অসুস্থতা যেনো ছাড়ছেই না ফ্যামিলিতে
মাত্রই অল্প কিছুদিন পূর্বে টিনটিন আর আমি আহত হয়েছিলাম । হ্যান্ড ইনজুরি দুজনেরই । এটা সারতে না সারতেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়লো টিনটিন । গত ৩-৪ দিন ধরেই ওর বাঁ চোখের উপরের পাতা কিছুটা ফোলা ফোলা দেখছিলাম । তেমন আমল দেইনি আমরা । ভেবেছিলাম পিঁপড়ে কামড়েছে । মাঝে মাঝেই ওর চোখের পাতায় পিঁপড়েরা এসে কুটুস করে কামড় দিয়ে চোখের পাতার সাইজ ডাবল করে দিয়ে যায় ।
কিন্তু, হঠাৎই গতপরশু ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি চোখের পাতা আচ্ছা ফোলা ফোলা, আর সেই সাথে অল্প অল্প লাল । আমি ছবি তুলে আমার দাদার কাছে পাঠিয়ে দিই । উপরের ওই ছবিটি পাঠিয়েছিলাম । দাদা যদিও শিশু বিশেষজ্ঞ নয় তবুও ফটো দেখে বললো Upper Eye Lid ইনফেকশন হয়েছে । একজন optometrist কে দেখানোর জন্য সাজেস্ট করলো । একটা eye drop সাজেস্ট করে বললো এটা কয়েকদিন ধরে নিলেই ঠিক হয়ে যাবে ।
যাই হোক আমি ভাবলুম আগে ডাক্তার দেখিয়ে তারপরে দরকার হলে ড্রপ কিনবো । কিন্তু, হঠাৎই গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চোখ প্রায় একদম বুঁজে গিয়েছে । চোখের তিন ভাগের দুই ভাগই আর মেলতে পারছে না । আর আগের চাইতেও বেশ লাল হয়ে গিয়েছে ।
তখন আর দেরি করা ঠিক হবে না বুঝেই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পাশের Eye Hospital টাতে দ্রুত নিয়ে গেলাম । সেখানে নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে বিল পেমেন্ট করে বেশ কিছুক্ষণ wait করলাম । এরপরে একে একে ডাক পড়লো প্রথমে কম্পিউটার আই চেকআপ । এরপরে optician এর চেম্বারে । সেখানে টিনটিনের চোখের লেন্স চেকাপ হলো । সব শেষে optometrist এর চেম্বারে ডাক পড়লো আমাদের ।
ডাক্তারের নাম স্বরূপ পাঠক । বেশ নামকরা । শংকর নেত্রালয়ের প্রাক্টিশনার । উনি প্রথমে কেস হিস্ট্রি শুনলেন । একটা মেশিনের সাহায্যে eye চেকআপ করে নিলেন । তারপরে বললেন ওষুধ দেবেন কি না । কারণ, এই ইনফেকশন ওষুধ ছাড়াই কিওর হবে । কিন্তু, তাতে সময় লেগে যেতে পারে বেশ কিছুটা । যাই হোক আমি ওষুধ prescribe করতেই অনুরোধ করলাম ওনাকে ।
ডক্টর একটি আই ড্রপ আর একটা অয়েনমেন্ট দিলেন । আর বললেন দিনে ৪ বার ভাপ দিতে চোখে । ড্রপ এক ফোঁটা করে দিনে ৪ বার আর অয়েনমেন্ট দিনে ২ বার লাগাতে । যদি ১৫ দিন পরেও না সারে তো আবার যেন অনেকেই একবার দেখিয়ে নিই ।
এরপরে আমরা ওষুধ কিনে বাড়ি চলে আসি । তারপরে শুরু হলো সেই অমানুষিক কষ্টের কাজ । টিনটিনের চোখে ড্রপ দেওয়া । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেলো যেনো । কোনোভাবেই চোখে ড্রপ দিতে দেবে না । আর আমিও না দিয়ে ছাড়বো না । ঘন্টা খানেক বিস্তর ধস্তাধস্তি কান্না-কাটির পরে এক ফোঁটা কোনোরকমে দিতে পারলাম ।
রাতে নিলয় বিশেষ কৌশলে এক ফোঁটা দিতে পারলো । তবে তার জন্য আবার এক প্রস্থ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলো । যাই হোক এরপরে খাওয়াদাওয়ার পরে কিছুটা শান্ত হলো যখন এবং আবার ড্রপ দেওয়ার সময় এলো তখন দেখা গেলো টিনটিন ড্রপটা বের করে নজলে কয়েকবার হাত ঘষে দিলো । অর্থাৎ, ওষুধটা নষ্ট করে ফেললো । চোখের ড্রপের নিয়মই এটা । নজলে হাতের স্পর্শ লাগলে সেটা বাতিল ।
কি আর করা সেই অনেক রাতে আবার ওষুধ কিনে আনতে হলো । এভাবেই সকাল থেকে রাত অব্দি দারুন দৌড়ঝাঁপ আর যুদ্ধে যুদ্ধে দিনটা অতিবাহিত হলো ।
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)
তারিখ : ২২ আগস্ট ২০২৩
টাস্ক ৩৬৩ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 8fc5800f0b2de8c904d40515d684cdd062fc9fd91f64d351e33076d39ffcc832
টাস্ক ৩৬৩ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যখন থেকে চোখ ফোলা শুরু হয়েছে তখন থেকে যদি ড্রপ টা দেওয়া যেতো। তাহলে বোধহয় একটু কমই এতোটা কষ্ট পেতো।আসলে বাচ্চাদের যে কোনো রোগেই তারা খুব বেশি কষ্ট পায়। আর সবচেয়ে বড় কষ্টকর হলো তাদের এই ড্রপ দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো। কিন্তু তাও কষ্ট করে দিতেই হবে। তা না হলে আসলে চোখের সমস্যাটা কোনোভাবেই সারবে না। এই সমস্যা আমারও ছোটবেলায় খুব হতো তবে এখন আর হয় না, আশা করি সেরে যাবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আহারে,ছোট বাবুটা কি অবস্থা হয়েছে।এতো কিছু এই ছোট বাচ্চার উপর কেন। বড়দের কারো কিছু হলে এতো ঝামেলা হতো।বাচ্চাদের কিছু হলে ঔষধ খাওয়াতে আর ব্যবহার করতে মা-বাবার জান শেষ হয়ে যায়। আমি এটা বেশ ভালো করেই বুঝি।আল্লাহ হেফাজত দান করুন, আমিন।
খুব খারাপ লাগছে শুনে টিনটিন বাবু অসুস্থ। চোখের ব্যাপারে আপনি দেরি করেননি ডাক্তারের কাছে যেতে এটাই ভালো। কারণ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই সবকিছু করা উচিত। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি টিনটিন বাবু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।
আসলে দাদা বাচ্চাদের কিছু হলে আমার মনে হয় সঙ্গে সঙ্গেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নয়তো বেশ চিন্তার মধ্যে পড়তে হয় । যেমনটি আপনাদেরও হয়েছিল । তারপর যে কোন বড় সমস্যা হয়নি এটাই বড় কথা । কিন্তু এখন সমস্যা হচ্ছে ড্রপ টা দিবেন কি করে ? যে যুদ্ধে নেমেছেন আপনারা সত্যিই বেশ মজা লাগলো ।তার পরেও চেষ্টা চালিয়ে যান দিতে তো হবেই।
যদিও এই ফটোটা আগের তবুও কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে ফোলার বিষয়টি, আসলে এই সমস্যাটা আমার মাঝে মাঝেই হতো বিয়ের আগে। ডাক্তারের কাছে গেলেই ড্রপ দিতেন শুধু, কিন্তু ফোলার পরিমান বেশী হওয়ায় ড্রপ দিতেও কষ্ট হতো অনেক। তবে আমার নানা একটা দারুণ কাজ করতেন, সুতি কাপড়ের মাঝে গরম ভাত নিয়ে চোখে হালকা ছেঁকা দিতেন। তাতে বেশ আরামবোধ করতাম। তবুও ভালো হতে আমার প্রায় ১০ দিন লেগে যেতো। দোয়া করছি টিনটিন যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠে।
আমরা এটা কে এলেঙ্গা বলে জানি। বেশ জ্বালায় বেটা। কয়েকদিন পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দাদা টিনটিন ঔষুধ নষ্ট করার নিয়ম কোথা হতে শিখলো। বাপরে বাপ কি বুদ্ধিমান ছেলেরে। বেশ পেরেশানীতেই আছেন দেখছি টিনটিন কে নিয়ে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর দোয়া রইল টিনটিন বাবুর জন্য।
প্রথমেই টিনটিন এর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বাচ্চারা অসুস্থ হলে খুবই টেনশন হয়। হসপিটালে নিয়ে গিয়ে খুব ভালো করেছেন দাদা। কারণ চোখ খুব সেনসিটিভ একটা জিনিস। তবে ড্রপ দেওয়া নিয়ে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। টিনটিন বাবুর মুখে বার্গার দিয়ে, চোখে ড্রপ দেওয়ার ট্রাই করতে হবে দাদা। কারণ বার্গার তো খুব প্রিয় টিনটিনের। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।