জীবন থেকে নেয়া

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)


Copyright Free Image Source : Pixabay


পাড়াগেঁয়ে একটি প্রাইমারী স্কুল । টিফিনের ঘন্টা পড়ে গিয়েছে সেই কখন । ক্লাস থ্রী-র শ্রেণীকক্ষ । পিছনের দিককার একটি বেঞ্চি । এক গাদা ছেলেমেয়ে জটলা পাকিয়ে আছে । কিছু খেলছে তারা ? না তো, কোনও হুটোপুটি তো লক্ষ করা যাচ্ছে না । উচ্চস্বরে কোনো গোলযোগও শোনা যাচ্ছে না ।

তবে কি তারা নিশ্চুপ হয়ে বই পড়ছে ? মোটেও না, টিফিনের সময় বই খুলে বসতে তাদের বয়েই গিয়েছে । তবে কি টিফিন খাচ্ছে ? না, এটাও ভুল হলো একেবারে । পাড়াগাঁয়ের প্রাইমারী স্কুলে কোনো ছেলেপেলেই টিফিন বয়ে আনে না বাড়ি থেকে । বরং দু'টাকার শসা বা বাদাম ভাজা, আচার বা আইস-ক্রিম কিনে খায় তারা টিফিন পিরিয়ডে । আর সেটা স্কুল গেটের বাইরে হুটোপুটি করে কিনে খেতেই তারা অভ্যস্ত । তবে ?

এই তবে'র উত্তর পেতে হলে আমাদের ওই জটলার মধ্যে ঢুকতে হবে । তো, চলুন ঢোকা যাক । লাস্ট বেঞ্চিতে বসে আছে ফর্সা, এক মাথা কোঁকড়ানো কটা চুল আর কটা চোখের এক কিশোর । কিছু একটা বলেই যাচ্ছে একটানা সে । আর তাকে ঘিরে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বসে রয়েছে এক গাদা ছেলে-মেয়ে । হাঁ হয়ে কি জানি কী শুনছে তারা ।



Copyright Free Image Source : Pixabay


কি বলছে ছেলেটা ? যাতে এতো তন্ময় হয়ে শুনছে তার সহপাঠীরা ? কান পেতে কিছুক্ষন শুনলে বোঝা যাবে যে সে আসলে গল্প বলছে । আফ্রিকার গল্প । ঘন বনের মধ্যে রাতের বেলা ঘুমন্ত শিকারীকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পশুরাজ সিংহ । গাছের আড়ালে আড়ালে চিতার নীল চোখ দপ-দপ করছে । ঝোপে ঝাড়ে ঝিকিয়ে উঠছে হিংস্র হায়েনার হলুদ চক্ষু । যে জঙ্গলের আনাচে কানাচে বিপদ ওঁৎ পেতে রয়েছে সেই জঙ্গলে এডভেঞ্চার-এ গিয়েছে একদল অসমসাহসী শিকারির দল । হিংস্র শ্বাপদের সাথে লেগে গেলো তাদের লড়াই । জীবনপণ করে যুঝছে তারা ।

ধূর্ত চিতা আর ভয়াল ভয়ঙ্কর পশুরাজের সাথে কিছুতেই এঁটে উঠতে পারছে না তারা । রাতের বেলায় তাদের উপর নেমে আসছে পশুরাজের অতর্কিত আক্রমণ । কি ভাবে এই বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাবে তারা ? কখনো বা শ্রোতাদের নিয়ে গিয়ে ফেলতো সে সুন্দরবনের গহন অরণ্যে । বাদাবনের আতঙ্ক ভয়াল বাঘের কবলে পড়ে কিভাবে অসহায় হয়ে পড়লো একদল ভ্রমণকারী, কি ভাবেই বা সে বিপদ থেকে মুক্ত হলো তারা ?



Copyright Free Image Source : Pixabay


কোনোদিন বা শ্রোতারা কান খাড়া করে টানটান উত্তেজনায় শুনতো ভয়ঙ্কর ডাকাতদের হাত থেকে কি ভাবে এক জন বালক নিজেকে মুক্ত করলো ? ডাকাতরা তাকে গ্রামের এক বাড়ি থেকে শেষরাতে ধরে এনেছে পরশুদিন আমবস্যার রাতে কালীপুজোয় নরবলি দেবে বলে । কিভাবে সে নিজেকে মুক্ত করলো একটিমাত্র কলমের সাহায্যে ? সেই গল্প শুনতে শুনতে উত্তেজনায় চোখ বড় বড় করে ফেলতো সকলে ।

তবে সেদিন বেশি জমে যেত যেদিন ভূতের গল্প বলা হতো । ভূত-প্রেত পিশাচের গল্প । অমাবস্যার ঘুঁটঘুঁটে আঁধার । পিশাচের কবলে পড়েছে শহর থেকে আসা একদল ছেলে । শ্মশান-এর পটভূমিতে, চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে মানুষের হাড়-গোড়, মাথার খুলি । কি ভাবে নিস্তার পাবে তারা এই ক্রুর মানুষখেকো পিশাচের হাত হতে ? শুনতে শুনতে সহপাঠীদের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যেত ভয়-উত্তেজনায় ।

আরও আছে, আমাজানের মানুষখেকো আদিম অসভ্য উপজাতির খপ্পরে পড়া, হিংস্র অতিকায় অজগর বা কখনো জলহস্তী-গন্ডার এর কবলে পড়া, হাতির আক্রমণে বা বিরাট ভয়াল কুমীরের সামনে পড়া, আমাজন-আফ্রিকার হিংস্র নরভূক পিরানহার গল্প । ঘোড়া ভূত, মুন্ডহীন প্রেত, বাছুর এর ছদ্মবেশে ভূতের ছলনা । আরও কত কি ? প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে দুই-তিন দিন টিফিন পিরিয়ডে বসতো গল্পের এই আসর ।

পরের বছর-ই ছেলেটি পাড়াগাঁয়ের স্কুল ছেড়ে শহরে এসে পড়ার চাপে তার এই সৃষ্টিশীলতাকে হারিয়ে ফেলে । সেই সাথে হারিয়ে ফেলে তার ছেলেবেলাকেও । সোনালী বিস্মৃতপ্রায় অতীত আজও ঘুমের মধ্যে এসে কাঁদিয়ে দিয়ে যায় । আজও ঘুমের মধ্যে হাফ প্যান্ট পরা একটি ছেলে এসে তাকে ডাকাডাকি করে বলে - "খেলতে যাবে না ? ওঠো । নতুন বল কেনা হয়েছে ।"...... কোনো এক সহপাঠী বলে ওঠে "আজকে সেই চিতার গল্পটা শুনবো ।"

আজকাল প্রায়ই ঘুমের মধ্যে সেই ন'দশ বছরের একমাথা কোঁকড়া ফ্যাকাসে চুল-ওয়ালা হাফ প্যান্ট পরা একটি ছেলে এসে শুধুই কি জানি কী খোঁজে ! জিজ্ঞেস করলে বলে সে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে । খুঁজে দিতে বলে । এক ফোঁটা অশ্রু গাল বেয়ে শুভ্র বালিশের ওয়াড় ভিজিয়ে দেয় শুধু । ছেলেবেলা তো হারিয়ে গিয়েছে । আর তাকে কোনোদিনও খুঁজে পাওয়া যাবে না, শুধু ঘুমের মধ্যে এসে মাঝে মাঝে কাঁদিয়ে দিয়ে যাবে ।

অতীতের তোমাকে তুমি ভুলো না, কাঁদো মন তুমি কাঁদো । যাবার সময় তো হয়েই এলো ।

"বড় হতে না চাইলেও আমরা বড় হয়ে যাই,
স্মৃতির শৈশবকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চাই"



Copyright Free Image Source : Pixabay


Sort:  
 3 years ago 

অতীতের মায়া টানে কবি মাঝে মাঝে নিরব হলেও কবিতার খাতা কিন্তু থাকে না থেমে, কবির ভাষায় শুধু বলতে চাই-

না চাইলেও অনেক কিছু পেতে হয়
না চাইলেও অনেক কিছু হারাতে হয়,
শৈশবটা চাইলেও থাকে না থেমে
কৈশোরটা না চাইলেও দ্রুত ছুটে।
সত্যি না চাইলেও হচ্ছি বড়
স্মৃতিগুলো হৃদয়ে হচ্ছে জড়ো,
তবুও কত আয়োজন জীবনের তরে
অতীতগুলো বার বার চাইছে ফিরতে।

 3 years ago 

"অতীতগুলো বার বার চাইছে ফিরতে" ....সত্যি বারে বারে ফিরতে চাইছে । বাস্তবে ফেরার পথ বন্ধ তাই স্বপ্নের মধ্যেই তার যাওয়া আসা । অনবদ্য , মার্ভেলাস একটি কবিতা উপহার দিলেন আমাদের । হ্যাটস অফ :)

 3 years ago 

আপনার আবেগকে কিছুটা হলেও নাড়া দিতে পারছি এটাই আমার অনেক প্রাপ্তি, কারন আপনার লেখাগুলো পড়ে হয়তো অনেকেই আমার মতো নিরবে পুরনো স্মৃতিগুলোর কথা মনে করে আফসুস করবে। ধন্যবাদ দাদা, ভালোবাসা অফুরন্ত।

 3 years ago 

জ্বী দাদা আজ প্রকাশ করলাম কবিতাটি, সাথে কিছু লাইন নতুনভাবে সংযুক্ত করেছি। ধন্যবাদ

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 3 years ago 

এভাবেই প্রতিদিন কত সৃষ্টিশীল ছেলেমেয়ে হারিয়ে যাচ্ছে শুধু তাদের পিতামাতা সচেতন না বলে। ঐ রকম বয়সে নিজের সহপাঠীদের গল্পের মাঝে রোমাঞ্চে মাতিয়ে রাখা মোটেও সহজ কথা না। কিন্তু ঐ ছেলেটার সেই আশ্চর্য গুণ ছিল। হয়তো ভবিষ্যতে ও কোনো ভালো লেখক বা উপন‍্যাসিক হতে পারত। কিন্তু পারেনি। ও নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে হারিয়ে ফেলেছে সেই সোনালী অতীত। অসাধারণ ছিল দাদা।

 3 years ago 

হারিয়েই তো গিয়েছিলুম । স্টিমিট আবার আমাকে ফিরিয়ে এনেছে ।

"বড় হতে না চাইলেও আমরা বড় হয়ে যাই,
স্মৃতির শৈশবকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চাই" ।

 3 years ago 

দাদা আপনি সেই। আসলেই আপনার লেখার ভঙ্গি গল্পের মধ্যে রোমাঞ্চের ছোয়া কোনো প্রফেশনাল লেখকের থেকে কম না। এবং ছেলেটা যে আপনি এটা শুনে আরও বেশি ভালো লাগল। এবং আপনার রিপ্লাই আনন্দদায়ক একটা মূহুর্ত।

 3 years ago 

গল্পটা বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।পড়ে কিছু ছোটবেলার স্কুলের টিফিন টিফিনের সময়ের কথা।ছোট বেলার কত বন্ধুর এখনো অনেক মনে পরে,কিন্তু তাদের সাথে ক্লাস ফাইভের পরে কোন যোগাযোগ নেই, মাঝে মাঝে মনে হয়,কিন্তু কোথায় আছে,কেমন আছে কিছুই জানি না।কতশত গল্প জুড়ে দিতাম,বাঘ,সিংহ,কুমির, হাতি,ভূতের গল্প।অথবা কত রকমের খেলা খেলতাম।সত্যিই অতীত ভুলা যায় না,😭।ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

 3 years ago 

গ্রামের স্কুলে আসলে লেখা-পড়ার চাপ বেশ কম-ই থাকে । কিন্তু, শহরের স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে আর নিশ্বাস ফেলার টাইম পাইনি ।

 3 years ago 

আসলে দাদা,আমরা টিফিনের সময় কত রকমের খেলা খেলতাম,বৌচি,দারিচা,মাংস চোর,গোল্লাছুট আরো কত কি।এই যুগে তো শহরে বাচ্চরা এই খেলা সম্পর্কে কোব ধারনা নাই। আগের দিনগুলো ভালো ছিলো।এখন নানা রকম ইলেকট্রিক ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত বাচ্চারা।

 3 years ago 

দাদা আপনার লেখাটি পড়ে কিছুদিন আগের প্রতিযোগিতার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কবিতাটির কথা মনে পড়ে গেল,

সে জানতো, সবাই জানে
শৈশবে আর ফেরা যায়না।

তবে আপনার মধ্যে যে নতুন কিছু সৃষ্টি করার প্রবনতা আছে তা আপনার গল্প ও কবিতা পড়লেই বোঝা যায়। সত্যি বলতে কি বেশিরভাগ মানুষের শৈশব কেটেছে গল্প শুনে। সমবয়সী সঙ্গী সাথীদের নিয়ে এমন কোন গল্পের আসর জমানোর মত মানুষ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। হারানো শৈশব কে খুঁজে পাওয়া যাবে না কিছুতেই তবে স্মৃতি গুলো বেঁচে থাকুক চিরদিন।❤️❤️

 3 years ago (edited)

ওই যে বললাম চাপা পড়ে গেছিলো সেই দশ বছর বয়সেই । স্টিমিটে লেখালেখি করতে করতে আবার সব ফিরে পাচ্ছি একে একে । ঘুমের মধ্যে আজও আমি ফিরে পাই আমার সেই ছোট্টবেলাকে । যে কিশোরটি এসে ঘুমের মধ্যে আমাকে ডাকাডাকি করে সে আর কেউ নয়, আমারই ছেলেবেলার আমি ।

 3 years ago 

বেঁচে থাকুক আমার বাংলা ব্লগ, বেঁচে থাকুক স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম। আপনার লেখালেখির মাধ্যমে আবার সেই হারানো শৈশব কে ফিরে পান এই প্রত্যাশা রইল।❤️❤️❤️👍

অতীতের তোমাকে তুমি ভুলো না, কাঁদো মন তুমি কাঁদো যাবার সময় তো হয়েই এলো ।

একদম ঠিক বলছেন দাদা কদিন আর এই পৃথিবীতে থাকবো।বয়স তো অনেক হয়েছে এই পৃথিবীর সব মায়া মমতা ভালোবাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এসেছে। আপনার গল্প মনোযোগ দিয়ে পড়লাম দাদা ছোট বেলার অনেক কথা মনে পড়ে চোখের কোনে পানি চলে আসলো দাদা। আমি গ্রামে বড়ো হয়েছি আমাদের গ্রামেই প্রাইমারি ইস্কুল ছিল স্কুলে যাওয়ার সময় বাবা ২ টাকা দিতো দুই টাকা নিয়ে খুশি হয়ে স্কুলে যেতাম দুই টিকে দিয়ে টিফিনের সময় বাদাম কিনে খেতাম শৈশবের দিন গুলো সত্যি অসাধারণ ছিল দাদা।ছোটো বেলার বান্ধবীদের সাথে যোগাযোগ নেই বললেই চলে কিন্তু ছোট বেলার স্মৃতিময় দিন গুলো ও বান্ধবীদের খুব মিস করি দাদা। নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি হারিয়ে ফেলেছি সোনালী অতীত।
অসাধারণ ছিল দাদা।

 3 years ago 

ঠিকই বলেছেন আমিও খুউব মিস করি আমার অতীতকে । তাই তো আজ কিছুটা শৈশবের স্মৃতিচারণা করলুম ।

Hey rme What is going on.

Here is a question, has you pumping out almost $420 a day in steem has affected for steem coin to go down from .75 cents to .33 cents ever since you started pumping out steem coin And are you keeping records of your voters Jus in case Later they ask you questions When the witnesses turn off their servers.

You know 50% of the servers are turned off and are waiting to hike up the price of steem when they turn them on and then after pumping They will turn them off again.

In the last five months you have pumped out almost 60,000 dollars, while your investment has gone down by 50 % percent.

When are the 50% percent servers from your voters are going to be turned on to save you.

PS I like Indian food not all the time , could you share a few pennies to buy a cup of noodles or the money is not yours.

penny.jpg

Could anybody out there build a bot to find out what accounts the narcs are using, so that the phantasm and conspiracy voters do not start to worry.

 3 years ago 

গল্পের প্রথম দিকে পড়ে ভাবছিলাম ছেলেটি হয়তো একটি গল্প বলবে। কিন্তু পুরো গল্পটি পড়ে দেখছি একটু ভিন্ন রকম।

আমাদের সমাজে এমন অনেক শিশু আছে যারা বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতির চাপে পড়ে তাদের সৃজনশীলতাকে হারিয়ে ফেলছে।
আসলে আমাদের অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের প্রতিভা গুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো বিকশিত করা।

দাদার এই গল্পটি যেমন একটি বিনোদন তেমনি একটি শিক্ষার বড় অংশ বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ দাদা গল্পের মাধ্যমে এত সুন্দর একটি শিক্ষণীয় বিষয় তুলে ধরার জন্য।

অতীতের তোমাকে তুমি ভুলো না, কাঁদো মন তুমি কাঁদো । যাবার সময় তো হয়েই এলো ।

কথাটার গভীরতা অনেক।

 3 years ago 

এটা কিন্তু কোনো গল্প নয় । আমারই ছোটবেলার স্মৃতিচারণা । ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন ওই কিশোরটি আমি নিজে ।

 3 years ago 

দাদা গল্পটা পড়ার শুরু থেকেই কেন যেন আমার মনে হচ্ছিল কোঁকড়া ফ্যাকাসে চুল-ওয়ালা হাফ প্যান্ট পরা ছেলেটি আপনি। আপনার ছোটবেলার সঙ্গে গল্পটি বেশ মিলে যাচ্ছিল। এরকম দুঃসাহসিক গল্প আপনি ছাড়া আর কেইবা ছোটবেলায় নিজে পড়ে অন্যকে শুনাতে পারে। ছোটবেলার কথা মনে পড়লে সবারই মনটা খুব খারাপ হয়ে ওঠে। ওই দিনে তো আর ফিরে যাওয়া সম্ভবপর হয় না।
যাইহোক ছেলেটি আসলে আপনি কি না অবশ্যই জানাবেন দাদা।

 3 years ago 

আপনার অনুমান যথার্থই । লেখাটির শিরোনামটা পড়লেই আসলে বোঝা যায় এটি আমারই ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা ।

 3 years ago 

আপনি তো লিখেন নাই কার জীবন থেকে নেয়া। অন্য কারো জীবন থেকেও তো নিতে পারেন😜।
ধন্যবাদ দাদা আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য।

 3 years ago 

সত্যি দাদা খুবই চমৎকার গল্পটি লিখেছেন। গল্পটির প্রথম দিকে পড়ে ভেবেছিলাম হয়তো আপনার ছোটবেলার কোন একটি গল্প তুলে ধরেছেন কিন্তু পরবর্তীতে পুরো গল্পটি পড়ে যা বুঝতে পারলাম সেরকম কিছু নয়, একটি ছেলের শৈশবের অতীতকে হারিয়ে ফেলা এবং সে অতীতকে খুঁজে বেড়ানোর গল্প। আপনি খুব চমৎকারভাবে গল্পটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে সত্যি কথা এভাবে প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিভাবান ও সৃজনশীল ছেলেমেয়েরা হারিয়ে যাচ্ছে হয়তো আমাদের অভিভাবকের সামান্য কিছু ভুলের কারণে, হয়তোবা বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার কারণে। তবে দাদা এই গল্পটির মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে যা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago (edited)

স্কুল লাইফের ছেলে বেলাটা সত্যি অনেক মজা কাটে আমাদের। আমাদের বেলায় টিফিন পিরিয়ডে দৌড়ে সবার আগে যেয়ে সিঙ্গারা বা সমুচা কিনা। টিফিন নিয়ে ছোটা ছুটি। স্কুল এর গেট এ যেয়ে যুদ্ধ করে আলুর চিপ্স কেনা। তারপর ৩ তালার বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচে কাগজ ফেলানো। সে সবই হারিয়েছে ধীরে ধীরে। আমার মনে হচ্ছে এটি আপনারই ছেলে বেলার কথা শেয়ার করেছেন দাদা। খুবই ভালো কেটেছিলো দিন গুলো। আসলে আমাদের সবার দিন সব সময় একই কাটেনা। আজ যেখানে অনেক মজা করছি কাল দেখা যায় অন্য কাজে সেখানে নাই। তখন সে ঘটনা গুলা মনে পরলে খুবই খারাপ লাগে।