পুরী ভ্রমণ - পর্ব ১৪
পুরী ভ্রমণের আজ চতুর্দশতম পর্ব । আগামী পর্বে এই সিরিজটির পরিসমাপ্তি হবে । ধবলগিরি থেকে আমরা যখন লিঙ্গরাজ মন্দিরের দিকে যাত্রা করলাম তখন ৪ টা বেজে ছাড়িয়ে গিয়েছে । যেতে প্রায় এক ঘন্টা লেগে গেলো । বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমরা পৌঁছলাম লিঙ্গরাজ মন্দির প্রাঙ্গনে । এই মন্দিরটির বয়স পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সমান । প্রায় একই সময়ে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । বহু প্রাচীন এই মন্দির আদতে একটি শিব মন্দির ।
বিশাল উঁচু প্রাকার দিয়ে অনেকটা জায়গা ঘিরে রাখা । এরই ভেতর বিশাল জায়গা জুড়ে এই হাজার বছরের পুরোনো মন্দিরটি টিকে রয়েছে আজও কালের সাক্ষী হিসেবে । এই মন্দিরেও জগন্নাথ মন্দিরের মতো কড়াকড়ি খুব । ভেতরে প্রবেশের সময় জুতো, কোমরের বেল্ট, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ঘড়ি এবং ওয়ালেট কাউন্টারে জমা রেখে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয় । এটা শুনেই আমার মন্দিরের ভেতর যাওয়ার ইচ্ছে সম্পূর্ণরূপে অন্তর্হিত হয়ে গেলো ।
আমি আর স্বাগতার ছোট বোন সায়নী শুধু বাইরে থাকলাম, আর সবাই মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলো । আমি মন্দিরের প্রাঙ্গনটা (প্রাচীরের বাইরের) ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম । বেশ কিছু ফোটোও তুললাম । মন্দিরের সিংহদুয়ার আর মন্দির প্রাঙ্গনে বেশ কিছু গৌড়ীয় স্থাপত্যের নিদর্শনের ফোটো তুললাম । প্রায় এক ঘন্টা পরে পুজো দিয়ে সবাই বেরোলে আবার গাড়িতে উঠে একটা রেস্টুরেন্টের সন্ধানে বেরোলাম । সেই কোন সকালে ব্রেকফাস্ট করার পরে সারা দিন আর কিচ্ছু খাওয়া হয়নি ।
আমাদের উড়িয়া ড্রাইভার দারুন সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলো আমাদের । এই রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে আমরা সবাই চমৎকৃত হলাম । এদের খাবারের স্বাদ আর কোয়ালিটি এক কথায় awesome । পুরীতে এর চাইতে ভালো আর কোনো রেস্টুরেন্ট পাইনি আমরা । খেয়ে দেয়ে সবাই পরিতৃপ্ত হয়ে পুরীর হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । সেখানে আবার রাত ন'টা থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট পার্টি শুরু । সবাই মিলে হেভি মজা করবো ।
লিঙ্গরাজ মন্দিরের দক্ষিণ দিকের প্রাচীরের বাইরে থেকে তোলা ফটো ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
লিঙ্গরাজ মন্দিরের পূর্ব দিকের প্রাকারের বাইরের প্রাঙ্গনে একটি গৌড়ীয় স্থাপত্য । এরকম বেশ কয়েকটি স্থাপত্য রয়েছে মন্দির প্রাঙ্গনে ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০৫ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
মন্দিরের পূর্ব দিকের প্রাকারের বাইরের থেকে তোলা ছবি । ভেতরে মন্দিরের চুড়ো দেখা যাচ্ছে ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০৫ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
মন্দিরের সিংহদুয়ার । পুণ্যার্থী আর দর্শনার্থীরা মন্দিরে প্রবেশ করছেন ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০৫ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
মন্দির প্রাঙ্গনে আমার একটি সেলফি ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০৫ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
টাস্ক ৪৭৯ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 9b6d891435848a89257746ffb6768f42f3d858626091868e92cd34fe1ab32db4
টাস্ক ৪৭৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR


Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
good
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
এতো কড়াকড়ি নিয়ম দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। জুতা,ফোন এবং ক্যামেরা কাউন্টারে জমা রাখলে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু কোমরের বেল্ট এবং ওয়ালেট জমা রাখার ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে আমার কাছে। সাধারণত এসব কিছু জমা রাখে এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন ক্রস করার সময়। যাইহোক আপনি এবং আমাদের স্বাগতা বৌদির ছোট বোন মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ না করে, মন্দিরের প্রাঙ্গনটা ঘুরেছেন এবং চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। লিঙ্গরাজ মন্দির প্রাঙ্গনটা আসলেই খুব সুন্দর। দাদা কোথাও ঘুরতে গেলে খাওয়া দাওয়া করার সময় ঠিক থাকে না। বেশিরভাগ সময় দেরি হয়ে যায় খেতে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক পরবর্তী পর্ব অর্থাৎ এই সিরিজের অন্তিম পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
This is another interesting episode of the puri trip you have shared @rme Dada.
But why don't they allow people enter with their mobile phones, and I am sure it will be a beautiful sight to behold.
Thanks for sharing the images you got, we appreciate Dada ❤️❤️❤️
দাদা সবই বুঝলাম তবে এই বিষয়টা বুঝলাম না ৷মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে ব্যাক্তিগত সবকিছু রেখে তারপর কেনো ৷ যা হোক মন্দিরে কারু-কাজ আর নকশাঁ সত্যি অসাধারণ ছিল ৷ আপনার এসব পুরি ভ্রমনে অনেক কিছু জানতে পেরেছি ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন ৷
হাজার বছরের পুরোনো লিঙ্গরাজ মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম দাদা, আপনার আজকের শেয়ারকৃত পুরী ভ্রমণের ১৪ তম পর্ব থেকে। গৌড়ীয় স্থাপত্যের নিদর্শন এই মন্দিরটি হাজার বছরের ইতিহাস। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে। বরাবরের মতই আজকের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে।পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার দিয়ে, জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
এতদিন তো বিভিন্ন রংবেরঙের সানগ্লাস দিয়ে মুখ ঢাকতেন। আজকে কি দিয়ে মুখ ঢাকলেন দাদা মাথা ঘুরে গেল। অবশেষে পুরী ভ্রমণের কাহিনী শেষের দিকে চলে এসেছে। তাছাড়া কোথাও ঘুরতে গেলে পরিশ্রম খুব বেশি হয় এজন্য ক্ষুধা লেগে যায় বেশি। আর এ সময় যদি খুব ভালো মানের একটি রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। থার্টিফার্স্ট নাইটে আসলেই বেশ মজা হয়েছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি তো ফোন ছাড়া কোথাও যেতেই পারি না! কারো কাছে ফোন দিলে আনসিকিউর ফিল হবে শুধু। আপনি ভিতরে না গিয়ে ভালোই করেছেন। বাহিরে মন্দিরে ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন সাথে সায়নী দিদিও ছিল তাহলে। তবে আপনার পুরী ভ্রমণের পর্বগুলো বেশ উপভোগ করলাম। আর মাত্র একটি পর্বের মাধ্যমেই শেষ হবে