ফোটোগ্রাফি পোস্ট : গ্রামে ঘুরতে গিয়ে কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করে আনলাম
বেশ কিছুদিন আগে গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলাম । শীত ঋতু গ্রামে যতটা ভালোভাবে উপভোগ করা যায় ততটা কিন্তু শহরে সেভাবে উপভোগ করা যায় না । গ্রামে শীতের সকাল আর শীতের বিকেলবেলার রূপই পুরো আলাদা সৌন্দর্যময় । কুয়াশা ঢাকা শীতের সকালে গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে দারুন লাগে । সূর্য্যের সোনালী মিঠে রোদ্দুর গায়ে মেখে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার মজাই আলাদা । শীতের ভোরে প্রচুর পাখি ডাকে । সারাদিন পাখির কলকাকলিতে গ্রামের সবুজ বনানী মুখরিত থাকে ।
রাস্তার দু'ধারের ফসলশূন্য রিক্ত মাঠ অবশ্য মনে একটু বিষন্নতার ছাপ ফেলে, তবে মাঠময় গরু, বাছুর, ভেড়া আর ছাগলছানার ছোটাছুটির দৃশ্য আবার বেশ আনন্দদায়ক হয় । এছাড়া গ্রামের পুকুরে হাঁসেদের ভেসে বেড়ানো, জলকেলী করার দৃশ্য দারুন লাগে ।
তাছাড়া গ্রামের রাস্তার দু'ধারের প্রচুর গাছ-গাছালি, নাম না জানা কত না ফুল আর ফলের গাছ দেখা যায় তার ইয়ত্তা নেই । আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, খেঁজুর আর তাল-নারিকেল গাছের সারিই বেশি ।
এবারে গ্রামে গিয়ে আমরা একদিন পিকনিক করেছিলাম রাতে । শীতের রাতে গ্রামে পিকনিক করার মজাই আলাদা । বিরিয়ানি রান্নাও হয়েছিল । তা ছাড়া মাটি খুঁড়ে উনুন করে সেখানে লুচি, তরকারি, জিলাপি ভাজাও হয়েছিল । দারুন এনজয় করেছিলাম সব কিছু । সব মিলিয়ে দারুন একটা সপ্তাহ পুরো এনজয় করেছিলাম গ্রামের বাড়িতে ।
এছাড়াও শীতকাল, তাই পিঠেও খাওয়া হয়েছিল বেশ । শীতের কনকনে ঠান্ডায় সাঁঝেরবেলা গরামগরম পিঠে-পুলি খেয়ে মেজাজ একদম তর হয়ে গিয়েছিলো । তাছাড়া, গ্রামের পুকুরের টাটকা মাছ, গাছের ফল-পাকুড় খেয়ে কয়দিন মজাসে কেটেছিল আমাদের ।
এটা একটা বরই (কুল) গাছ ।
তারিখ : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : বিকেল ০৩ টা ৫০ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
নারিকেল গাছে কচি ডাব দেখা যাচ্ছে ।
তারিখ : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : বিকেল ০৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
উঠোনে মাটি খুঁড়ে উনুন তুলে সেই উনুনে জিলিপি ভাজা চলছে ।
তারিখ : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : রাত ১০ টা ০৫ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মাটির উনুনে লুচি ভাজা চলছে ।
তারিখ : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : রাত ১১ টা ১০ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পিকনিকের রান্নার তোড়জোড় চলছে ।
তারিখ : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : রাত ০৯ টা ৩০ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
রাস্তার দু'ধারে শুধু গাছ আর গাছ ।
তারিখ : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : বিকেল ০৪ টা ০০ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শীতের সকালে গ্রামের প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ ।
তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : সকাল ০৮ টা ১০ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সারিবদ্ধ খেঁজুর গাছের সারি রাস্তার দু'ধারে।
তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : সকাল ০৮ টা ২০ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
শিশু বট বৃক্ষ ।
তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সময় : সকাল ০৯ টা ৫০ মিনিট
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ১১ মার্চ ২০২৪
টাস্ক ৫২৪ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : f57a2555a82cd364ab23c225210a7eb68a3a0f2ab8166b8e48a93c6d1d3fabbc
টাস্ক ৫২৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই তাই, শহরে বদ্ধ পরিবেশে শীত ঋতু তেমন একটা উপভোগ করা যায় না। আপনি খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত ক্যাপচার করে এনেছেন দাদা। কুয়াশায় ঘেরা সবুজ প্রকৃতি দারুন লাগছে দেখতে। গরম গরম জিলাপি ভাজা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। নারকেল গাছের কচি ডাবগুলোও দারুন লাগছে দেখতে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে দাদা গ্রামে শীতের সকাল এবং বিকেলে ঘোরাঘুরি মজাটাই আলাদা। গ্রামে থাকার সুবাদে এই সময়টা অনেক বেশি ইনজয় করি। কুয়াশা ঢাকা চারিপাশ শীতল হাওয়া সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগে। আপনিতো গ্রামে গিয়ে পুরা বাজিমাত করে দিয়েছেন। শীতের রাতের পিকনিক গরম গরম জিলাপি ভাজা দেখে যেন লোভ লাগছে। দারুন দারুন মুহূর্ত ক্যাপচার করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
গ্রাম বাংলার এই ফটোগ্রাফি পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে দাদা।আসলে গ্রাম বাংলার রূপের কোনো তুলনা হয় না। আর শহর অঞ্চল অপেক্ষা গ্রামের দিকে বাংলার এই ছয় ঋতুটি সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করা যায়। আর গ্রামের দিকে পিকনিক করার মজাটাই আলাদা। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 42.36% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
দাদা, ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক বড় করেই পিকনিকটা করা হয়েছিল। সেই শীতের সকালে গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। শহরে শীত ঋতুর সৌন্দর্য খুব একটা বেশি উপভোগ করা যায় না, কিন্তু গ্রামে যেন পরিবেশটা পাল্টে যায়, সুন্দর এবং মনোরম হয়ে যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বিশেষ করে দাদা শীতের সকাল এখন অনেক বেশি মিস করি। শীতের সকালে সেই ঘন কুয়াশার মধ্যে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করা এবং বিভিন্ন ধরনের পিঠা তো আছেই। তবে দাদা জিলাপি ভাজার ছবি দেখে জিভে জল চলে আসলো, কতদিন এই গরম গরম জেলাপি খাই না। সর্বোপরি আপনার ছবিগুলো অনেক চমৎকার ছিল দাদা। গ্রামেগঞ্জে গেলে এখনো সেই বিভিন্ন ধরনের ফলমূলের গাছের দেখতে পাওয়া যায়। যেমনটা আপনি শেয়ার করেছেন, খেজুরের গাছ এবং কুলবরাইয়ের গাছের ছবি। তবে দাদা সব থেকে ভালো লেগেছে সকলের ছবিটি, যেখানে সূর্য উদয় হচ্ছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।।
দাদা শীতের ঋতুর্দে গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবসময়ই অনেক সুন্দর হয়। গ্রামে এভাবে সবাই মিলে পিকনিক করার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন দাদা। শীতকালে গ্রামের সকাল আর বিকালে পুরোপুরি আলাদা রূপ দেখা যায়। আর আপনি যেটাকে পিকনিক বলছেন আমি তো সেখানে এলাহী কাণ্ড দেখতে পাচ্ছি। পিকনিকে যে আপনারা খুব মজা করেছেন সেটা ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারছি। সময়টা আপনাদের ভালোই কেটেছে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
দারুন সব মুহূর্তের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। বিশেষ করে আমার গ্রামের একটা ব্যাপার খুব ভালো লাগে। সেটা হলো, এই যে গাছের নিচে মাটিতে খুব সুন্দরভাবে পাতা বিছিয়ে থাকে। এই দৃশ্যটা কেনো জানি না খুব সামান্য হলেও আমার খুব ভালো লাগে। যেটা আপনার পোস্টের শেষের দিকে ছবিগুলোতে দেখতে পেয়েছি। গ্রামের এই ধরনের গরম গরম জিলাপি ভাজা খুব একটা খাওয়া হয়নি, দেখেই লোভ লাগছে।