পুরোনো বাংলোতে লুকানো রহস্য ( পর্ব ১১ )
Image Created by OpenAI
"পুরোনো বাংলোতে লুকানো রহস্য" গল্পটির একাদশ পর্বে দেখবো এরপরে কি হয় কাহিনীতে। তো ওই ঘটনার পরে সম্রাটের সামনে হঠাৎ একটা ডায়েরি আলমারি থেকে নিচে পড়ে গেলো। ডায়েরিটাও অনেক পুরোনো। যাইহোক, ডায়েরিটা নিজে নিজেই খুলে গেলো। ডায়েরির একদম প্রথম পাতায় অর্থাৎ শিরোনামে লেখা ছিল সেই মেয়েটার নাম। এরপর পরের পাতা উল্টে সম্রাট পড়তে শুরু করলো-এই লেখাটা তার মৃত্যুর বেশ কিছুদিন আগে লেখা অর্থাৎ সেই সময় ১৯৮০ সালের ২০ এপ্রিল। মেয়েটি লিখেছিলো যে, তাকে অনেকদিন ধরে কেউ ফ্লো করছে অর্থাৎ প্রতি রাতেই বাংলোর বাইরে কালো একটা ছায়া ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত। এরপর পরের পাতায় ২৫ এপ্রিল লেখা ছিল-যে মেয়েটি সব সত্যি জেনে ফেলেছে, ফলে আমি এই বাংলো থেকে এখনই পালিয়ে যাবো।
আর যদি আমি মারা যাই, তাহলে ভাববে এখানে একটা ভয়ঙ্কর রহস্য লুকিয়ে আছে। এরপরের ডায়েরির সব পাতা নষ্ট, যেন কেউ ইচ্ছে করে নষ্ট করে দিয়েছে। এরই মধ্যে ওই বাংলোর ভেতর থেকে ওই মেয়ের আবারো ভয়ানক একটা কণ্ঠস্বর ভেসে আসলো-যদি যেতে চাও, তাহলে শোনো..এই বাংলোয় এখনো সেই বিশ্বাসঘাতক বেঁচে আছে। সম্রাটের গা শিউরে উঠলো শুনে। সম্রাট কাঁপা কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলো-সেই বিশ্বাসঘাতকটা কে? সেই মেয়ের ছায়ামূর্তিটি ধীরে ধীরে আলোর দিকে এগিয়ে গেলো অর্থাৎ সম্রাটের হাতে যে টস লাইট ছিল, তার দিকে। হঠাৎ করে হাওয়া যেন বরফের মতো ঠান্ডায় পরিণত হলো। এরপর ছায়ামূর্তিটি ফিসফিস করে বললো-"সে তোমার খুব কাছের মানুষ"।.....
