অন্তিম সীমানা ( পর্ব ৬ )
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "অন্তিম সীমানা" গল্পটির ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো এরপর লোহার দরজায় ধাক্কা মারার সাথে সাথে যখন খুলে যায়, তখন ভেতরে অদ্ভূত ভাবে আলো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বিশাল একটা কক্ষ দেখতে পায় এবং দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন পুরোনো ছবি অর্থাৎ তাতে রয়েছে মারা যাওয়া মানুষদের মুখ, ব্রিটিশদের হাতে নির্যাতনের করুন দৃশ্য এবং শেষ মুহূর্তের অর্থাৎ মারা যাওয়ার শেষ মুহূর্তের ফটো ক্লিক। এইসব দেখে তার চোখে জল চলে আসলো।
ওই ঘরের মাঝে রয়েছে একটা রক্ত মাখা টেবিল আর সেই সাথে একটা ডায়েরি। কিন্তু ডায়েরিতে লেগে আছে শুকনো রক্তের দাগ। ডায়েরি যখন হাতে নিলো, তখন চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসলো অর্থাৎ ঘরের ভেতরের সেই লাইট সব একসাথে বন্ধ হয়ে গেলো। আর যে দরজার মুখ দিয়ে বের হবে, তার সামনে দাঁড়িয়ে গেলো অদ্ভূত এক ভয়ংকর ছায়া। ছায়াটি যেনো চেইনে বাধা, মুখ নেই এবং আগুনের মতো দেখতে দুটো চোখ। আরেকজন বাইরের থেকে চিৎকার করে বললো অর্থাৎ ভেতরে যে আছে, তাকে জানানোর জন্য চিৎকার করে বললো- ওটাই প্রহরী এই দরজার।
এই প্রহরী একজন ব্রিটিশ আর কর্নেল পদে ছিল। ওই সময়ে নির্যাতন বেশিই করতো মানুষদের। একপ্রকার বলা যায় নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। মৃত্যুর পরেও সে এখনো ছেড়ে যাইনি, তার আত্মা এখনও পাহারাদার হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এই ডায়েরিতে যে সত্য ঘটনা আছে, সেটা কোনোমতে সে বাইরে বেরোতে দেবে না। কারণ বাইরে বেরোলে তাদের অস্তিত্বই শেষ হয়ে যাবে। কারণ তাদের সব নির্যাতন অত্যাচার এর কাহিনী এই ডায়েরিতে লুকিয়ে আছে। তাই সে তাদের বললো- তোমরা এই ডায়েরি কক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে যেতে পারবে না।
এরপর সেই প্রহরী প্রচণ্ড শক্তির সাথে তার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়লো তাকে মারার জন্য। তখন সে চিৎকার করে প্রহরীকে বললো- আমি সত্য লুকোতে আসিনি, বাঁচাতে এসেছি। অর্থাৎ তাদের সবার আটকে পড়া আত্মা যাতে মুক্তি পায়। আর সেই সাথে ডায়েরিটা উপরে তুলে ধরে বললো- এটাই তোমার শেষ! আর সাথে সাথে ঘরের মধ্যে আলোকিত হয়ে উঠলো অর্থাৎ সব আত্মা একসাথে চলে আসলো।....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |





