টমেটো সস রেসিপি।
সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি। আজ কয়েকদিন থেকে বেশ ভালোই শীত পড়ছে। শৈত্য প্রবাহ এর জন্যই শীত বেশি লাগছে। আমাদের এদিকে অনেক জোরেই বাতাস হচ্ছে ,আমার তো মনে হচ্ছে ঝড় হচ্ছে। 😒
যাই হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো টমেটো সস রেসিপি। আমরা প্রতিনিয়তই টমেটো সস খেয়ে থাকি। বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া জিনিস পাকোড়া ইত্যাদির সাথে খেয়ে থাকি। আর তাছাড়া বিশেষ কিছু রেসিপির মধ্যেও টমেটো সস ব্যবহার করা হয়। সবসময় বাজার থেকে কিনে আনা হয়। কিন্তু আমরা চাইলেই বাসায় এটি তৈরি করে ফেলতে পারি। আমি সস এর মধ্যে ফুড কালার ব্যবহার করিনি। তাই এর রং বাজারে সস গুলোর মত হয়নি। ফুড কালার এড়িয়ে চলাই ভালো। আমি আম্মুর জন্য দিতে পারিনি।
এটি পারফেক্ট ভাবে তৈরি করতে পারলে রেসিপিটি টেস্ট বোঝা যায়। রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু ছিলো । আমি এটি রাস্তার জন্য তৈরি করেছিলাম। পাস্তা রান্না করতে ব্যবহার করেছি। তাই এটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিতে যাওয়া যাক।
আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |
---|
- টমেটো
- শুকনো মরিচ
- পেঁয়াজ কুঁচি
- রসুন কুচি
- লবন
- সরিষার তেল
- প্রথমে আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে নিলাম। তারপর এর মধ্যে আস্ত শুকনো মরিচ দিয়ে দিলাম। হালকা আছে এক থেকে দুই মিনিট ভেজে নিলাম। অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন কালো না হয়ে যায়।
- মরিচগুলো ভেজে নেওয়ার পর ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ডার নিলাম। চিলিফ্লেক্স তৈরি।
- এখন ফ্রাই পেনের মধ্যে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে দিলাম ।
- তারপর তেলের মধ্যে এক টেবিল চামচ চিলি ফ্লেক্স গুলো দিয়ে দিলাম।
- এখন তেলের সাথে পেঁয়াজকুচি ও রসুন কুচি দিয়ে দিলাম।
- এখন স্বাদ অনুযায়ী পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিলাম।
- এখন তেলের সাথে কুচি করে নেওয়ার টমেটো দিয়ে দিলাম। এবং ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিলাম।
- সাত থেকে আট মিনিট ঢাকনা দিয়ে টমেটোগুলো ভেজে নিলাম ।
- টমেটো গুলো ঠান্ডা করে নেওয়ার পর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলাম।
রেসিপিটি এখন সম্পূর্ণ তৈরি।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে আপু টমেটো সসগুলো দেখলেই যেন খেতে ইচ্ছে করে। টমেটো সসগুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে। দেখছি নিজেই বাসায় খুব সুন্দর করে টমেটো সস করেছেন দেখে লোভ আর সামলাতে পারছি না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
যেকোনো ভাজাপোড়া রেসিপি সাথে টমেটো সস অবশ্যই লাগবে আমার। যাই হোক ভালো লেগেছে আপনার এটি শুনে ভালো লাগলো।
আপু আপনার সস এর রেসিপি দেখে তো লোভ লেগে গেলো। টমেটোর সস আমার অনেক পছন্দের। আপনি দারুণ ভাবে টমেটোর সস এর রেসিপি শেয়ার করেছেন। কালার দেখে তো বুঝা যাচ্ছে সস টি টেস্ট হয়েছে। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই অসাধারণ মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই রেসিপি কিন্তু আমার কাছে বেশ অনেক ভালো লেগেছে। টমেটো দিয়ে যেকোন রেসিপি আমার খুব প্রিয়। আসলে এ জাতীয় রেসিপিগুলো খেতে বেশ দারুন লাগে।
আসলে সবারই বলা যায় টমেটো সস খুবই প্রিয়। তাইতো ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এটি তৈরি করে ফেললাম।
আপু আমাদের এদিকে ও এখন প্রচুর ঠান্ডা আর সেই সাথে বেশ বাতাস বইছে। আর আপনার আজকের রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে ।আসলে সবসময় বাইরে থেকে কেনা সস টাই খাওয়া হয় ।তবে এত সহজে বাসায় তৈরি করা যায় আপনার রেসিপি দেখে বুঝতে পারলাম ।অবশ্যই আমিও একদিন ট্রাই করে দেখব ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীত কমার এখনো কোনো নাম গন্ধই নেই। আর হ্যাঁ আসলে বাহিরের সসটা একটু বেশি খাওয়া হয়। বাসায় এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করলে বেশ ভালই হয়।
আপনি খুব মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। এই রেসিপিগুলো আমরা বাজার থেকে কিনে খাই। তবে এই রেসিপির মধ্যে কালার দেওয়া হয়। আপনি বাসায় তৈরি করেছেন এর ভিতরে কোন কালার বা মেডিসিন দেওয়া হয়নি। তাই এই রেসিপিটি অনেক স্বাস্থ্যকর যার কারণে আপনার রেসিপি দেখে আমি শিখে নিলাম। আসলে বাসায় আমরা চাইলে খুব সহজেই এরকম স্বাস্থ্যকর ভাবে রেসিপি তৈরি করতে পারি।
আসলে বাহিরের টমেটো সসগুলোর মধ্যে ফ্রুট কালার দেওয়া হয় ও মারাত্মক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।
হ্যাঁ প্রতিনিয়ত আমরা টমেটো সস খেয়ে থাকি তবে আজকে সেই টমেটো সস কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করতে হয় সেটা আজ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে এভাবে তৈরি করলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হয়।
শীতের বিকেলে ভাজি পোড়া খাওয়ার জন্য টমেটো সাইজ একটি অন্যতম উপকরণ। টমেটো সস ছোট বড় সবারই একটি পছন্দনীয় সস। আমরা বেশিরভাগ টমেটো সস ই বাজার থেকে কিনে খাই। যাতে অনেক কেমিক্যাল বা ফরমালিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। আপনার টমেটো সস রেসিপির মাধ্যমে জানতে পারলাম কিভাবে ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া টমেটোর সস তৈরি করা যায়। আপনি এত সুন্দর একটা টমেটো সস রেসিপি আমাদের মাঝে সেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শীতের বিকেলে ভাজি পোড়া খাওয়ার জন্য টমেটো সাইজ একটি অন্যতম উপকরণ। টমেটো সস ছোট বড় সবারই একটি পছন্দনীয় সস। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ টমেটো সস ই বাজার থেকে কিনে খাই। এভাবে ঘরোয়াভাবে ও তৈরি করতে পারি।
টমেটো সসের ব্যবহার এখন অনেক ক্ষেত্রেই করা হয়। ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কিছু রান্না করা, সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় এটি। এটির ব্যবহার বর্তমানে অনেক বেশি। যাইহোক,আপু আপনার শেয়ার করা এই টমেটো সসের রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। সব সময় বাজার থেকে সস কিনে এনে ব্যবহার না করে, বাড়িতে এভাবে তৈরি করে ব্যবহার করা ভালো। বাজারের মতো সসের কালার দিয়ে কাজ নেই, টেস্ট ভালো হলেই রেসিপির সার্থকতা।
আসলে এখন ভাজাপোড়া খাওয়াও হয় একটু বেশি সবার। তাই টমেটো সসের ব্যবহার ও একটু বেশি তাই টমেটো সসের ব্যবহার অনেক বেশি হয়।
আচ্ছা আপু বুঝেছি ব্যাপারটি। টমেটো সস শরীরের জন্য অনেক ভালো, একটু বেশি খেলে ক্ষতি নেই।
হ্যাঁ আপু মনে হচ্ছে যেন ঠান্ডার ঝড় উঠেছে। আন্টি ফুলড কালার দিতে না দিয়ে ঠিক করেছেন।ফুড কালার গুলো এরিয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।আপনার টমোটো সস গুলো দারুণ লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন সস গুলো।ধন্যবাদ সুন্দর লোভনীয় সস বানিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বলা যায় শীতের ঝড় হচ্ছে। আসলে ফুড কাল আমাদের দেহের জন্য ভালো না। তাই আম্মু ব্যবহার করতেও দেয়নি।