আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 128

আসসালামুআলাইকুম

কো-এডুকেশন সম্পর্কে আগ্রহ হারাচ্ছি না। আর তিন সেটা তো কলেজে না গিয়েও হতে পারে। ঠিক
আছে। আর শুনুন, আমি মিথ্যে কথা না।' রাজুর চোখ বড় হয়ে গেল, 'বাপস।' বলে বেরিয়ে গেল।
থিকথিক করে হাসতে লাগলেন জগুদা। হাসি থামলে বললেন, 'বাঃ। এই তো চাই। ঠিক জব্দ ভারই। শোনো এখানে কাউকে মাথায় উঠতে দেবে না। তুমি যা জান তা জোর গলায় সব্বাইকে জানিয়ে দেবে। তাতে দেখবে লোকে তোমায় সমীহ করছে।'
তিতির কিছু বলল না। যখন এই প্রথম এবং এই শেষ তখন এই উপদেশগুলো তো কাজে লাগানোর সুযোগ পাওয়া যাবে না।
মুখের চেহারা যেন বদলে দিলেন জগুদা। আয়নায় নিজেকে দেখে তিতির অবাক। অথচ একেবারেই উগ্র নয় প্রসাধন। জগুদা বললেন, 'কেমন লাগছে বলো?' 'ভাল।'

1733109593185.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'তুমি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করবে তাকে এমন দেখাতে হবে। আমি আজ কিছু বলব না। প্রথমদিন, তুমি নিজের মতো অভনয় করে যাবে। যদি ঠিকঠাক পারো, তা হলে কাল তোমার আর একটি কথা বলব।' জগুদা সরে গেলেন।
এবার যমুনা এগিয়ে এল। প্রথমেই জোরে জোরে চিরুনি চালাল। খুব ব্যথা লাগল তিতিরের। বলল, 'আস্তে, লাগছে।'
'এই শুনলাম শ্যাম্পু করা হয়েছে, তা হলে জট পাকায় কী করে! চুল তো আর হাত পা নয় যে তথা শুনবে। মানুষ শরীরের সবকিছু নাড়াতে পারে কিন্তু চুল স্বাধীন, তার উপর হুকুম চলে না।'
চিরুনি চালাতে চালাতে কথাগুলো বলে যাচ্ছিল যমুনা।
'হ্যাঁ। চুল চায় যত্ন। রাত্রে শোয়ার সময় বালিশে চুপ চেপ্টে রইল, এ ওর সঙ্গে জড়িয়ে গেল, চাপে পড়ে নষ্ট হল, তার বেলা কোনও হুঁশ রইল না। সুচিত্রা সেনের মতো চুল দিতে বলল, আমার তাঁ, দিচ্ছি।' যমুনা যেন নিজের মনেই কথা বলে যাচ্ছিল। মহিলা কেন এত বিরক্ত বুঝতে পারছিল না তিতির।

1733109593215.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

ও।' তিতির বলল। '
হয়েছে? ডাক পড়েছে।' আর একটা কণ্ঠস্বর দরজা থেকে।
' 'আমার কি দশটা হাত? দাঁড়াতে হবে।' যমুনা ঝাঁঝিয়ে উঠল।
'আগে ধরোনি কেন?'
'জগুদাকে জিজ্ঞাসা করো। ছাড়ল তো এইমাত্র।'
আরও মিনিট পাঁচেক বাদে যমুনা বলল, 'এবার আয়নায় দেখো।'
মাথা নাড়ল তিতির। এই চেহারায় মা যদি তাকে দেখত তা হলে খুব খুশি হত। 'কী শাড়ি পরতে বলেছে?' যমুনা জিজ্ঞাসা করল।
'আমাকে একটি লিস্ট দেওয়া হয়েছিল, নিয়ে এসেছি।' তিতির বলল। 'কিন্তু এখন দিনের বেলা না রাতের বেলায় কাজ হবে তা বলেনি?'
মাথা নাড়ল তিতির। সঙ্গে সঙ্গে দরজায় দাঁড়ানো ছেলেটি কাগজ দেখে বলে উঠল, 'দিনের বেলা। দেখি দেখি শাড়িগুলো।'
ছেলেটি যে শাড়িটি বেছে দিয়ে গেল সেটি বউদির কাছ থেকে চেয়ে আনা। প্রায় নতুন। তার সঙ্গে মেলানো জামা পরে মেকআপরুম থেকে যখন তিতির বাইরে বেরিয়ে এল তখনও ছেলেটি অপেক্ষা করছে। তিতিরকে দেখে সে বলল, 'চলুন।'
হাঁটতে শুরু করে তিতির বুঝতে পারল সবাই তাকে লক্ষ করছে। এর মধ্যে অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা স্টুডিয়োতে বেশ বেড়েছে। সেকেন্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট ট। আপনার আজ প্রথম কাজ না ছেলেটি বলল, 'আমার নাম টনি, অশোকদার P
'হ্যাঁ, কেন?' হাঁটতে হাঁটতে তাকাল তিতির।
'নানা সবাই বলাবলি করছিল, তাই।' ।। কোনও কারণ নেই। সবাই
কথাটার মানে ঠিক বুঝতে পারছিল না তিতির। কিন্তু ততক্ষণে ফ্লোর এসে গিয়েছিল। তাকে দেখে বিভাসদা এগিয়ে এলেন, 'বাঃ, চমৎকার।
তিতির লজ্জা পেয়ে মাটির দিকে চোখ নামাল।
'সঙ্গে কেউ এসেছেন?'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।