মোলায়েম হাতের রহস্য!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমার একটি পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম যে, আমার মা ঈদের দিন অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পরেছিলো এবং সেটা ঈদের দিন থেকে ঈদের বেশ অনেকদিন পর পর্যন্ত ছিলো এবং সত্যি কথা বলতে সে কয়দিনে আমি যতোটা রান্নাবান্না করেছি। ততোটা রান্নাবান্না আমি আমার পুরো জীবনেও করিনি। আর তাই রান্নাবান্না করা যে কতোটা কষ্টের কাজ। সেটা আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারি সে যাই হোক , আজকে সে বিষয়ে কথা বলতে আসিনি। আজকে এমন একটা বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। যেটা আমি নিজের কাজের মাধ্যমে উপলব্ধি করতে পেরেছি।

হয়তো আমার আজকের টাইটেলটি দেখে মনে হয়েছে যে এটা কোনো রূপচর্চার পোস্ট হতে পারে। কিন্তু এটা মোটেও কোনো রূপচর্চার পোস্ট নয়। আসলে আমার হাতের স্কিন নিয়ে যদি আমি বলি। তাহলে আমার হাতের স্কিন খুবই নরম এবং আমার হাত ধরলে খুব সফট একটা ফিল হয়। যেটা আসলে আম্মুর হাত ধরলে মনে হয় না। অর্থাৎ আম্মুরদের হাতগুলো একটু শক্ত রকমের থাকে হয়তো আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি সেটা আপনারা বুঝতে পারছেন। সে যাই হোক, তো আমি আমার হাতের কথা তো বললাম। এখন আসল বিষয়টাতে আসি, যেটা আমি বুঝাতে চাচ্ছি।

তো আম্মুর অসুস্থতার কয়েকদিন আমার তো অনেক বেশি কাজ করতে হয়েছে। অর্থাৎ ঘরের রান্নাবান্না, হাঁড়ি-পাতিল ধোয়া থেকে শুরু করে ঘর ঝাড়ু দেওয়া সবকিছুই আমার করতে হয়েছে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই ঈদের দিনগুলোতে কাজের মহিলা আসে না। তো এসব কাজ করতে আমার খুব কষ্ট হয়েছে। যাই হোক, এখন আমি এসব কাজ করার কয়েকদিন পরেই আমার হাতের দিকে খেয়াল করে দেখলাম যে। আমার হাতের আঙ্গুল কয়েক জায়গায় কেটে গিয়েছে, ছিড়ে গিয়েছে এবং অনেকটা খসখসে হয়ে গিয়েছে।

তখন আসলে উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এই যে মোলায়েম হাত. এটার আসল রহস্য হলো কোনো কাজ করি না তাই। আর তার আগ পর্যন্ত আসলে আমি আম্মুকে সবসময় বলতাম যে, আম্মু কেনো স্কিন কেয়ার করে না। এজন্য আম্মুর হাতের স্কিন এতো বেশি শক্ত হয়ে গিয়েছে। আসলে মোটেও তা নয়। আম্মু সারাদিন কাজ করে এবং এজন্যই হাতের চামড়া কাটতে কাটতে কিংবা ছিঁড়তে ছিঁড়তে কিংবা অতিরিক্ত সাবান, বা লিকুইড ডিশওয়াশার এসব ধরতে ধরতেই শক্ত হয়ে গিয়েছে। যেটা আমার হাতে হয়নি এবং না হওয়ার একমাত্র কারণ হলোই কাজ না করা।

আসলে আমি একটা ব্যাপার উপলব্ধি করতে পারলাম যে, অন্যের কষ্টটা যতক্ষণ পর্যন্ত আমার নিজের সাথে না ঘটছে। ততক্ষণ পর্যন্ত সে কষ্টটা আমরা কখনোই ফিল করতে পারি না।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।