কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ১০ )

আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্ব থেকে মধ্যমগ্রাম থেকে তোলা কিছু আলোকচিত্র দেখানোর চেষ্টা করবো। বারাসাতের মতো এখানেও বেশ ভালোই কালী পূজা হয়ে থাকে। যদিও এই মধ্যমগ্রামের কালী পুজোর কোনো ক্লাব বা কোন পুজোর কি থিম সেটা জানা নেই অর্থাৎ সেভাবে উল্লেখ করা ছিল না ওখানে কোথাও।

যাইহোক, এখানে প্রথমে আমি যাওয়ার সময় গেটের ভিতরে কিছু লাইটিং দেখতে পেয়েছিলাম এবং এই লাইটিংগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর ছিল। একটি লাইটিং এ দেখলাম একটা ফুলের ডিজাইন করেছে, ফুলের ডিজাইনগুলো কিন্তু আবার এইসব ভিন্ন ভিন্ন কালারের লাইটিং এর মাধ্যমে দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগে। ঠিক যেখানে যে কালারটা মানায়, সেই কালারটাই তারা সেখানে ফুটিয়ে তুলেছে। এছাড়া পরে আরো একটি লাইটিং দেখলাম, যেখানে পাখির দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে। এখানে যেটা দেখানোর চেষ্টা করেছিল মনে হলো কোনো ফুল বা গাছের ডালে বসা অবস্থায় আছে এইরকমটা। তবে সবকিছুর মধ্যে পাখিটা বিভিন্ন লাইটিং এর মাধ্যমে অনেক সুন্দর লাগছিলো।

এরপর আমি ভিতরের রাস্তা দিয়ে প্যান্ডেলের সামনে চলে গিয়েছিলাম, তবে রোডের থেকে এইটা অনেক ভিতরে ছিল বলতে গেলে। প্যান্ডেলটি দেখতে অনেক সুন্দর করেছিল, তবে ছোটোর ভিতরে করেছে, ফলে তেমন লোকজনের জাকজমক ছিল না। সব থেকে আকর্ষণীয় যে ব্যাপারটা লেগেছে, সেটা হলো প্যান্ডেলের সম্মুখে যে ডিজাইনগুলো করা আছে, তাতে লাইটিং এর কালারটা বেশ ভালো ফুটে উঠেছে। লাল, হলুদ, নীল কালারের যেসব ডিজাইনগুলো দেখতে পাচ্ছেন এইগুলো কিন্তু জানালার মতো খোপ খোপ বানানো।

এছাড়া প্যান্ডেলের গায়ে আরো কিছু নকশা বা আর্ট দেখতে পাবেন, যেগুলো দেখতেও অনেক সৌন্দর্যপূর্ণ ছিল। মোটামুটি বিভিন্ন ক্যাটাগরির মাধ্যমে আর্টগুলো প্যান্ডেলের গায়ে নকশার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আর এইগুলোর জন্যেই প্যান্ডেলের মেইন আকর্ষণটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরপর দেখতে পাবেন যে, এখানে দুটি খোপ মতো জায়গায় কচ্ছপের দৃশ্য তুলে ধরেছে। যদিও এইগুলো মাটি দিয়ে তৈরি করা বা তৈরিকৃত কোনো ডিজাইন রেখেছে। দুটি ভিন্ন কালারের কচ্ছপ দেখতেও অনেক মনোমুগ্ধকর লাগছে। কচ্ছপ দুটির পিঠেও অনেক সুন্দর কিছু নকশা এঁকেছে যার জন্য আকর্ষণীয়তা বেড়েছে, তবে এই দুটি কচ্ছপ কিন্তু দেখলে মনে হবে না মাটি দিয়ে তৈরি, মনে হবে পাথর দিয়ে করেছে, আসলে কালারগুলোও করেছে সেইভাবে। যাইহোক, এরপর মায়ের দর্শন করে বেরিয়ে এসেছিলাম, কারণ পরে ভিতরে আর তেমন কিছু দেখার ছিল না।