ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের গ্রাম"steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year

পরশুদিন বিকেলে গ্রাম ঘুরতে বেরিয়েছিলুম । ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশের গ্রামের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে দেখলাম । এখানকার পাড়া গাঁ আমাদের পশ্চিমবঙ্গের গ্রামের তুলনায় কম আধুনিক, আর সেই কারণেই এতো সুন্দর । গ্রাম আর শহরের মধ্যে যদি তফাৎ কম থাকে তবে গ্রামের স্বাভাবিক সৌন্দর্যটাই হ্রাস পায় ।

এই গ্রামের রাস্তা ঘাট চার প্রকারের । একই গ্রামের ভেতর চার ধরণের রাস্তা আসলেই বিরল । গ্রামের প্রধান রাস্তার প্রায় সত্তর শতাংশ পীচ, পনের শতাংশ ইঁট, দশ শতাংশ কাঁচা আর বাকি পাঁচ শতাংশ মোরামের রাস্তা । সুন্দরবনের কাছের এই গ্রামে রাস্তার দু'দিকে শুধু মাছের ভেড়ি আর ভেড়ি । এখানে আসার পর থেকে খালি মাছ খেয়েই চলেছি । ভেটকি, বাগদা, গলদা, কাঁকড়া, ট্যাংরা, পার্শে আরো কত মাছ ।

এদিককার গ্রামে গেওয়া, গোল, কেওড়া, নারিকেল, হরগোজা, বাবলা, বল্লা আর খেঁজুর গাছের আধিক্য রয়েছে । এ গাছগুলোই প্রধানত সুন্দরবনের গাছ । গ্রামের মানুষদের প্রধান জীবিকা মাছ চাষ । এই গ্রামে অনেকগুলো পাড়া রয়েছে । মুসলিম ও হিন্দু পাড়া আলাদা আলাদা । গ্রামের প্রায় ২০ শতাংশ মুসলিম । এদিকের কিছু গ্রামে শুনলাম হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ । কোনো কোনো গ্রামে ১০০ শতাংশই হিন্দু ।

এদিককার গ্রামগুলোতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত প্রায় নেই বললেই চলে । হিন্দু-মুসলিমদের ভিতর জাতিগত বা ধর্মীয় কোনো সংঘাত লক্ষ্য করা যায় না । এদিককার হিন্দুদের মধ্যে অতিরিক্ত ভারতপ্রেম আর মুসলিমদের মধ্যে মাত্রারিক্ত পাকিস্তানপ্রেমী লক্ষ্য করা যায়, যেটা দৃষ্টিকটু । ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিনে এই গ্রামে আমার আগমন । সেই দিন গ্রামের সব মুসলিম পাকিস্তান আর সব হিন্দু ভারতের পক্ষে ছিল ।

গ্রামে বিদ্যুৎ, টিভি কেবল লাইন আর ইন্টারনেট এর ফাইবার অপটিক লাইন রয়েছে । নেট স্পিড বেশ । আপ টু 70-80 MBPS । ইলেক্ট্রিসিটি দিনে রাতে বার চারেক যায় । তবে কম সময়ের জন্য লোডশেডিং ।


ফুল গাছের গোড়ায় টিনটিন বাবু ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


নারিকেল ও খেঁজুর গাছ
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


ইঁট বিছানো গ্রামের সুড়ি পথ । পথের দু'ধারে প্রচুর গাছের সারি ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


পথের দু'ধারে প্রচুর খেঁজুর গাছের সারি ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


পড়ন্ত বেলার দৃশ্যাবলী ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ২০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


ইঁট বিছানো গ্রামের রাস্তা ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


পীচের রাস্তা ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


গ্রামে মোরামের রাস্তা ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


হাই এক্সটেনশন কেবল লাইন ।
তারিখ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩
সময় : বিকেল ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


জবা ও কুমড়ো ফুল ।
তারিখ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩
সময় : সকাল ৮ টা ১০ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


বিশাল সাইজের গলদা । এত্ত বড়ো গলদা জীবনে খাইনি । ২০০ গ্রাম সাইজ ।
তারিখ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩
সময় : রাত ১১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Sort:  
 last year 

দাদা আমার তো মনে হয় ভারত পাকিস্তানের খেলা হলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভারতের সাপোর্টার থাকে। যাইহোক দাদা আপনি গ্রামে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন বুঝতে পারছি। আর গ্রামের টাটকা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। চিংড়ি মাছের সাইজ সত্যিই অনেক বড় মনে হচ্ছে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 last year 

দাদা আমার কাছে ও গ্রাম গ্রামের মতো থাকলেই বেশী ভালো লাগে। সব জায়গা আধুনিকতা ছড়িয়ে পরলে ও গ্রামের ঘর-বাড়িগুলো আগের মতোই থাকুক যা আমার খুব ভালো লাগে।আপনি সুন্দরবন কোন এক গ্রামে আছেন।সেখানে তো বেশীর ভাগ মাছের ঘের।মন ভরে মাছ খেয়ে নিন দাদা।তাজা মাছ, সবজি আর মাটির চুলায় রান্নার স্বাদই আলাদা।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে।টিনটিন বাবু খুব আনন্দেই আছে।খেজুর গাছ দেখলে আমার মনটা কেমন করে ওঠে।ছেলেবেলার কোন ভালো লাগা অনুভূতি হয়তো আছে।মনে করব সময় করে এমন ফিলটা কেন হয়।ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে অনুভূতি গুলো ভাগ করে নেয়ার জন্য।

Hello, greetings, very good publication, dad and titin look very happy and comfortable, it is an excellent fishing area, a beautiful environment...

 last year 

আসলে দাদা গ্রাম বাংলার তুলনা হয় না। আমি তো গ্রামে থাকি তাই সব সময় গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। আসলে শহর আর গ্রামের পার্থক্য অনেক।আসলে দাদা গ্রামের মাটির চুলায় রান্নার স্বাদ অনেক । আপনার গ্রামের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সেখানকার হিন্দু ধর্মের মানুষেরা ভারতপ্রেমী এবং মুসলিমরা পাকিস্তানপ্রেমী, এই ব্যাপারটা আসলেই দৃষ্টিকটু। যদিও আমাদের দিকে এমনটা হয় না। আমাদের এখানে অনেকে ভারতের সাপোর্টার এবং অনেকে পাকিস্তানের সাপোর্টার। এখানে হিন্দু মুসলিম কোনো ফ্যাক্ট না। যেমন আমি ছোট থেকেই ভারতীয় সাপোর্টার। কারণ শচীন টেন্ডুলকার এবং বীরেন্দর শেবাগ এর ব্যাটিং ছোট থেকেই ভীষণ পছন্দ করতাম। যাইহোক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। শুনেছি খুলনা, সাতক্ষীরার দিকে চিংড়ি মাছের ঘের অনেক। তাহলে বেশ মজা করেই চিংড়ি মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ খাচ্ছেন দাদা। যাইহোক সর্বদা সুস্থ থাকবেন আপনারা সেই কামনা করছি।

 last year 

সুন্দরবনের কাছেই যেহেতু আছেন তাহলে তো সুন্দরবনে গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন। আর এত এত মাছ খাচ্ছেন শুনে আমার তো ভীষণ লোভ লাগছে দাদা।গলদা চিংড়ি তো আমার খুবই প্রিয়,মালাইকারি হলে জমে যায়।তবে তাজা তাজা মাছ খেতে কিন্তু ভারী মজা হয়।আর সেখানে দেখছি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি তবে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ নেই জেনে ভালো লাগলো। তাছাড়া প্রথমেই টিনটিন বাবুর হাসিমাখা মুখটা দেখে মন ভরে গেল।

 last year 

দাদা বাংলাদেশের গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর আপনি কয়েক দিনে এই গ্রামে এসে এখানকার সব তথ্য তুলে ধরেছেন দেখছি পোস্টের মাধ্যমে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile