উভয়ের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় হোক!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো অর্থাৎ বলা যায় আমাদের দুই দেশের বিষয়ে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নষ্ট হতে চলেছে। আসলে দুই দেশ বলতে দুটি কিন্তু আলাদা নয়, কারণ আমাদের পাশাপাশি এই দুটি দেশ ভাষা বলুন, সংস্কৃতিক বলুন বা যেকোনো দিক থেকেই বলুন না কেন সবক্ষেত্রেই এক এবং একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেই দিক থেকে বলা যায় এক আত্মা, দুই দেহ অর্থাৎ বিষয়টা এমন আর কি। কিন্তু এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে,একজন আরেকজনের যেন রক্তপিপাসু হয়ে উঠেছে।
এখন যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আরো ধীরে ধীরে বাড়ছে, তাতে দুই দেশের মধ্যে যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল সেটাতে অনেক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে। তারপর দেশের একটা বড়ো সম্পদ হলো জাতীয় পতাকা। সেখানে দাঁড়িয়ে সেই পতাকাকে যদি অবমাননা করা হয় অর্থাৎ পায়ের তলায় পাড়ানো হয়, তাহলে সেটা সমগ্র দেশ এবং জাতিকে চরম অপমান করা বোঝায়। আসলে আমাদের এই পাশাপাশি দুই দেশের পতাকা দেখলে কি আলাদা কিছু মনে হয়! না, এই দুটি পতাকা দেখলে দুটি আলাদা দেশ মনে হয় না বরং একটা পরিবার বলে মনে হয়। সেখানে এই হিংসা কেন থাকবে!
এই দুটি প্রতীক হিসেবে আমাদের উভয়ের প্রতি যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে সেটা ধরে রাখা উচিত। আমাদের এই মুহূর্তে দুই দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং এটি আমাদের উভয়ের স্মরণ রাখা উচিত যে, পতাকা কেবল একটা শুধু কাপড়ের খন্ড নয়। এটি আমাদের আমাদের দেশের গর্ব, জাতীয় ঐক্য এবং সংগ্রামের প্রতীক। এই হিংসা, বিদ্বেষ চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম কি শিখবে বা কি জানবে এই দুই দেশের বিষয়ে! আমাদের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে যে বন্ধন ছিল সেটা ধরে রাখতে হবে, যাতে করে আগামী নতুন প্রজন্মের কাছে এক নতুন পৃথিবীর দরোজা খুলে যায়।
আমরা যদি এই সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে পারি, তাহলে আমাদের ভবিষৎ আরো উজ্জ্বল হবে। আমাদের দুই দেশের পতাকার যে প্রতীক আছে সেটার মধ্যে অনেক গভীর অর্থ আছে। আমাদের ভারতের তেরেঙ্গা কথাটির অর্থ কি! স্বাধীনতার লড়াই এবং বহুজাতিক ঐক্যকে বুঝিয়ে থাকে। আর বাংলাদেশের পতাকায় যে সবুজ আর লাল প্ৰতীক রয়েছে তার অর্থ কি! স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ, বলিদান এবং রক্তের গল্প ফুটে ওঠে। স্বাধীনতার মাধ্যমে অর্জন করা এই গর্বের প্রতীক, যার জন্য হাজার হাজার মানুষ বলিদান এবং রক্ত দিয়েছে। ফলে পতাকা শুধু একটা কাপড়ের টুকরো নয়, এতে অতীতের অনেক গল্প লুকিয়ে আছে।
তাই ভবিষ্যত এর দিকে তাকিয়ে এই সমস্ত ঘৃনাকে পরিহার করা এবং যেসব উষ্কানীমূলক বিষয় প্রচার হচ্ছে বা লুটানো হচ্ছে উভয়ের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য, সেইসব বিষয়কে নাগরিক হিসেবে আমাদের পরিহার করা উচিত। আর যাতে শান্তি ফিরে আসে তার জন্য কাজ করা। এখন এই উত্তেজনার সময়ে আমাদের পতাকার প্রতি সম্মান ও আত্মমর্যাদা নিজেদেরই আচরণের মাধ্যমে ধরে রাখতে হবে। আর আমাদের দুই দেশের পতাকাকে অবশ্যই যথাযথ সম্মান জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা ছড়ানো উচিত। পতাকার সম্মান যদি আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে রক্ষা না করি, তাহলে শান্তি ফিরিয়ে আনা কোনো পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়। তাই পতাকাকে সম্মান করুন এবং সম্পর্ককে রক্ষা করুন।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা যদি দু'দেশের সম্পর্ক আগের মত অটুট রাখতে না পারি তাহলে আমরা জাতি হিসেবে লজ্জিত হব । কারণ পতাকা একটি দেশের অস্তিত্ব বহন করে সেজন্য আমাদের সবারই উচিত প্রত্যেকটা দেশের অস্তিত্বের জায়গা গুলোকে সম্মান করা। সেজন্য পতাকাকে অবমাননা করা কোনভাবেই ঠিক না । অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন দাদা ভালো লাগলো পড়ে।
খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন আপনি। দুই দেশের পতাকার আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। অর্থ অন্যরকম। কিন্তু যাই হোক তা আমাদের নিজেদেরই ঐতিহ্য বহন করে। তাকে অপমান করা কখনোই সঠিক কাজ নয়। আপনার আলোচনা খুবই ভালো লাগলো। জানিনা কবে সবকিছু ঠিক হবে তবে চাই তো সব ঠিক হয়ে যাক।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা, আমার কাছেও এটাই মনে হয়। আমি তো ছোটবেলা থেকেই ভারতকে খুব পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সাপোর্ট করি। তাছাড়া ভারতীয় মুভি এবং গানও খুব ভালো লাগে। যাইহোক উভয় দেশের সম্পর্ক অটুট থাকুক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দু দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবেই সম্প্রীতির-বন্ধুত্বের। একটি কুচক্রি মহল ফাটল ধরাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু দুই দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তাদের সে প্রচেষ্টা রুখে দিবে। একটি দেশের পতাকা সে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সেই পতাকার অবমাননা নিন্দনীয়। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।আসুন সবাই জাতীয় পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করি। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রাখি। গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।
কোন ভালো সম্পর্ক কোন কিছুকে কেন্দ্র করে নষ্ট করা ঠিক নয়।প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা ভীষণ জরুরী।এতে করে ভাবের আদান-প্রদানের সাথে সাথে ব্যবসা-বানিজ্যে ও দুঃখ-কষ্টে এক দেশ অন্য প্রতিবেশী দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়। তাই আমাদের সব সময় উচিত প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
সত্যি দাদা আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি সবকিছুই একই। তাই দুই দেশ শুধু নামে মাত্র আলাদা। তবে দুই দেশের মধ্যে যদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে তাহলে সত্যিই অনেক ভালো হবে। আমরা সবাই চাই এই বন্ধুত্ব অটুট থাকুক। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার এই পোস্ট দেখে।
ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে বন্ধুতের বন্ধু নিয়ে এগিয়ে গেলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা যাবে এবং বন্ধুত্বের এই বন্ধনে আবদ্ধ হলে দুটি দেশের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে বন্ধুত্বের বন্ধন নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় আমরা সবাই মিলে।
একটা দেশের পতাকা ঐ দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতিক। ঐ পতাকা অবমাননা করা কখনোই ভালো কিছু না। আমি নিজেও এটার প্রতিবাদ করি। আমাদের মধ্যে যে ভাতৃত্বের সম্পর্ক রয়েছে একটা শ্রেণির মানুষ এটা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জন্মের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখে বড় হয়েছি।অথচ কিছু কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থে মত্ত হয়ে পতাকা পদদলিত করার মতো জঘন্য নিকৃষ্টতম কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছে।তাদের ধিক্কার জানাই।আজ হয়তো বুঝতে পারছে না কিন্তু একটা সময় গিয়ে ঠিকই বুঝতে পারবে যে তাঁরা কতোটা নোংরা খেলায় মেতে উঠছে এবং এর ফল কতোটা ভয়ানক হতে পারে।একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে শান্তি ও ঐক্যবদ্ধভাবে বাঁচতে চাই।নিজের দেশকে যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনি ভারত কে সবসময়ই ভালোবাসি এবং আজীবন সন্মান করবো।ভগবান সবার সুবুদ্ধি প্রদান করুক এই প্রার্থনা করি।🙏