অন্তিম সীমানা ( পর্ব ৪ )

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

1000066091.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে "অন্তিম সীমানা" গল্পটির তৃতীয় পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো এরপরে নীলকুঠির রহস্য সম্পর্কে জানা যে ব্যক্তির ঠিকানা খুঁজতে বলেছিলো, তার অবস্থা খুবই করুন ছিল, কারণ তার চোখে-মুখে ভয় আর রক্তাক্ত এর একটা ভয়ানক ছাপ ছিল। এরপর সেই যুবকটি তার নাম বলে বললো- আমি এখানে আটকে আছি বিগত ১২ বছর। এখানে আমি এই সমস্যার হাল সম্পর্কে জানি। কিন্তু আমাকে কেউ বিশ্বাস করিনি । এখন তুমি যদি এই বাংলো থেকে বের হতে চাও, তাহলে আমাকে এখান থেকে বের করো।

হঠাৎ করে অন্ধকারের ভেতরে পায়ের শব্দ হারিয়ে গেলো। আর সে লোকজন নিয়ে মোটামুটি সেই বাংলোর সামনে চলে এসেছে, কিন্তু অদ্ভূত একটা ঘটনা ঘটে যায় অর্থাৎ সেখানে সেখানে কোনো বাংলো ছিল না। এছাড়া যেখানে প্রাসাদ ছিল, এখন শুধু সেখানে রয়েছে শ্মশান এর মতো ফাঁকা জায়গা। এরপর সেই যুবকটি চিৎকার করে উঠলো এবং তাকে গলা ফাটিয়ে জিজ্ঞাসা করলো যে- কোথায় চলে গেলে? এরপর তারা ওর ভেতরের সুড়ঙ্গের পথ ধরে ভেতরের দিকে হাঁটা শুরু করলো। ওখানে সুড়ঙ্গের দেওয়ালে অসংখ্য মানুষের নাম খোদাই আকারে লেখা ছিল।

তারা হাঁটতে হাঁটতে দেওয়ালে টর্চ এর আলো ফেললে সেই নামগুলো দেখতে পায় অর্থাৎ তাদের যেখানে মেরে ফেলা হয়েছিলো। এরই মাঝে হঠাৎ করে সব আলো কিভাবে যেনো একসাথে বন্ধ হয়ে গেলো এবং চারিদিকে কালো অন্ধকারে পরিনত হলো। এরপর সে ওই যুবকের হাত ধরে সামনের দিকে যেতে লাগে। যুবকের হাঁটা দেখে মনে হয়, সে পরিষ্কার রাস্তা এই অন্ধকারের মধ্যেও দেখতে পাচ্ছে। লোকটি যুবকের হাত ধরে সামনের দিকে যেতে লাগলেও তার কাছে মনে হয় কোনো মৃতদেহের সাথে যাচ্ছে। কারণ তার হাত একদম মরা মানুষের মতো বরফ ঠান্ডা। লোকটি মনে মনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, কারণ তার মনে যুবককে নিয়ে সন্দেহ তৈরী হচ্ছে যে, সে আসলে জীবিত কিনা।

লোকটি যুবককে ফিসফিস করে বললো- তুমি জীবিত তো? যুবক বললো- না, আমিও এদের মতো এখানে বহুদিন ধরে আটকে পড়ে আছি। এদের মতোই আমার দেহটি এখানে কোথাও পড়ে আছে। লোকটির শরীর যেনো থর থর করে কাঁপতে লাগলো। লোকটি মনে মনে ভাবতে লাগে, আমি এতক্ষণ একটা মরা মানুষের আত্মার সাথে হেঁটে হেঁটে এতদূর এসেছি! লোকটি নিথর পাথরের মতো ওই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকল কিছুক্ষণ। এরপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। যুবক তাঁকে বললো- আমার মৃত্যু হয়েছিলো এক গভীর সত্যকে চাপা দিতে গিয়ে অর্থাৎ এখানে এই বাংলোতে ব্রিটিশরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর অত্যাচার করত এবং তাদের মেরে ফেলত। আর আমাকে এই সত্য চাপা দিতে বললে আমি অস্বীকার করেছিলাম। আর তার ফলস্বরূপ আমাকেও তারা মেরে ফেলেছিল।....


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png