[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] বর্ষায় প্রকৃতি - পর্ব ০১
গত ২৬ তারিখ তনুজার শখ হয়েছিল আমাদের কমিউনিটির লেটেস্ট কনটেস্ট "শেয়ার করো বর্ষার প্রকৃতির অপরূপ শোভার ফোটোগ্রাফি" তে পার্টিসিপেট করার। কিন্তু, শুরুতেই মুশকিলে পড়ে গেলাম আমরা । এ বছর এমনিতেই বৃষ্টি বলতে গেলে প্রায় নেইই আমাদের পশ্চিমবঙ্গে । তার ওপর কলকাতা শহরের বুকে এবারের বর্ষার ধারাপাত খুবই নগণ্য । আর শহরের বুকে কখনোই বর্ষা সেভাবে সাড়া ফেলতে পারে না ।
বর্ষায় প্রকৃতির আসল নৈস্বর্গিক দৃশ্য দেখতে হলে গ্রামে চলে যেতে হবে । বর্ষা ঋতুতেই আমাদের গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সব চাইতে বেশি অকৃপণভাবে নানান উপাচারে সাজিয়ে ফেলে নিজেকে । বর্ষার সজল ধারায় নবজীবন লাভ করে সবুজ প্রকৃতি আরো বেশি ঘন সবুজ হয়ে ওঠে। কেয়া বনের ফুলের গন্ধে মন মাতাল করে তোলে । কদম ফুলের সৌন্দর্যে হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে । বেলী, টগর, জুঁই, মালতী, হাস্নাহেনার মন মাতাল করা সৌন্দর্য ও সুগন্ধে একদম মনটা ভরে যায় ।
কিন্তু, শহরের বুকে বসে বর্ষার এই রূপটা আমরা প্রতিনিয়ত মিস করে যাই । বৃষ্টির অভাবে তাই যখন আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি, তনুজার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামলো । দ্রুত আমার ভাইয়ের নিকন ক্যামেরা নিয়ে আমি, তনুজা আর নিলয় রেডি হয়ে গেলুম ফোটো তোলার জন্য । ছাদে গিয়ে বেশ কিছু ফটো নিলাম । তবে ঘোর ঘন বারিধারায় খোলা ছাদে যেতে পারলাম না । বৃষ্টি থেমে যেতেই শুরু হলো ফোটো তোলা ।
আমাদের ছাদে তনুজার বেশ বড় একটা গার্ডেন রুফ আছে । যেহেতু আমরা গ্রামে যেতে পারছি না তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটালাম এই ছাদ বাগানে ফোটোগ্রাফি করে । অঝোর ধারায় বর্ষণসিক্ত ছাদের বিভিন্ন গাছ গাছালির ফোটো তুলতে লাগলাম । অধিকাংশই ফুলের গাছ । কিছু ফলের গাছ আর ক্যাকটাস, লেমন গ্রাস, পুদিনা, এলোভেরা এসবও আছে । কিছু ম্যাক্রো শটও নিলাম ফুল গাছের ও ফুলের । তনুজার ফোটোগ্রাফি তো দেখেছেন । এবার আমারগুলো দেখুন ।
অর্ধ প্রস্ফুটিত ফুলের কুঁড়ি, বর্ষার জলে সিক্ত ।
তারিখ : ২৬ জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ১০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বর্ষণ সিক্ত না ফোটা ফুলের কুঁড়ি ।
তারিখ : ২৬ জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ১০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
টগর ফুলের কুঁড়ি । কুঁড়ির গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা ।
তারিখ : ২৬ জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ১০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সবুজ গাছ বৃষ্টির অভাবে হলুদ হয়ে এসেছিলো । এখন নবধারা জলে সিক্ত হয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে । আবার ঘন হচ্ছে তার সবুজ পাতাগুলি ।
তারিখ : ২৬ জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ১০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এক পশলা ঘন বরিষনের পরে প্রকৃতিতে একটা অদ্ভুত সোঁদা গন্ধ ছড়ায় যাতে আকৃষ্ট হয়ে পতঙ্গের ঝাঁক দল বেঁধে ফুলের মঞ্জরীতে ওড়া উড়ি করে । ছবিতে দেখা যাচ্ছে মধুর খোঁজে এক প্রজাপতি বৃষ্টির পর পরই বেরিয়ে পড়েছে ।
তারিখ : ২৬ জুলাই ২০২৩
সময় : দুপুর ১ টা ১০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : D5600
ফোকাল লেংথ : ৮৬ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)
তারিখ : ২৮ জুলাই ২০২৩
টাস্ক ৩৩৮ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 0208c98ff3abb13d1d986bdb326f8fcd3735c25e8bdabcc9134281ef28694168
টাস্ক ৩৩৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
.png)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
একদম পারফেক্ট কথা গুলো বলছেন দাদা আসলে এই বর্ষার প্রকৃত সৌন্দর্য অনুভব করতে হলে আমাদেরকে গ্রামে যেতে হবে। তারপরও কি করার বলেন দাদা আসলে তো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হয়। তো শহরে বসে ছাদে কিংবা বিভিন্ন সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে প্রাকৃতির সৌন্দর্যগুলো অনুভব করি। আপনি কিন্তু দুর্দান্ত ছবি করলেন অনেক সুন্দর হয়েছে ছাদ থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফি গুলো। আসলে আপনার ফটোগ্রাফির তুলনা হয় না। মাঝে মাঝে আপনি আমাদেরকে লেটেস্ট কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আমিও এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু আমার শহর ঢাকাতে একদম বৃষ্টি নেই।ঈদের কটা দিন খুব বৃষ্টি ছিল। কোথাও বের হতে পারিনি।কে জানতো বর্ষা নিয়ে কনটেস্ট হবে?? জানলে তো তখনই ফটোগ্রাফি করে রাখতাম।কিন্তু আপনাদের ওখানে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছিল জেনেছি।যাক আপনি সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছেন।আর ছাদে দিদির ছোট -খাটো বাগান আছে পোস্টে দেখেছিলাম আগে।আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি ই কিছুটা হলেও বর্ষার কথা মনে করিয়ে দিল।তার সতেজতা দিয়ে।।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য।
ঠিক বলেছেন দাদা এবার তেমন একটা বর্ষাকালে বৃষ্টি হচ্ছে না। তবে আজকে আমাদের এখানে সকাল বেলায় থেকে একটু একটু বৃষ্টি হচ্ছে। প্রজাপতির ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে এদের ফটোগ্রাফি করা খুব মুশকিল। ছাদের মধ্যে অনেক ধরনের গাছ দেখতে পেলাম। টগর ফুল গুলো দেখতে ভালো লাগে। আমার কাছে সাদা ফুল গুলো একটু বেশি ভালো লাগে।
এবারের পরিবেশ দেখে বোঝার কায়দা নেই যে এটা বর্ষাকাল। বর্ষাকালে পরিবেশ যেমন সজীবতায় সেঁজে ওঠে সেটা খুবই মিস করছে মানুষ এবার।
আপনার সবুজ ছোঁয়া ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগলো।
বর্ষাকালে প্রকৃতি নতুন করে রূপ নেয়।চারিদিকে সবুজের সমারহ থাকে। মনে হয় যেন সবুজ চাদরের বিছানা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে এইবার বৃষ্টির কারণে সেই রুপটা খুবই কম দেখতে পেয়েছিলাম। আজকে আপনার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকৃতির আসল রূপ দেখতে পেলাম। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখতেছিলাম দেখতে দেখতে চোখের পলকে যেন শেষ হয়ে গেল। সবুজের সমারহের তৃষ্ণা যেন আরো বেড়ে গেল।আশা করেছিলাম আরো কিছু ফটোগ্রাফি অপলক নয়নে দেখবো। দাদা অপেক্ষায় রইলাম প্রকৃতির মায়াময় রুপ বৈচিত্রের দৃশ্য আগামী পর্বে আরো দেখতে পাবো বলে।অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনি এবং আপনার ফ্যামিলির সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
দাদা বৌদির কি ভাগ্য যখন বৃষ্টি চাইলো তখনই বৃষ্টি পেয়ে গেল। বৌদির ফটো গুলো দেখেছি। দারুন হয়েছে। আপনার ফটো গুলো দেখে মনে হচ্ছে একেকটা হীরার টুকরো। একটি ছবিতে একটি পৃথিবী কল্পনা করা যায়। NIKON ক্যামেরার ফটো আমাকে জাষ্ট পাগল করে দিয়েছি। ধন্যবাদ দাদা।
বাহ! বেশ দারুণ কিছু দৃশ্য উপভোগ করলাম, সতেজ সজীবতায় হৃদয় তৃপ্ত হয়ে গেলো। সত্যিই প্রকৃতির পরিবর্তন আমাদের প্রতিনিয়ত হতাশ করছে, শহুরে জীবনে ঋতুর প্রকৃত স্বাদ দিন দিন অচেনা হয়ে যাচ্ছে। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন এই জন্য যে, প্রতিযোগিতার সময়ের মাঝেই বৃষ্টি হয়েছিলো এবং বৌদি অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন সাথে নিলয় দাদাসহ। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনিও। ধন্যবাদ