আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 84
মাকে জড়িয়ে ধরল তিতির, 'আচ্ছা মা, আমি কি এখনই তোমাদের বোঝা হয়ে গিয়েছি যে তাড়াতাড়ি নামাতে পারলে তোমরা বেঁচে যাও?'
'দূর পাগল।' মা হাসল, 'তোর যাতে ভাল হয় তুই তাই কর।'
রাতারাতি বাড়ির চেহারাটা বদলে গেল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা ডাইনিং টেবিলে বসে যখন চা খায় তখন দাদাও এসে বসে। খবরের কাগজ এবং চা নিয়ে কথা বলে ওরা। তিতিরও মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে বসে। মা তখন ঠাকুরঘরে, বউদি রান্নাঘরে, এই তো দেখে আসছে এতকাল। আজ দেখল বাবা একাই বসে আছে। সামনে খবরের কাগজ।
'কীরে, ঘুমিয়েছিলি?'
'বা। ঘুমোব না কেন?' সে রান্নাঘরের দিকে তাকাল। সেখানে কেউ নেই। অর্থাৎ বাবা এবং সম্ভবত দাদার জন্য চা তৈরি করে বউদি নিজের ঘরে চলে গিয়েছে। এইসময় বউদির গলা ভেসে এল তাদের ঘর থেকে, 'তিতির, তোমার চা রান্নাঘরে ঢাকা আছে, বোধহয় এখনও ঠাণ্ডা হয়নি।'
কখনও এরকম করে না বউদি। তিতির অবাক হয়েছে বুঝে বাবা বলল, 'তোর দাদার বোধহয়
শরীরটা ঠিক নেই।'
'কী হয়েছে?' তিতির জানতে চাইল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'বউমা বলছিল একটু জ্বরজ্বর ভাব। রেস্ট নিক। তুই চা নিয়ে এসে বোস।' কাপের চা প্লেট উপুড় করে ঢেকে রেখে যায়নি বউদি বলে বাঁচোয়া। সেই চা খেতে একদম
ইচ্ছা করে না তিতিরের। কেটলিতেই দুধ, চিনি, চা একসঙ্গে ছিল। ছেঁকে নিয়ে চায়ের কাপ হাতে বাবার পাশে গিয়ে বসল তিতির।
কাগজ পড়তে পড়তে বাবা জিজ্ঞাসা করল, 'আজ টিউশনি আছে?'
হ্যাঁ।' চায়ে চুমুক দিল তিতির। ' 'তুই কি কোথাও চাকরির আশা পেয়েছিস?'
'হ্যাঁ।'
'কোথায়?'
'আগে হোক তারপর বলব।'
'বেশ তো, কিন্তু অফিসটার নাম বললে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারি চেনাজানা কেউ আছে নাকি। আজকাল প্রাইভেট ফার্মে রেফারেন্স ছাড়া চাকরি হওয়া খুব মুশকিল।' বাবা বলল।
'এটা ঠিক চাকরি নয়।' তিতির শক্ত হল।
'তা হলে?' 'ফ্রিল্যান্স সার্ভিস।'
'তা হলে নিশ্চয়তা কোথায়? না না, তুই বোধহয় ঠিক করছিস না। তার চেয়ে তোকে বলেছিলাম বি সি এস দিতে, আমি নিশ্চিত যে তুই সিলেকটেড হতিস। এখনও সময় আছে, কয়েক মাস পড়াশুনা করে পরীক্ষাটা দে। এখন তো অনেক জায়গায় বি সি এসের কোচিং করায়, তার একটায় ভর্তি হয়ে যা।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'ঠিক আছে।' প্রসঙ্গটা শেষ করতে চাইল তিতির।
কিছুক্ষণ চুপচাপ। তারপর বাবা একটু অন্যরকম গলায় বলল, 'তোর মায়ের কাছে কাল রাত্রে শুনলাম।'
ঠোঁট কামড়াল তিতির। মা কী বলেছে বাবাকে? সত্যি কথা না শিখিয়ে দেওয়া মিথ্যেটা? সে
মৃদুগলায় বলল, 'ঠিকই শুনেছ।' বাবা নিশ্বাস ফেলল, 'ছেলেটি কী করে?'
'চাকরি খুঁজছে।' কিছু একটা বলে দেওয়া যেত। কিন্তু বাবার কাছে মিথ্যে বলতে একেই তার খারাপ লাগছে, বেশি মিথ্যে বলতে সে পারল না। আর একই সঙ্গে মায়ের কাছে আরও কৃতজ্ঞ হল। তার অনুরোধ মা স্বামীর কাছেও সত্যি কথাটা বলেনি। তিতিরের মনে হল এখানে কথা না না বলে বাবা
যদি তার শোওয়ার ঘরে বসে প্রসঙ্গটা তুলত তা হলে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিত সে।
'সে কী? চাকরি খুঁজছে।?' বাবা খবরের কাগজ সরিয়ে রাখল। কথাটা যেন বিশ্বাস করতে পারল না এমন চোখে তাকাল। 'এরকম ছেলের সঙ্গে কী করে সম্পর্ক তৈরি করলে ? তোমরা দু'জনেই চাকরি খুঁজছ, ধরো তুমি পেয়ে গেলে সে পেল না। তখন?'
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
"Wow 🤩, আমার কাছে এই অনুষ্ঠানের যে প্রসঙ্গটা শোনা হয়েছে তা চিন্তা করিয়ে দিয়েছে। এই ধনাতম বাবার সাথে তিতিরের আলোচনায় হাসি-যন্ত্রণা দেখে আমি কষ্ট পেয়েছি! 😔 এই ধন্যবাদ নিশ্চয়ই সে ব্যাপারগুলো তার জানা করতে হবে, যাতে আর এমন অভিজ্ঞতার সময় তাকে কালো-নগণির খাপ ধরতে না হয়! 😳
I also gave you a 0.22% upvote for the delegations you have made to us. Increase your delegations to get more valuable upvotes. Cheers! 🎉
Help Us Secure the Blockchain for You
Your vote matters! Support strong governance and secure operations by voting for our witnesses:
Get Involved