শীতকালীন একটি গ্রামীণ দৃশ্যের চিত্রাঙ্কন।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের আর্টটি এই শীতকালীন সময়কে ঘিরে তৈরি করা। এখানে মূলত একটি গ্রামীণ দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এখন শীতের সময়ে গ্রামের দিকে খেজুরের রসের বিষয়টা খুব লক্ষ্য করা যায়। অনেকে সকালে অর্থাৎ ভোরের দিকে গাছের থেকে খেজুরের রসের হাড়ি নামিয়ে সেটা আবার কেউ জ্বাল দেয় আবার কেউ হাড়ি নিয়ে বিক্রি করতে বের হয়ে যায়, সেটা মাথায় ঝুড়িতে করে হোক বা কাঁধে ঝুলিয়ে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এখানে সেই দৃশ্যের অনুকরণে আমি একটা দৃশ্য দেখিয়েছি যে, একটা লোক মাথায় ঝুড়িতে করে খেজুরের গুড়ের হাড়ি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তবে এই দৃশ্যগুলো আগে খুব বেশি দেখা গেলেও বর্তমানে এখন এতটাও আসলে দেখা যায় না। এখন সবাই যার যার মতো বাড়িতে নিয়ে যায় বা জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে থাকে। যাইহোক, এখানে আমি জাস্ট এই দৃশ্যগুলোর অনুকরণে একটা গ্রামীণ জনজীবনের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে এই অঙ্কনটি ভালো লাগবে। এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো।
❁উপকরণ:❁
আর্ট পেপার |
---|
বোর্ড |
স্কেচ পেন্সিল |
মার্কার পেন |
মোম রং |
রাবার |
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো তুলে ধরা হলো--
➤প্রথম ধাপে, একটি লোকের চিত্র পুরোপুরি এঁকে নিয়েছিলাম এবং তার মাথায় ঝুড়ি ভর্তি খেজুরের গুড়ের হাড়ি রয়েছে, সেটার দৃশ্যও এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা এঁকে দিয়েছিলাম এবং পরে সাইটে একটা মাটির বাড়ি এঁকে দিয়েছিলাম।
➤দ্বিতীয় ধাপে, রাস্তার অন্য পাশে একটি খেজুর গাছ এঁকে দিয়েছিলাম এবং তাতে খেজুরের রস ধরার জন্য একটি হাঁড়ি ঝুলানো আছে সেটাও এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর আরো একটা বাড়ি এবং একটি গাছ এঁকে দিয়েছিলাম অন্য পাশে।
➤তৃতীয় ধাপে, সমস্ত অঙ্কন সম্পন্ন করার পরে মার্কার পেনের কালী দিয়ে ভালো করে বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤চতুর্থ ধাপে, মোম রঙের দ্বারা আকাশের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম। এরপর খেজুর গাছের পাতাগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤পঞ্চম ধাপে, প্রথম যে মাটির বাড়িটা এঁকেছিলাম, তাতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং ছাউনিটা খড়ের, সেই দৃশ্যটা ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এরপর লোকটার ঝুড়িতে যে হাঁড়িগুলো ছিল তাতে কালার দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে খেজুর গাছের বাকি অংশে পুরোপুরি কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর রাস্তার অন্য পাশে বাকি যে একটি বাড়ি আর গাছ এঁকেছিলাম, তাতেও কালার দিয়ে সম্পন্ন করেছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে, রাস্তার চারিপাশে ভূমিতে ঘাসের আবরণের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤সপ্তম ধাপে, লোকটার বডি এবং তার পোশাকে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর রাস্তাটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হঠাৎ করে দেখে কে বলবে এটা কোন চিত্রাংকন। আমার কাছে তো বাস্তব চিত্র মনে হয়। বাস্তবে গ্রাম ও এত সুন্দর হয় না। রাস্তার দুই পাশে কত সুন্দর দৃশ্য। আকাঁবাকা রাস্তা। জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতকালীন গ্রামের দৃশ্যগুলো সত্যি অসাধারণ। আপনি গ্রামের এই সুন্দরময় দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন এই চিত্রের মাধ্যমে। আপনার চিত্র অংকন দক্ষতা সত্যি অসাধারণ। হুবহু গ্রামের দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলেছেন দাদা।
দাদা আপনার হাতে আর্ট করা প্রতিটি দৃশ্য চোখ জুড়ানোর মতো। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে শীতকালীন একটি গ্রামীণ দৃশ্য আর্ট করেছেন। আপনি পুরো আর্ট টি খুবই সুন্দর করে আর্ট সম্পন্ন করেছেন। এরকম দৃশ্যের আর্ট গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
বাহ্! অসাধারণ একটি আর্ট শেয়ার করেছেন দাদা। শীতকালীন গ্রামীণ দৃশ্যের চিত্রাঙ্কন দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। শীতকালীন দৃশ্য দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। তাছাড়া খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার মজাই আলাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মোম রঙের এই আর্টগুলো খুবই ভালো লাগে দেখতে। কেমন এমটা ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ থাকে যেন৷ ঝুড়িতে করে ঝোলাগুড় নিয়ে যাচ্ছে৷ খেজুর গাছ, মাটির বাড়ি সব মিলিয়ে গ্রামীণ দৃশ্য। খুবই সুন্দর ও নিখুঁত হয়েছে দেখতে৷
শীতকালীন একটি গ্রামীণ দৃশ্যের চিত্রাঙ্কন আজ শেয়ার করেছেন। এ ধরনের চিত্র সত্যি আজকাল বাস্তবে খুব একটা দেখা যায় না।আপনি চমৎকার আঁকেন কিন্তু দাদা।প্রতিটি দৃশ্য খুব সুন্দরভাবে ই ফুটিয়ে তুলতে পারেন আপনি।আমার কাছে এ ধরনের গ্রামীণ শীতকালীন দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে দেখতে।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি আর্ট সুন্দর বর্ননার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য।
শীতকালীন গ্রামীন দৃশ্যের খুব সুন্দর একটা আর্ট শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার আর্ট ওয়ার্ক গুলো সব সময় খুব চমৎকার হয়। আজকেরটাও তার ব্যতিক্রম নয়। দারুন হয়েছে আপনার আজকের এই আর্ট। শীতকালীন গ্রামীন দৃশ্যের সৌন্দর্যগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনার আর্ট গুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। আমি এরকম সুন্দর আর্ট গুলো যত দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। আর্ট করতে হলে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আর আর্টগুলো নিখুঁতভাবে অঙ্কন করা লাগে। কারণ নিখুঁত ভাবে আর্ট অঙ্কন না করলে দেখতে সুন্দর লাগে না। আর এই জন্য একটু সময়ও লাগে। তবে সময় লাগলেও অঙ্কন করার পর সুন্দর লাগে। শীতকালে গ্রামে এরকম দৃশ্য গুলো দেখা যায়। খুব সুন্দর করে আপনি এই দৃশ্যটার আর্ট করলেন। সত্যি দাদা প্রশংসা করতেই হচ্ছে।
বর্তমানে গ্রামেও এই দৃশ্য এখন কম দেখা যায়।আসলে খেজুর গাছের সংখ্যা কমেছে তো কোথাও আবার গাছির সংখ্যা কমেছে।আপনার আর্টটি বেশ সময় উপযোগী দাদা,অসাধারণ হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।