কোলকাতার কালী পুজো - পর্ব ১২
মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশন এর কাছে এই পুজো প্যান্ডেলটা এবারে দারুন করেছিল । আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছিলো । প্রত্যেক বছর ভীড়ের ঠেলায় এই পুজো প্যান্ডেলে ঢুকতে পারি না, বাইরে থেকে ফোটো তুলে চলে আসি । কিন্তু, এবারে প্রায় রাত বারোটার দিকে যাওয়াতে ভীড় একদমই পাইনি । তাই অনেকটা সময় ধরে ঘুরে ঘুরে সব দেখলাম । বেশ ভালো লাগলো ।
এবছরে এদের থিম ছিল দু'টো । প্যান্ডেলের বাইরেটা ছিল "রাজস্থানে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা থিম" । আর পুজো মণ্ডপের থিম ছিল "কালীকৃষ্ণ" । পুরো পুজো প্যান্ডেলটা একদম রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী বাড়ির আদলে সাজানো হয়েছিল । রাজস্থানের অবস্থাপন্ন মধ্যবিত্তের বাড়ি যেমনটা হয়ে থাকে ঠিক তেমনভাবেই তৈরী করা হয়েছিল গোটা পুজো প্যান্ডেলটা । রাজস্থানে বাড়ির চারিদিকে মাটি বা পাথরের মাঝারি উচ্চতার পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকে । এই পাঁচিলের নানান অংশে সূক্ষ্ণ সব নান্দনিক কারুকার্য দিয়ে চিত্রিত করা থাকে । গেট পেরিয়ে ঢুকলেই উন্মুক্ত বিশাল একটি উঠোন দৃষ্টিগোচর হয় । এই উঠোনে এখানে সেখানে বড় বড় উট দাঁড়িয়ে রয়েছে । উট হলো রাজস্থানের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ পশু, আমাদের রাজ্যে যেমন গরুই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পশু ।
উঠোনের ঠিক মাঝখানে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার একটি যান্ত্রিক প্রদর্শনী রাখা হয়েছিল । যন্ত্রের সাহায্যে শ্রীকৃষ্ণের একটি বাল্যকালের প্রতিকৃতি গোল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাঁর হাতে মাখনের ভান্ড । কৃষ্ণ মাখন চুরি করে পালাচ্ছে আর পিছনে মাতা নন্দরানী তাকে ধরার জন্য তাড়া করেছেন । আর চারিদিকে গোপিনীরা কৃষ্ণের পানে ছুটে চলেছে ।
তনুজা কয়েকটা উটের মূর্তির সাথে ফোটো তুললো, তারপরে আমরা গেলুম মূল পুজো মণ্ডপে । মণ্ডপটি ছিল গোলাকৃতির । তিনদিকে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার নানা যান্ত্রিক প্রদর্শনী আর সম্মুখভাগে "কালীকৃষ্ণ" মূর্তি । "কৃষ্ণকে গোকুলে নন্দরাজের কাছে রেখে আসার জন্য পিতা বাসুদেব বাসুকি নাগ পরিবৃত অবস্থায় যমুনা নদী পার হচ্ছেন", "কংস বধ", "কৃষ্ণের মাখন চুরি" আর "কালীয় দমন" - প্রভৃতি ঘটনাবলী রোবোটিক যন্ত্রের সাহায্যে প্রদর্শন করা হয় মণ্ডপের মধ্যে ।
কালী যখন কৃষ্ণরূপে প্রতিভাত হন তখন তাঁর করাল বদনে রক্ত নয়, লোল জিহ্ববা নয়, কৃষ্ণের বংশী শোভা পায় । এই সুন্দর কৃষ্ণের সাজে কালী মূর্তির রূপটিই এখানে ধরা হয়েছে । এক কথায় অনবদ্য হয়েছিল কালী প্রতিমা । ইতিপূর্বে আমি কখনোই "কালীকৃষ্ণ" মূর্তি প্রত্যক্ষ করিনি ।
রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী বাড়ির আদলে তৈরী পুজো প্যান্ডেল ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পাটের দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে টাওয়ার তৈরী করা হয়েছে । টাওয়ারের গায়ে কাঠের তৈরী নানান সূক্ষ কারুকার্য রয়েছে ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দেওয়ালের সামনে কিছু অন্তর একজন করে সানাই মুখে বাদ্যযন্ত্রশিল্পী দাঁড়িয়ে রয়েছে ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১১ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কৃষ্ণের রাসলীলা ও ঝুলন উৎসবের যান্ত্রিক প্রদর্শনী ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১১ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
উটের মূর্তির সাথে তনুজার ফোটো তোলা ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১১ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
উটের মূর্তির সাথে আমাদের একটা ফোটো ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মূল পুজো মণ্ডপ ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পুজো মণ্ডপের ছাদের সাজসজ্জা ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কৃষ্ণকে গোকুলে নন্দরাজের কাছে রেখে আসার জন্য পিতা বাসুদেব বাসুকি নাগ পরিবৃত অবস্থায় যমুনা নদী পার হচ্ছেন ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা - ননীচুরি ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা - কালীয়নাগ দমন ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শ্রীকৃষ্ণের লীলা - কংস বধ ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মূল দেবী প্রতিমা - "কালীকৃষ্ণ" ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১২ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
টাস্ক ৫০৯ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : ab3a839d55b3a01c83d30e925e8f6481c2d7a0b3a6059b8da936fc5f4d10f682
টাস্ক ৫০৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দাদা আপনার মত আমার কাছে এই থিমটি অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়াও বেশি রাত করে যাওয়ার কারণে হয়তো ভির একটু কম ছিল তা না হলে কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও অনেক ভিড়ের মধ্যেই আপনাদের বাহির থেকে ছবি তুলে আসতে হতো। তবে এই পাটের ব্যবহার দেখে অনেকটাই ভালো লাগলো, পাট আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সোনালী আঁশ। আমি একজন টেক্সটাইল এর ছাত্র তাই এই বিষয়গুলো আমার কাছে প্রতিনিয়তই অনেক ভালো লাগে। বাংলাদেশেও বর্তমানে পাট শিল্পের উপর ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহন করা হচ্ছে। সর্বোপরি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post was upvoted by @upex upvoting Services with 59.28%. To learn more Join our Discord community here.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা তাদের সম্পূর্ণ আয়োজন দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। অন্যান্য বছর ভিড়ের জন্য এই পূজা প্যান্ডেলে না ঢুকতে পারলেও, এবার বেশি রাতে গিয়েছেন বলে,কোনো ঝামেলা ছাড়াই প্রবেশ করতে পেরেছেন। তাদের থিম দুটি একেবারে ইউনিক হয়েছে। রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী বাড়ির আদলে তৈরী পূজা প্যান্ডেলটি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। তাছাড়া পূজা মন্ডপটি দেখতেও দারুণ লাগছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন। সব মিলিয়ে পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Indeed the culture of your place is beautiful, I must say and the photographs on this festivities you have shown here is nothing short of breath taking, culture is life, I know you enjoyed the occasion 🙂
It is great to know that you were able to enter this puja pandal and were not restricted by crowd.
This beautiful places are most times enjoyed when there are lesser crowd, and the pictures you took are so great.
Thank you so much Dada for sharing this interesting post with us 😊❤️❤️❤️
"রাজস্থানে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা থিম" ও "কালীকৃষ্ণ" থিম দুটোই অসাধারণ ছিল। এত সুন্দর কারুকার্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল দাদা। সত্যি দাদা ডেকোরেশন গুলো অসাধারণ ছিল। আর আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
দাদা, আমি মধ্যমগ্রামের এই পুজো মণ্ডপে সন্ধ্যার দিকে গেছিলাম, এজন্য প্রচন্ড ভিড় হয়েছিল। তবে তোমরা যেহেতু অনেক রাতে গেছিলে এজন্য হয়তো ভিড় একটু কম ছিল। এখানে করা দুটো থিমই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তবে আমিও ঐদিন প্রথমবার কালীকৃষ্ণ দেখেছিলাম দাদা। এই প্যান্ডেলে থাকা কৃষ্ণের রাসলীলা ও ঝুলন উৎসবের যান্ত্রিক প্রদর্শনীটাও বেশ আকর্ষণীয় ছিল। তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে দাদা।
পুজো প্যান্ডেল নিয়ে যেমনটা লিখেছেন ভাই, হুবহু তেমনটাই মিল পেয়েছিলাম ছবিগুলোর ভিতরে। এক কথায় দারুন উপভোগ করলাম, এই পূজা প্যান্ডেলের ছবিগুলো। তাছাড়া যারা এই পূজা প্যান্ডেলের কারুকাজ করেছে, তাদের কাজের প্রশংসা করতেই হয়।