কলা দিয়ে ল্যাটা মাছের তরকারি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা হলো ল্যাটা মাছ দিয়ে আর কাঁচ কলা দিয়ে। ল্যাটা মাছ অনেকদিন খাওয়া হয় না, আর এই মাছটা আসলে তেমন কেনাও হয় না। দেশি ল্যাটা মাছগুলোতে স্বাদ বেশি লাগে, কিন্তু এখন আসলে দেশি এই ল্যাটাগুলো পাওয়াই যায় না তেমন। তবে দেশি পেতে গেলে মোটামুটি গ্রামঞ্চলের দিকের বাজারগুলোতে গেলে মিলতে পারে। তাও পাওয়া যায় না, কারণ আজকাল চাষের মাছ ভরে গিয়েছে আর দেশি মাছের হয়ে যাচ্ছে বিলুপ্তি। এইগুলো মোটামুটি খালবিল এর কাছাকাছি যারা থাকে, তারা একটু দেশি মাছের স্বাদ নিতে পারে সত্যি বলতে গেলে।
কারণ এই মাছগুলো বেশিরভাগ কিন্তু খালবিল এর ধাপের মধ্যে পাওয়া যায়। যাইহোক, এই মাছটা রান্না করেছিলাম কলা দিয়ে, আর এখন কিন্তু গরমের সময়ে এইসব কলা দিয়ে তরকারিগুলো খেতে ভালোই লাগে। তাছাড়া গরমে কিন্তু পেট খারাপের কোনো ভয় থাকে না, কলা এমনিতেও পেট খারাপের একপ্রকার মহৌষধ বলা যেতে পারে। কারণ পেটের কোনো সমস্যা হলে কিন্তু সচরাচর মেডিসিন বিশেষ করে আমি খাইনা, এই কলা খেলেই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায় আস্তে আস্তে। যাইহোক, কলা দিয়ে ল্যাটা মাছের তরকারিটা খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। এখন এই রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।
☀প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☀
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
❁প্রস্তুত প্রণালী:❁
❖কাঁচ কলা তিনটির খোসা ভালোভাবে প্রথমে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর আলুটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম। এরপর রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছালিয়ে নিয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলোও কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖কাটিয়ে রাখা ল্যাটা মাছের পিসগুলো একবার ধুয়ে নিয়ে তাতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পিসগুলোর গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে মাছের পিসগুলো সব পরপর ভেজে নেওয়ার পরে তুলে রেখেছিলাম।
❖এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে কলার পিসগুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম এবং একইভাবে একবারে আলুর পিসগুলোও ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖এরপর কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ এবং রসুন এর কোয়া দিয়ে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে ভেজে রাখা কলা আর আলুর পিস পরপর দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কাগুলো এবং পরে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। পরে সব একসাথে ভালো ভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সব সবজি সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।
❖সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে অল্প জিরা গুঁড়ো দিয়ে তরকারি ভালোভাবে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
❖তরকারি ভালোভাবে তৈরি হয়ে গেলে এবং ঝোলটা ঘন হয়ে আসলে জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা বলি দাদা এটাকে লইট্যা মাছ! মাছগুলো গ্রামের দিকেও এখন তেমন চোখে পরে না। তবে বর্ষাকালে পাওয়া যায়। এখন বাজারে তেমন একটা পাওয়া যাবে না। যাইহোক, কাচঁকলার কম্বিনেশনএ মজাদার করেই রান্না করেছেন দেখছি। খেতে মনে হয় মজা হয়েছিল।
চাষের মাছ এবং খালি বিলে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা মাছের স্বাদের মধ্যে পার্থক্য প্রায় আকাশ পাতাল। এটা আমি খুব ভালোভাবে জানি। এই ধরনের দেশি মাছগুলো চাষের চেষ্টা করলেও লাভ হয় না খোলা একটা। কাঁচ কলা দিয়ে ল্যাটা মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। বেশ লোভনীয় লাগছে। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
কলা দিয়ে ল্যাটা মাছের তরকারি রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমরা এই মাছকে টাকি মাছ বলে থাকি। টাকি মাছ আমার ভীষণ পছন্দ। বিশেষ করে টাকি মাছের ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে দারুণ লাগে। দেশী টাকি মাছ এখন আসলেই পাওয়া যায় না। তবে ছোটবেলায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে টাকি মাছ দেখতাম। চাষের মাছ খাওয়ার কোনো মজাই নেই। নদীনালা, খাল-বিলের মাছ পাওয়া যায় না বলে,বাধ্য হয়ে চাষের মাছ খেতে হয় এখন। যাইহোক কাঁচা কলা দিয়ে টাকি মাছের বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। টাকি মাছ এবং কাঁচা কলা খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন তো দাদা কিছু ভালোমতো খাবো সেই সুযোগ থাকে না। কারণ সবকিছু হাইব্রিড জাতীয় হয়ে গেছে। মাছ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন ইউজ করে যারা মাষ চাষ করেন তারা। আর এধরনের মাছ গুলো পেতে হলে গ্রামে গেলেই পাওয়া যায় সেটা আপনি ঠিক বলছেন। ল্যাটা মাছ আপনি কলা দিয়ে রান্না করলেন। কাঁচা কলা এমন একটি সবজি যা অনেক গুণে গুণান্বিত। তাছাড়া ও পেটের অসুখ কমাতে সহায়তা করে। আপনার শেয়ার করা ল্যাটা মাছের তরকারি দেখে লোভ লেগে গেলো দাদা।
দাদা কি যে বলবো বুঝতে পারছি না।কাল এই মাছ অনেকদিন পর আমি আনিয়েছি বাজার থেকে। কিভাবে মিলে গেলো তাই ভাবছি?? এই মাছটাকে আমরা টাকি মাছ বলি।যদিও এই মাছ আমার শ্বশুর বাড়িতে কেউ খায় না।তাই এই মাছ আনা ও হয় না।যেহেতু আমি ঢাকায় থাকি। আর এই মাছ কেন,মোটামুটি সব মাছই ঢাকায় পাওয়া যায়। কিন্তু আনা আর হয় না একার জন্য।কাল ই আমার জন্য এক কেজি টাকি মাছ এতোদিন পর আনিয়েছি।আমি একাই খাবো এই মাছটি।যদিও আমি ভেজে ভুনা খেতেই বেশী পছন্দ করি।তবে কাঁচাকলা দিয়ে রেসিপিটি করলেন দেখে খেতে ইচ্ছে হলো।কেজিতে চারটা মাছ উঠেছে।এই টাকি মাছ অনেকদিন পর আনা হলো। আমার কাছে ভীষণ মজার লাগে খেতে।আপনার রান্না করে রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো। ধন্যবাদ দাদা পছন্দের মাছের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। এটা ঠিক কাঁচা কলা মহৌষধ ই বটে।আমি আমার ছেলেকে ছোট বেলা থেকে কাঁচা কলা আর পেঁপে বেশী খাওয়াতাম।আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছে।ডাক্তারের কাছে যেতে হয়না।ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকবেন।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমাদের দিকে এই মাছটাকে টাকি মাছ বলা হয়ে থাকে। আর এই মাছটা সব থেকে বেশি পাওয়া যায় গ্রামের খাল বিলে। ছোট সময় খাল বিল থেকে এই মাছটি প্রচুর ধরেছি। এই মাছটি ভাজি করে খেতে বেশি ভালো লাগে। কলা দিয়ে টাকি মাছের খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ দাদা।
এই মাছটিকে আমরা টাকি মাছ বলে থাকি। আর টাকি মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু। টাকি মাছের ভর্তা ধনেপাতা ও শুকনা মরিচ দিয়ে ঝাল করে খেতে অনেক মজা হয়। টাকি মাছ ও কাঁচা কলা দিয়ে লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।