেস্টিং ম্যাচগুলো দেখতে বেশি ভালো লাগে কিন্তু। আগের মত এখন খেলা খুব একটা না দেখা হলেও, রিভিউ টা সব সময় পড়ার চেষ্টা করি আপনার পোস্টের মাধ্যমে। সুন্দর ধন্যবাদ দাদা ব্যাঙ্গালুরু আর পাঞ্জাবের মধ্যে হওয়া ম্যাচ টার রিভিউ সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।