ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস - উইক ২২ (০৫-১০-২৩ থেকে ১১-১০-২৩)

---

বিগত ১১ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস চালু হয়ে আজ উইক ২২ এ পদার্পণ করেছে । এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।

---

ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস : প্রত্যেক সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে বুধবার অব্দি আমার বাংলা ব্লগের সকল এক্টিভ ব্লগারদের মধ্য থেকে এক জন আমার পছন্দের ব্লগার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে । ইনিই হন সেই সপ্তাহের "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" । এই নির্বাচনটি একদমই আমার নিজের খুশি মতো করা হয় । যাঁর লেখা আমার ভালো লাগে আমি তাঁকেই নির্বাচিত করি । প্রত্যেকের সামগ্রিক পোস্ট বিশ্লেষণ করে পোস্টের কোয়ালিটি, পোস্ট ভ্যারিয়েশন, বানান এবং মার্কডাউন এর ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এই বিচারপর্ব সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।

---

ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস - @tasonya

---

পুরস্কার : $২৫ এর দুটি আপভোট

---

ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস পুরস্কার

---

SERIAL	AUTHOR	UPVOTE	POST LINK
01	@tasonya	$25 UPVOTE	ডাই : রঙিন কাগজ দিয়ে জুতা তৈরি।
02	@tasonya	$25 UPVOTE	টার্গেট ডিসেম্বর সিজন-৩-পাওয়ার বৃদ্ধি ১০ স্টিম।

---

অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম - তাসলিমা আক্তার সনিয়া। জাতীয়তা- বাংলাদেশী। পড়াশোনা - ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। শখ - আঁকতে ভালোবাসেন, ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করেন।রান্না করতেও ভালোবাসেন এবং সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন।স্টিমিট প্লাটফর্ম এ জয়েন করেছেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাস এ।বর্তমানে স্টিমিট প্লাটফর্ম জার্নির বয়স ২ বছর ১০ মাস প্রায় চলমান।

---

এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

তাঁর ব্লগ সম্পর্কে আমার অনুভূতি :

---

ডাই : রঙিন কাগজ দিয়ে জুতা তৈরি...... by @tasonya • 16/10/2023

_{কিছুদিন আগে যখন রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু একটা তৈরি করতে বসলাম, তখনই আমার চোখের সামনে খুব সুন্দর এক জোড়া জুতা পড়ল। আসলে এগুলো যে রঙিন কাগজের তৈরি জুতা সেটা মনেই হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন ছোট বাচ্চাদের জুতা। তখনই আমি ভাবলাম এটা আমি তৈরি করব। এরপর আমি খুব সুন্দরভাবে জুতা গুলা তৈরি করলাম। …}

রঙিন কাগজ দিয়ে জুতা তৈরি করার আইডিয়াটি বেশ ইউনিক ছিলো প্রথমে এটা বলতেই হচ্ছে। এই পোস্টটি যখন প্রথমে চোখে পরে তখন আমি ভেবেছিলাম যে এই জুতোটি বুঝি আসল জুতো। কিন্তু পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার পরে বুঝলাম এটি আসল জুতো নয়, এটি রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি। কিন্তু এতো সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যে দেখে মনে হচ্ছে যেনো এটি আসল জুতো।প্রথমতোই কালার কম্বিনেশনটি একেবারেই সত্যিকারের জুতার মতো দেখতে।আর সেইসাথে যেভাবে সুন্দরভাবে সবকিছু কেটে এরপরে একটির সাথে একটি জোড়া লাগানো হয়েছে তাতে দেখতে মনে হচ্ছে কোনো বাচ্চার সত্যিকারের জুতোর ছবি তোলা হয়েছে। সত্যিই খুব বেশি সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটানো হয়েছে এই পোস্টটিতে। এই ডাই পোস্টটি প্রশংসার দাবিদার।

_{^{ছবিটি সনিয়া ম্যাডামের ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে}}

জেনারেল রাইটিং:- মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে যেই ব্যবহারটা করে সেটাই তার আসল চরিত্র।...... by @tasonya •15/10/2023

_{প্রত্যেকটা মানুষ নিজেদের আসল চরিত্র পরবর্তীতে দেখায়, যখন সে তার সবগুলো কাজ করে ফেলে এবং একটা ভালো পর্যায়ে চলে যায়। আর সেই মানুষটা যদি ভালো আচরণ করে তখন তো তার চরিত্র অবশ্যই ভালো বলে ধরা যাবে, কিন্তু যখন অন্যদের সাথে খারাপ আচরণ করবে, তখনই তার খারাপ চেহারা বেরিয়ে আসবে।…}

প্রতিটি মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে সবার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে। অর্থাৎ নিজের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য খুব সুন্দর এবং মিষ্টি একটি ব্যবহার করে এবং নিজেকে খুব সৎ একটি মানুষ হিসেবে সকলের সামনে প্রেজেন্ট করে যেটি একেবারেই সত্য কথা। কিন্তু একটি মানুষের মূল রূপটাই বের হয় যখন তার কাছে সব থাকে। অর্থাৎ ওই মানুষটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যে সব যে সব কথা দিয়েছিলো, সে সব কথা রাখছে কিনা এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে অন্যদের সাহায্য করার মনোভাবটি নিজের মধ্যে রেখেছে কিনা, তা দেখেই কিন্তু বুঝা যায় যে ওই মানুষটির আসল চরিত্র কেমন। কারণ যখন মানুষ দুর্বল থাকে, তখন কিন্তু সব সময় নম নম করেই থাকে। কিন্তু মানুষ যখন শক্তিশালী হয়ে যায়।তখন তার ব্যবহারটা কেমন হয় সেটাই আসল দেখার বিষয়,যা তিনি এ পোস্টে খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং পড়েও বেশ ভালো লেগেছে।

_{^{ছবিটি সনিয়া ম্যাডামের ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে}}

রেসিপি :- ঈল মাছের ভুনা রেসিপি।...... by @tasonya • 14/10/2023

_{আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঈল মাছের ভুনা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।…}

কমিউনিটির কমবেশি সকলেই জানেন আমি বেশ মাছ প্রিয় একজন মানুষ। কারণ মাংস আমার খুব একটা পছন্দ হয় না।সে কারণেই বিভিন্ন মাছের রেসিপি দেখলেই আমার পড়তে এবং দেখতে বেশ ভালো লাগে। কারণ কথায় আছে প্রথমে দর্শনধারী এর পরে কিন্তু গুণবিচারি। প্রথমতোই উনার রেসিপিগুলো সব সময় আমার অনেক বেশি পছন্দ হয় এবং উনার রেসিপির মাধ্যমে উনি অনেক পুরস্কারও জিতেছেন কমিউনিটির কনটেস্ট গুলোতে। তাই উনার রেসিপি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আর এই ঈল মাছের রেসিপিটির কথা যদি বলি, তবে এভাবে ভুনা করলে আমার ভালোই লাগে।অর্থাৎ গরম গরম ভাত দিয়ে এই ধরনের মাছ ভুনা খাওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা।

_{^{ছবিটি সনিয়া ম্যাডামের ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে}}

পেইন্টিং :- একটি কালারফুল দৃশ্যের পেইন্টিং।...... by @tasonya • 13/10/2023

_{কালারফুল দৃশ্যগুলো দেখতে কার না ভালো লাগে। আমি যখন ছবি আঁকতে বসি তখন আমার কাছে বিভিন্ন কালার দিয়ে কালারফুল ছবিগুলো আঁকতেই ভালো লাগে। তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য একটা সুন্দর ছবি আঁকবো।…}

যে পোস্টগুলো করতে অনেক বেশি সময় লাগে। তার মাঝে অন্যতম একটি টপিক হলো আর্ট করা। কারণ আর্ট করতে অনেক সরঞ্জাম নিয়ে বসতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, অনেকটা সময় নিয়ে বসতে হয়। এখন তো মোটামুটি শীতকাল চলেই আসছে। তাই চারপাশটা বিভিন্ন রংয়ের ফুলে ভরে যাবে। ঠিক যেমনটা উনি উনার দৃশ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন।উনার আর্ট গুলো বরাবরই অনেক বেশি সুন্দর হয়, যেমনটা এই পোষ্টটি ও।এই ফুলগুলো দেখতে অনেকটা কাঠগোলাপ এর মতোন ই লাগছে। সর্বশেষ এ এটাই বলার যে, এ ধরনের আর্ট পোস্ট গুলো দেখতে ভালোই লাগে।

_{^{ছবিটি সনিয়া ম্যাডামের ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে}}

জেনারেল রাইটিং:- সুখ নিয়ে কিছু কথা।..... by @tasonya • 10/10/2023

_{আমরা সবাই সুখী হতে চাই। সুখের জন্য জীবনের সব অর্জন বিসর্জন দিতেও দ্বিধাবোধ করি না। শুধু সুখ পাওয়ার জন্য দিনরাত একাকার করে পরিশ্রমও করি। শুধু তাই নয় সুখের জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় বড় কাজগুলো করে থাকি। এরপরেও কি আমরা সুখী হতে পারি। সুখ বলতে আমরা কি বুঝি? তা প্রথমেই বুঝতে হবে।…}

সুখ নিয়ে উনার এই লেখাটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। আসলে সুখ এক একটা মানুষের কাছে এক এক রকমের। অর্থাৎ আমার কাছে যেটা সুখ, সেটা অন্যের কাছে সুখ নাও হতে পারে। আর উনার একটা কথার সাথে আমি একেবারেই একমত। সেটি হলো, সুখ আসলে সকলের জন্যই আলাদা এবং মেনে নেওয়ার মধ্যেই সুখ। কারণ আমি যদি কোনো কিছু মানতে না পারি। তাহলে আমি কখনোই সুখী হতে পারবো না। সব না পাওয়াকে যদি আমরা অসুখী হওয়া হিসেবে ভাবি। তাহলেও আমরা কখনো সুখী হতে পারবো না। কোনো কিছু না পাওয়া মানে যদি সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য লিখে রাখেনি এমনটা ভেবে আমরা যদি নিজেদের মানিয়ে নিই। সে ক্ষেত্রে আসলে আমরা অনেকটাই সুখী হতে পারবো।কারণ মানুষের যতটুকু রয়েছে ততটুকু নিয়েই প্রতিটি মানুষের সুখে থাকা উচিত। সর্বশেষ এটাই বলতে চাই যে, যে মানুষের চাওয়া ঠিক যতোটা কম, সে মানুষটি কিন্তু ততোটাই সুখী।

_{^{ছবিটি সনিয়া ম্যাডামের ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে}}

সর্বশেষে @tasonya ম্যাডামকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের কমিউনিটিকে প্রতিদিন এতো সুন্দর সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য এবং উনার পোস্টের মার্কডাউন, ছবির কোয়ালিটি এবং বানান সবকিছুই একেবারে পারফেক্ট ছিলো।আশা করছি ভবিষ্যতেও আমরা এমন সুন্দর সুন্দর পোস্ট উনার কাছ থেকে উপহার পাবো।

---

------- ধন্যবাদ -------

---

পরিশিষ্ট

---

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy