শৈশবের কিছু মধুময় খেলা

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আস্সালামু আলাইকুম। আমার কমিউনিটির সকল বন্ধুগন কেমন আছেন? আশা করি যে যেখানে আছেন ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও কিন্তু আপনাদের সবার দোয়ায় বেশ ভালো আছি। বেশ কয়েকদিন যাবৎ শৈশবের কথা অনেক মনে পরছে। আমরা জানি যে, মানুষের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময় হলো তার শৈশব বেলা। আর এই ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করা মানুষের সংখ্যা খুবই কম রয়েছে। তাই আমারও মনে পরে সেই শৈশবের স্মৃতিগুলোর কথা। বিশেষ করে মনে পরছে শৈশবের সেই ফেলে আসা খেলাগুলো। মনে হয় যেন আবারও সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে ফিরে যাই। সেই বিকেল হতে সন্ধ্যা পযর্ন্ত পড়া ফাঁকি দিয়ে সেই খেলাধুলার কথাগুলো যেন আজও ভুলতেপারি না।

children-1822704_1280.jpg

source

আমাদের এই এত বড় জীবনের সেই শৈশবের দিনগুলোই হচ্ছে একমাত্র মধুর। যা কিনা আমরা হাজারও চাইলে ভুলতে পারবো না। স্মৃতিবিজড়িত সেই সব দিনের কথা আজও যেন চোখের সামনে ভাসে।মাঝে মাঝে মনে হয় কেন বড় হলাম? ভালোই তো যাচ্ছিল শৈশবের সেই দিনগুলো। হাজারও ছেলেবেলার স্মৃতি আমায় তাড়া করে বেড়ায়। বিশেষ করে মনে পড়ে সেই ফেলে আসা খেলাগুলোর কথা। কি সুন্দর সুন্দর খেলা ছিল। এখন সেই খেলাগুলো হারিয়ে গেছে। হয়তো বা ছেলেবেলার ফেলে আসা খেলাগুলোর নাম কারও মনেই নেই।

আসলে সময় ও দিন পরিবর্তন হয়েছে। পাল্টে গেছে মানুষের জীবন। এই ব্যস্ত জীবনে সবাই নিজের নামটাই মনে রাখতে পারছে না। আর শৈশবের দিন আর খেলা মনে রাখবে তো দূরের কথা। আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগতো সেই খেলাগুলো। আজও মনে পড়ে সেই ফেলে আসা খেলা ও তার নাম। আমি ছিলাম প্রচুর খেলা প্রিয় একজন মানুষ। তাই সবাই আমাকে ছাড়া কোন খেলা খেলে মজাই পেতো না। খেলা শুরু করার আগে আমাকে ডেকে নিয়ে যেত।ছোটবেলা কত খেলা খেলতাম এখনও ভুলতে পারি না।

সেই খেলাগুলোর নাম ছিল- ফুল টুক্কা, দাড়িয়া বান্দা, বৌচি, বায়োস্কোপ,সাতচারা আরও কত মজার মজার খেলা খেলতাম। এছাড়াও ছিল সাতরং, কুতকুত এবং গোল্লাছোট ইত্যাদি। ইস্ মনে হলে ভাবি আরেকবার যদি শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম। প্রতিটা খেলা বেশ ভালো লাগত। বিশেষ করে বৌচি খেলার কথা না বললেই নয়। বৌচি খেলায় দম ছাড়া যেত না। আমি দমে চুরি করতাম। আর আমাদের এলাকায় এক আপু ছিল সে তো দম না ছেড়ে বৌ চুরি করে নিয়ে আসতো।

এবার বলি সাতচারা খেলার কথা। ওমাগো বল দিয়ে একদম পিঠ জ্বালিয়ে দিত। তারপরও কেন যেন খুব ভালো লাগতো খেলতে। আবার ছিল লুকোচুরি খেলা। এই খেলাটা আমরা খেলতাম কারেন্ট চলে গেলে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় হলে মনে হতো কারেন্টটা যদি চলে যেত, তাহলে খেলতে চলে যেতাম। অন্ধকারে এই খেলাটা খেলে মজা পেতাম। কারন একজনের জামা আরেকজন চেঞ্জ করতাম। চিনতে পারতো না যে কোনটা কে। আমাকে আরেকজন ভেবে টিলো বলে দিত। এইরকম শৈশবের আরও কত খেলার স্মৃতি মনে পড়ে। আর আমি ভেবে ভেবে হাসি।

আর কি লিখবো ছেলেবেলার কথা লিখতে লিখতে আমি সেখানে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আচ্ছা বলুন তো আপনাদের কি ছেলেবেলার কোন খেলার কথা মনে পড়ে? ছোটবেলায় কি কি খেলতেন? মনে পড়লে একটু শেয়ার করবেন। আমার ছেলেবেলার স্মৃতি ও খেলার কথা জানতে খুব ভালো লাগে।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Sort:  
 2 years ago 

আপু ছোট বেলার স্মৃতি গুলো সব সময় মধুর হয়ে থাকে। আসলে শৈশবে ফিরে যাওয়া সম্ভব হয় না। সত্যি সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়।আসলে ছোটবেলার বেশ কিছু খেলার নাম বলেছেন।আসলে খেলা গুলোর নাম শুনে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম শৈশবে। ধন্যবাদ আপু আপনার শৈশবের স্মৃতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু আমিও লেখাটি লেখার সময় হারিয়ে গিয়েছিলাম ছোট বেলার সেই ফেলে আসা খেলাগুলোর মধ্যে। ধন্যবাদ আপু ভালো একটি মন্তব্য করে পাশে থেকেছেন বলে।

 2 years ago 

বাহ্ এত সুন্দর সুন্দর খেলাগুলোর কথা কেমন করে মনে রাখলেন আপু? বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে আপনার ছেলেবেলার কিছু খেলার স্মৃতি তুলে ধরেছেন। আপনার খেলার স্মৃতিগুলো পড়তে পড়তে আমিও যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই ছেলেবেলায়। বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপনাও করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকেও শুভকামনা আপু। ছেলে বেলার খেলাগুলো কথা কখনোও ভুলার নয় আপু। আমি যখন লিখছিলাম তখনি যেন ছেলেবেলা চলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

হয়তো এই কথাটা শুনে খুশি হবেন গোল্লাছুট খেলা আমার খুবই প্রিয় ছিল। আর সব সময় গোল্লাছুট খেলায় আমি রাজা হতাম। যেহেতু অনেক দৌড়াতে পারতাম। আর আমি যে টিমে থাকতাম সেই টিম সব সময় জিতে যেত বলেই আমাকে নিয়ে দুই পক্ষ টানা হাসরা করতো। অতীতের সেই দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। খুবই খুশি হলাম সুন্দর এ ব্লগ পড়ে।

 2 years ago 

বাহ্ ভাইয়া জেনে ভালো লাগলো যে, আপনি গোল্লাছুট খেলায় রাজা হতেন। তখন যদি আপনার সাথে আমার পরিচয় থাকতো তাহলেতো আমিও আপনাকে আমার দলে নিয়ে নিতাম।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে বেশ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

শৈশব হলো জীবনের সোনালী যুগ। তখন তেমন একটা আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল না ছোট্ট বাচ্চারা খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো কিন্তু সেই সময় আর বর্তমান সময়ের শৈশব অনেক পার্থক্য। এখন আধুনিক জিনিস যেমন মোবাইল ল্যাপটপ এগুলো নিয়ে বাচ্চারা বিজি থাকে। আমাদের সময় গ্রামের সকল সমবয়সীরা কত প্রকার খেলাধুলা করেছি যেটা আপনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরলেন। খুবই ভালো লাগলো একটু স্মৃতিচারণ করলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

হ্যাঁ তাই ভাইয়া শৈশব হলো আমাদের জীবনের সোনালী দিন। যা কিনা আমরা কখনোও ভূলতে পারবো না। ধন্যবাদ ভাইয়া গুছিয়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য

 2 years ago 

আপনার এই পোস্ট করে কিছু সময়ের জন্য শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলাম আসলে শৈশবের স্মৃতিগুলো এখন মাঝে মাঝে মনে পড়ে। মাঝে মাঝে মনে পড়ে পড়া ফাকি দিয়ে ছুটে যাওয়া সেই খেলার মাঠে। এমন অনেক স্মৃতি আছে যে স্মৃতিগুলো এখন শুধুই অতীত। অনেক ধরনের খেলা খেলছি তার মধ্যে আসলেই বউচি খেলাটা আমার কাছে অন্যরকম মনে হতো, ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোষ্ট করে যেটা পড়ে কিছুটা হলেও শৈশবে ফিরে যেতে পেরেছিলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আপনার শৈশবের খেলা গুলোর কথা জানতে পেরে আমার শৈশব জীবনের খেলার কথা সত্যিই মনে পড়ে গেল। আপনার শৈশবের খেলার সাথে আমার শৈশবের একটি খেলার মিল রয়েছে সেটা হল গোল্লাছুট খেলা। আসলেই শৈশবের সেই খেলার মুহূর্তটুকু সত্যিই অনেক মধুর ছিল।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া সেই মধুর মুহূর্তটিকে আসলেই ভূলবার নয়। আমিও গোল্লাছুট অনেক পছন্দ করতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

আপু আপনার শৈশবের খেলা গুলোর নাম শুনে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। এখনকার বাচ্চারা এসব খেলার নাম কখনো শুনেইনি। এই খেলা তো দূরের কথা। এখনকার বাচ্চারাতো কম্পিউটার ল্যাপটপ নিয়েই সময় পার করে। আমাদের শৈশব আসলেই অন্যরকম ছিল। সেসব স্মৃতি মনে পড়লে খুব খারাপ লাগে। ফিরে যেতে ইচ্ছা করে শৈশবে। আপনার শৈশবের গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু এখনকার বাচ্চারা শুধু মোবাইল আর ল্যাপটপ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। আমার মনে হয় আমরাই ভালো ছিলাম। আমাদের দিনগুলোই ভালো ছিল। আর সেই স্মৃতিগুলো মনে পরলে আসলেই খুব খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।