আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 85
এইসময় দাদা বেেিয় এল ঘরে থেকে, 'ওকে এত নির্বোধ আমি কখনও ভাবিনি বাবা। একটা বেকার ছেলের জন্য নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে কেউ?'
তিতিরের খুব মজা লাগছিল। দাদাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল জ্বরের কোনও চিহ্ন নেই। এখানকার কথা কানে যেতে আর ঘরে বসে থাকতে পারেনি।
ঠিক।' বাবা বলল, 'কোথায় থাকে সে? কোয়ালিফিকেশন কী?'
'এখনই এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে তোমাদের কোনও লাভ হবে না। ও আগে চাকরি পাক,
তারপর নিয়ে এসে আলাপ করিয়ে দেব।' তিতিব বলল। 'সরি। আমি এর মধ্যে নেই। কারও সঙ্গে আলাপ করতে আমি আগ্রহী নই।'
'সেটা তোমার সমস্যা।' বলল তিতির।
'হ্যাঁ, তা তো জানি। তোর জন্য আমার মাথা হেঁট হয়ে গেলে তোর কিছুই এসে যায় না। চন্দ্রাদি নিজে যেচে এলেন বাড়িতে। জেনে গেলেন আমাদের কোনও আপত্তি নেই, দিন ছয়েকের মধ্যে জানিয়ে দেব। এখন যখন শুনবেন তুই একটা বেকার ছেলের সঙ্গে প্রেম করছিস তখন আমাদের কী ভাববেন? তথাগতর মতো একটা ব্রাইট ছেলের মেয়ের অভাব হবে না, জেনে
রাখিস।' দাদা ফুঁসছিল। 'আমি বুঝতে পারছি না, তথাগতকে তুমি কদ্দিন চেনো?'
'তার মানে?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'তুমি চন্দ্রাদির জা-এর ভাই বলে তাকে আত্মীয় করতে চাইছ। দিল্লিতে সে কীরকম জীবন কাটায়, কোনও বান্ধবী আছে কিনা তার খোঁজ-খবর করেছ?' দাদা বলল, 'নিশ্চয় করতাম কিন্তু তুই তো সে সুযোগ দিতে চাইছিস না। তা ছাড়া চন্দ্রাদির মা-
কে দেখলেই ওদের পরিবার সম্পর্কে একটা আন্দাজ পাওয়া যায়। দিল্লির বাঙালিমহলে ওদের একটা
আলাদা জায়গা আছে। বাবা শুনছিল, এবার মাথা নাড়ল। 'এই কথাটা ঠিক বললে না। বাবা পণ্ডিতমানুষ হলে ছেলে
যে মুর্খ হবে না তা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারে না।'
দাদা মাথা নাড়ল, 'মানছি। কিন্তু তথাগত ভদ্র ছেলে, শিক্ষিত ছেলে যথেষ্ট রোজগার করে।
একটা বেকার চাকরি খোঁজা ছেলের থেকে হাজার গুণ ভাল এই কথাটা তোমার মেয়েকে বুঝিয়ে দাও।' শেষের দিকে দাদার গলা বেশ উঁচুতে উঠে গেল এবং তখনই বউদি তাদের দরজায় এসে
দাঁড়াল, 'তুমি ঘরে এসো। শরীর খারাপ নিয়ে অত চেঁচাতে হবে না।' 'রাখো তো। শরীর খারাপ হলে ওর জন্যই হয়েছে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'যার জন্যই হোক, তুমি ভিতরে এসো। কেউ বাচ্চা নয়, নিজের ভাল কীসে হয় বোঝার বয়স হয়েছে। তোমাকে অত উত্তেজিত হতে হবে না।' বউদি কথাগুলো বলে ভিতরে ঢুকে যেতে দাদা তাকে অনুসরণ করল।
বাবা মুখ নিচু করে বসেছিল। কাগজটা যে ধরে আছে তা সম্ভবত খেয়ালেই নেই তিতিরের খুব খারাপ লাগছিল। শেষ পর্যন্ত সে নিচু গলায় বলল, 'বাবা।'
বাবা তাকাল না।
তিতির বলল, 'তোমার ঘরে চলো তো।'
'কেন?'
'কথা আছে।' তিতির উঠল।
খবরের কাগজ ভাল করে ভাঁজ করে টেবিলের উপর রেখে বাবা খুব ক্লান্ত পায়ে তার ঘরে এলে
তিতির চলে এল পাশে। আর তখনই পুজো সেরে মা এসে দাঁড়াল দরজায়, 'এত কী চেঁচামেচি
হচ্ছিল সকালে?'
বাবা কিছু না বলে তার ইজিচেয়ারে বসল। তিতির মায়ের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিচু গলায় বলল, 'বাবা, তোমাকে একটা সত্যি কথা বলতে চাই।'
বাবা মুখ তুলে তাকাতে মা বলল, 'তিতির তুই কিন্তু আমাকে খুব অস্বস্তিতে ফেলছিস।' 'আমি আর পারছি না। বাবার কাছে সত্যি কথাটা বলেই ফেলি।'
'আশ্চর্য।' মা ঘুরে দাঁড়াতে গিয়েও দাঁড়াল না, 'আমাকে আবার দোষ দিয়ো না। তোমার আদরের মেয়েই আমাকে বাধ্য করেছিল।' বলে মা চলে গেল সামনে থেকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
"A beautiful short story! 📚❤️ I loved how the author wove a simple yet engaging narrative around a family's morning routine. The way Titiir's dialogue revealed her thoughts and emotions made me smile 😊. It's great to see kids being encouraged to express themselves, even if it means confronting their parents about sensitive topics 💬. Kudos to the author for tackling real-life issues in a relatable and child-friendly manner! 🙌"
I also gave you a 0.22% upvote for the delegations you have made to us. Increase your delegations to get more valuable upvotes. Cheers! 🎉
Help Us Secure the Blockchain for You
Your vote matters! Support strong governance and secure operations by voting for our witnesses:
Get Involved