হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সময়গুলোকে উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। আমি কিন্তু বেশ ভালোভাবে প্রকৃতি উপভোগ করার চেষ্টা করছি। না না অফিসে বসে না বরং নতুন বাড়ীতে বসে। বাড়ীতে যাওয়ার পর দারুণ ভালো লাগার একটা অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে। সত্যি বলতে খারাপ কিংবা ভাঙ্গা হলেও নিজের বাড়ী বলে কথা, একটা অন্য রকম তৃপ্তি থাকে মনে সর্বদা। আর এটাও সত্য যে আমাদের শহরে মানে বিশেষ করে ঢাকা শহরে যারা ভাড়া বাড়ীতে থাকেন তাদের অভিজ্ঞতা যে খুব একটা ভালো না সেটা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। কারন বিগত দশটা বছর বেশ যন্ত্রনা সহ্য করে নিজের ধৈর্য্য শক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করেছি। এটা যে শুধু আমি একাই করেছি সেটা কিন্তু না বরং যারা আমার মতো ভাড়া থাকছেন তাদের সবারই হয়তো একই রকম অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আচ্ছা একটা ঘটনা বলি, বাসা চেঞ্জ করে নতুন একটা বাড়ীতে উঠেছি, বাড়ীটা ৪তলা কিন্তু আমি উঠেছি দুই তলায়, দুই পাশে তিনটি করে মোট ছয়টি রুম, মাঝখানে ডান পাশে বাথরুম এবং বাম পাশে কিচেন। দুটো গ্যাসের চুলা একটা ডান পাশের ভাড়াটিয়ার জন্য এবং একটা বাম পাশের ভাড়াটিয়ার জন্য ঠিক তেমনি বাথরুম দুটো, একটা ডান পাশের ভাড়াটিয়ার জন্য আর একটা বাম পাশের বাড়াটিয়ার জন্য। কিন্তু সেই বাড়ীতে উঠার প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন একটা সমস্যা দেখা দিলো, বাড়ীওয়ালারা মানে তাদের সদস্যরা, আমাদের বাথরুম নিয়মিত ব্যবহার করা শুরু করলো এবং রাতে আমাদের রান্না শেষ হওয়ার পর তারা এসে রান্না করতে শুরু করে সেটা প্রায় রাত একটা পর্যন্ত চলতে থাকে, তাহলে বুঝেন অবস্থাটা কি রকম হয়েছিলো? এটা নিয়ে মুখ খোলায় না না সেভাবে না ভদ্রভাবে কিছু বলেছিলাম তারপর তাদের উত্তরটা ছিলো এই রকম পছন্দ না হলে বাসা ছেড়ে দিন। বলেছিলাম ভাড়া দেয়ার সময়তো এই রকম কথা ছিলো না, তাদের কথা এখন পরিবর্তন করলাম সব নিয়ম কি মানা হয় নাকি?
তারপর কষ্ট করে তিনমাস ছিলাম সেই বাড়ীতে, কারন চাইলেও ভাই একটা বাসা সাথে সাথে পরিবর্তন করা যায় না। বাসা খোঁজা এবং সেটা পছন্দ হওয়া তারপর আসবাবপত্র গুছানো, সব কিছুই ঝামেলার এবং সময় সাপেক্ষ। আর একটা বিষয় এখানে আপনি কারো কাছে নালিশ করবেন কিংবা তার সঠিক বিচার কামনা করবেন, সেই সুযোগটা একদমই নেই, বিশেষ করে পুরান ঢাকায়। পুরান ঢাকায় অবশ্য একটা সংগঠন আছে ভাড়াটিয়া পরিষদ নামে কিন্তু তাদের কোন সাংগঠনিক কাঠামো কিংবা কিছু করার সক্ষমতা আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। যার কারনে আমাদের মতো নিরীহ ভাড়াটিয়াদের অভিজ্ঞতাগুলো একটু বেশী তিক্ততায় ভরে থাকে।
থাক পুরনো কথা ঘেটে আর কি লাভ? যা হবার তো হয়ে গেছেই কিংবা যারা এখন ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন তাদের সাথে যা হবার তা হতেই থাকবে। এটাই বাস্তবতা, ভাড়াটিয়ারা সর্বদা পরাধীনের মতো থেকেই যাবেন। যাক আজ একটা স্বাদের রেসিপি শেয়ার করি আপনাদের সাথে, এটা একটা কমন রেসিপি তবে কাঁঠালের বিচির কারনে একটু বেশী স্বাদের হয়েছিলো, চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- কাঁঠালের বিচি
- কচুর লতি
- লইট্যা শুটকি
- পেঁয়াজ
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- আদা রসুন পেষ্ট
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে তেল গরম করেছি তারপর রসুন কুচি এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
এরপর সেগুলোর সাথে আদা রসুন পেষ্ট, তারপর শুটকিগুলোকে পরিস্কার করে ছোট ছোট টুকরা করে দিয়ে মিক্স করে নিয়েছি।
তারপর হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুড়া, লবন দিয়েছি এবং তারপর হালকা পানি দিয়ে কষা করেছি।
এরপর কাঁচা মরিচ স্লাইস ও কাঁঠালের বিচি স্লাইস করে দিয়েছি এবং সবগুলো উপকরণ মিক্স করে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি।
কিছু সময় পর ঢাকনা সরিয়ে কচুর লতি ছোট ছোট করে কেটে দিয়েছি এবং সবগুলো উপকরণের সাথে মিক্স করে পুনরায় আবার ঢেকে দিয়েছি। তারপর ঢাকনা সরিয়ে কাঁঠালের বিচিগুলো সিদ্ধ হয়েছে কিনা চেক করে নিয়েছি এবং সব কিছু ঠিক হওয়ার পর তা নামিয়ে নিয়েছি।
রান্না হয়ে গেলো, শেষ দৃশ্যটা দেখে সেটা নিশ্চিয় বুঝে গেছেন হি হি হি। হ্যা এই রান্নাটা আমার কাছে দারুণ লাগে বিশেষ করে কাঁঠালের বিচি আর শুটকি থাকার কারনে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাইয়া আপনি বাড়িতে বসে প্রকৃতি উপভোগ করেছেন তা বেশ ভালোই ৷আর একটা কথা ঠিক নিজের বাড়ি যেমন হোক সেটাই রাজপ্রসাদ লাগে ৷ কিন্তু আপনার সাথে বাড়িওয়ালা ঠিক করে নি ৷আরে মাস শেষে টাকা গুনে নেবে অথচ সবকিছু ব্যবহার করছে ৷একদিন দুইদিন মানা যায় প্রতিদিন কি সম্ভব ৷যাই হোক তিন মাস পর নতুন বাসায় উটেছেন ভালো করেছেন ৷
যাই হোক নতুন বাসায় শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি ও কচুর লতির রেসিপি আহা কি সুন্দর করে রান্না করেছেন ৷তবে ভাই কাঠাঁলের বিচি কিন্তু গ্রামে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ৷এবং গ্রামের মানুষ কচু ও বিচি একসাথে বেশি খায় ৷
আপনি অনেক গুলো উপাদান দিয়ে তৈরি করেছেন ৷
ভাই প্রতিটি ধাপ বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখলাম ৷ভাল হয়েছে ভাই ধন্যবাদ
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
বাড়িওয়ালা কথা রাখেনি এটি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। তবে আপনার শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ও কচুর লতির রেসিপি টা খুব সুন্দর হয়েছে। আমি এমন রেসিপি খাইনি তবে আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
তারমানে বাসার মালিক রা লোকাল বাসের মতো, যাত্রী উঠানোর সময় আসেন আসেন বলে বাস এ ঢুকায়, আর ভাড়া কাটার পর জায়গা আসলে ধাক্কা দিয়ে নামাইয়া দেয়। যাই হোক অনেক খারাপ লাগলো আপনার বাসার মালিকদের আচরণ টা দেখে। সত্যি বলতে আপনি বলেছিলেন ভাড়াটিয়াদের জন্য একটা সংগঠন রয়েছে, আসলে এই রকম অসংখ্য সংগঠন রয়েছে, তবে এর কার্যকারিতা কতটুকু সেটাই আসলে মুখ্য বিষয়। আপনার পোস্টের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম ঢাকা শহরে অধিকাংশ ভাড়াটিয়া সুখে নাই, বিভিন্ন রকম সমস্যার মুখোমুখি রয়েছে। যাই হোক আজকে যে শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি ও কচুর লতির যে রেসিপিটি করেছেন অনেক ভালো লেগেছে। তবে অনেকে রয়েছে কাঁচা মরিচ গোটা দিয়ে দেয়। তবে আপনি মাঝখানে স্লাইড করে কেটে নেওয়াতে কাঁচামরিচের ঝাল গুলো তরকারিতে সমভাবে ছড়িয়ে যাবে এবং এভাবে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন বাসার পরিবেশ উপভোগ করছেন শোনে ভাল লাগছে। ঢাকায় ভাড়া বাসার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমারও আছে। আর বাসা চেঞ্জ করার থেকে নতুন একটি বিয়ে করে নেওয়া ভাল। যাই হোক জোক্স এপারট কাঠালের বিচি দিয়ে পাটায় করা ভর্তা আমার ভীষণ পছন্দের। কাঠালের বিচি, শুটকি আর কচুর লতি আমাদের বাসায় খুব রান্না হয় তাই এর টেস্ট আমার জানা। খুব টেস্টি একটি খাবার। আপনার রান্নার প্রস্তুত প্রনালী এবং উপস্থাপন খুব ভাল হয়েছে। পরিবেশনও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাড়া বাসা যত সুন্দরই হোক না কেন ভাই নিজের বাড়ির মতো হয় না। আর ঢাকা শহরের কিছু কিছু বাড়িওয়ালা এমন ব্যবহার আচরণ করে। আসলে এদের বলার কেউ নেই কাকে বলবেন।।
কাঁঠালের বিচি কচুর লতি সাথে আবার লইট্টা শুটকি দারুণ বলতেই হয়।রেসিপি টা চমৎকার তৈরি করেছেন ভাই। বেশ চমৎকার ছিল।
ভাই আজকে আপনার কথাগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে।আসলেই ভাড়াটিয়ারা সব সময় পরাধীন। তারা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারে না। আমরা ভাড়া থাকি আমরা বুঝি কত রকম সমস্যা হয়। কিছু হলেই বলে আপনাদের ভালো লাগলে বাসা ছেড়ে দিন। ছেড়ে দিয়ে অন্য জায়গা নিতে পারেন। কিন্তু ছেড়ে দেওয়া যে কতটা কষ্টের এবং আমরা পাঁচ তলাতে আছি। আর এই পাঁচ তলা থেকে অন্য ভাষা চেঞ্জ করা যায় কতটা কষ্টে জিনিসপত্রগুলো নামানো সত্যিই খুবই কষ্টকর। আপনারও ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। আসলে এক ভাড়াটিয়ার সাথে অন্য ভাড়াটিয়া এভাবে মিলেমিশে কখনো চলে যায় না। বাথরুম ব্যবহার আবার রান্না শেষে রান্না খুবই বিপদের মধ্যে ছিলেন।আর ভাড়াটিয়ারা সবসময় পরাধীন হয়ে থাকে। যাই হোক ভাই আজকে আপনার রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে, কাঁঠালের বিচি দিয়ে মজাদার রেসিপি।দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
কাঁঠালের বিচি আর কচুর লতি আমার বেশ পছন্দের। কিন্তু দুই টা একসঙ্গে রান্না করে আগে কখনো খাইনি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। একদিন অবশ্যই তৈরি করে দেখব। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য নতুন একটি রেসিপি।
ভাই আমি শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি ও কচুর লতির রান্না করিনি কোনদিন। এটি আমার কাছে একটি ইউনিক রেসিপি। আপনার রেসিপি দেখে একদিন খেয়ে দেখব। আপনার রেসিপির ধাপ গুলো সুচারুরূপে করেছেন। আপনি এখানে মূল্যবান কিছু কথা বলেছেন ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া। আমার ছোট ভাই এক ঢাকায় থাকেন। সত্যিই খুবই একটা যন্ত্রনা। ও প্রায় বাসা ভাড়া ঝামেলা নিয়ে মোবাইল করে। বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা কঠিন একটা যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাই আপনার দেখছি মারাত্মক অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে আর বাড়ি ভাড়া থাকার ব্যাপারে। আসলে বাসা ভাড়া থাকলে যে কত কিছু পোহাতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। একেকজনের একেক রকম সমস্যা ফেস করে তবুও কিছু সমস্যা নিয়েই মানুষকে চলতে হয় ,এগিয়ে যেতে হয় ।যাই হোক আপনার বাসা ভাড়া যতটা ঝামেলার ছিল তার বিপরীত ছিল আপনার রেসিপিটি ।ঝামেলা হীন ভাবে রেসিপিটি তৈরি করে ফেলেছেন। কচুর লতি আমার ভীষণ প্রিয় আর সাথে যদি লইট্টা শুটকি হয় তাহলে তো কথাই নেই।