আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউট || ABB Special Hangout Report

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

Special Hangout 21 February 24.png

ভূমিকাঃ

“আমার বাংলা ব্লগ”- এখন শুধু একটি কমিউনিটির নাম না বরং সকলের নিকট জনপ্রিয় মাধ্যম, নিজের ভাষায় আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশের। দিন দিন যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শীর্ষে উঠে আসছে র‌্যাংকিং এ। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর যাত্রা শুরু হয় মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশে স্টিম ব্লকচেইন এ সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটিকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে ভাষার প্রতি ভালাবাসা সৃষ্টি করা এবং নিজেদের বন্ধনকে আরো মজবুত করা। আমাদের বিশ্বাস আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মাঝে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এখন পর্যন্ত ৭১৫৫ জন সদস্য হয়েছেন এবং বর্তমান এ্যাকটিভ পোষ্টের সংখ্যা ১৪৫।

বিশেষ হ্যাংআউট

আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @shuvo35 ভাই যথারীতি সময় হওয়ার পূর্বে সাথে চলে আসেন। সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সকলের খোঁজ খবর নেন। বিশেষ হ্যাংআউট নিয়ে সকলের সাথে নিজের অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ হ্যাংআউটে সকলের সুন্দর উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন খুব সুন্দর কিছু সময় উপভোগ করতে পারবেন। এরপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করেন এবং দাদা জয়েন হওয়ার পর তার অনুমতি নিয়ে বিশেষ হ্যাংআউটের মূল পর্ব শুরু করেন।

শুরুতেই ভাষা আন্দোলনের শহীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন, তাদের ত্যাগের কথা স্বীকার করেন এবং ভালোবাসা প্রকাশের জন্য শুরুতেই ভাষা দিবস নিয়ে সুন্দর একটা গান পরিবেশন করেন। গান শেষে কমিউনিটির এ্যাডমিন আরিফ ভাইকে ধন্যবাদ জানান যথা সময়ে সুন্দর গানটি পরিবেশন করার জন্য।

এরপর কথা বলি আমি @hafizullah, যথারীতি সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের বিশেষ হ্যাংআউটে। প্রতি বছর প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' পালন করি। এটা শুধুমাত্র আমাদের দেশে কিংবা বাঙালিরা পালন করেন না বরং পুরো বিশ্বে নানা দেশে নানা আয়োজনে পালন করা হয়ে থাকে। এটা একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য পরম গর্বের, যদি আমরা বিষয়টির গভীরতা উপলব্ধি করতে পারি। দেখুন যে কোন দেশের জাতীয় পরিচয় হলো সে দেশের মাতৃভাষা। তাই আমাদের উচিত প্রতি বছর শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটা দিনকে ভাষা দিবস হিসেবে পালন না করে, প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহুর্তে সঠিক উচ্চারণ ও সঠিক সংলাপের মাধ্যমে এর প্রকৃত রূপ ধরে রাখার চেষ্টা করা। তবেই হয়তো ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের আত্মত্যাগ সফলতা পাবে।

এই সপ্তাহে যে সকল ইউজার আমার অধীনে ছিলেন তাদের অধিকাংশের এ্যাকটিভিটিস খুব একটা ভালো ছিলো না বিশেষ করে ডিসকর্ডের এনগেজমেন্ট এর দিক হতে। যা সত্যি আমাদের জন্য হতাশাজনক, কারন বিষয়টি নিয়ে আমরা বার বার বলে যাচ্ছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহ হতে সকলের এ্যাকটিভিটিস বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া যোগ্যদের সুপার এ্যাকটিভ তালিকায় সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

Untitled-0000.png

এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং আমার বাংলা ব্লগের এক্সিকিউটিভ এ্যাডমিন @winkles ভাই কিছুটা অসুস্থ্য তা অবহিত করেন। যদিও ইউংলেস ভাই আমাদের সাথে সংযুক্ত আছেন এবং সব কিছু শুনছেন। তবে আজ তিনি আগেই শুভ ভাইকে জানিয়েছিলেন কথা বলতে পারবেন না। শুভ ভাই তার সুস্থ্যতা কামনা করেন।

তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @swagata21 দিদি। শুরুতেই সবাইকে একুশে ফেব্রুয়ারীর শুভেচ্ছা জানান। ভাষা আন্দোলন সারা পৃথিবী জুড়ে একটা দুর্লভ ঘটনা। কারন ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে এমন জাতি এই সবুজ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যায় না। মায়ের মুখে শুনা প্রথম ভাষা, বাঙালীর আবেগ, বাঙালীর পরিচয়। তাই ১৯৫২ সালে যখন পাকিস্তানীরা বাংলা ভাষাকে না উর্দুকে ভাষাকে বাংলার রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করে, তখন প্রতিবাদি ছাত্র সমাজে কঠিন স্ফুলিঙ্গের মতো জন্ম নেয় বিশাল ভাষা আন্দোলন। আর এই আন্দোলনকে দমন করতে, ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের সন্নিকিটকে পাকিস্তানী পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে সালাম, রফিক, বরকতসহ অসংখ্য শহীদ হয়। পরবর্তীতে এই মহান আত্মত্যাগকে আন্তর্জাতিকভাবে ভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়। ভাষার মূল্য অপরিসীম, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বাংলা ভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস আবারও কেউ বা কারা জেগে উঠবে আর বলবে বাংলা ভাষা আমার মায়ের ভাষা। ধন্যবাদ সবাইকে।

তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @nusuranur আপু, ২১শে ফেব্রুয়ারী দিনটি আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন।তাই একুশের ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দিনটি আমাদের গর্বের।আশা করছি আমাদের মাতৃভাষাকে আমরা আরো সমৃদ্ধ করতে পারবো।যা আসলে হয়তো করছি না আমরা।নিজেদের দেশ,নিজেদের ভাষাকে সম্মান করার দায়িত্ব আমাদের ই। আশা করছি,তা আমরা করতে পারবো।শুধু দিন উদযাপন এর মাধ্যমেই নয়।সবসময় ই নিজের ভাষাকে আগে সম্মান করতে হবে।এরপর অন্য ভাষা।এভাবেই আমাদের ভাষা আরো বেশি সমৃদ্ধশালী হবে।

আর তার অধীনে থাকা ইউজারদের নিয়ে বলেন, ডিসকর্ড এনগেজমেন অনেক কম ছিলো। আরো একটা বিষয়ে কিছু ইউজারের দৃষ্টি আকর্ষণ কারেন যাদের দাদা নিয়মিত সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মাঝে অধিকাংশই নিজ দায়িত্বে ঠিক মতো কাজ করেন এবং টায়ারে থাকেন। কিন্তু দুই একজন আছেন যারা তেমন একটা কাজ করেন না, এনগেজমেন্ট করেন না, দুই একটা ফটো দিয়ে দুই এক লাইন করে লিখেই পোষ্ট করে দেন, বার বার বলা হলেও সেটা ঠিক করেন না। তাই পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে আমরা একটা মিটিং করবো এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিবো।

এরপর কথা বলেন কমিউনিটির অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স) @rex-sumon সুমন ভাই, প্রথমে শ্রদ্ধা জানাই সকল ভাষা শহীদদের প্রতি, যাদের জন্য আমাদের মুখে এই সুন্দর মিষ্টি বাংলা ভাষা, যাদের জন্য আমাদের চিন্তা ভাবনা, অনুভূতি এবং সৃজনশীলতা, যাদের অবদানের জন্য আমাদের এই বাংলা ভাষা। তাদের সকলের জন্য লাখো কোটি সালাম। ভাষা শহীদদের ত্যাগ ও আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে ভাষাটা পেয়েছি আমাদের অবশ্যই উচিত সব সময় আমাদের কথার বিশুদ্ধতার মাধ্যমে সম্মান জানানো। এটা আসলেই আমাদের দায়িত্ব যে ভাষাটাকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে রাখা। তো সকল ভাষা শহীদদের বিহেদী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তারা যেন ওপারে সব সময় ভালো থাকে।

এরপর বলেন কমিউনিটির অবস্থা এই সপ্তাহে মোটামুটি ভালো ছিলো। মাত্র কয়েকটি এ্যাবিউজ ছিলো এই সপ্তাহে। অন্যান্য সব কিছু ঠিকঠাক ছিলো। এছাড়া কিছু ইউজার যারা নতুন আসতেছেন, খেয়াল করে দেখেছেন যে, ডায়রি গেম আমরা আমাদের কমিউনিটিতে সাপোর্ট করি না কিন্তু এই ডায়রি গেমকে অন্যভাবে অন্য টাইটেল দিয়ে সেই একইভাবে লিখছেন। কিছু পোষ্ট তার নজরে এসেছে, তো নতুন যারা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এই বিষয়টি এড়িযে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, কোন সমস্যা দেখতে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

Untitled-00001.png

তারপর কমিউনিটির এ্যাডমিন (উইটনেস এবং ডেভ টীম) @moh.arif আরিফ ভাই কথা বলেন, প্রথমে সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানান, যেটা গতকাল হয়ে গিয়েছে। আসলে আমাদের যে ভাষাটা বাংলা ভাষা তাদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়েই পেয়েছি। না হলে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না, আমরা যে আমাদের মনের ভাবটা যে ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করছি সেটা কখনোই প্রকাশ করতে পারতাম না। আসলেই আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ, তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করি যারা শহীদ হয়েছেন । আর কমিউনিটির কাজের ব্যাপারে কিছু বলার নেই আসলে অসুস্থ্যতার কারনে কাজে কিছুটা গ্যাপ হয়েছে তার।

কমিউনিটির এ্যাডমিন (সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং) @shuvo35 শুভ ভাই কথা বলেন এরপর, শুধু একটা কথাই বলতে চাই সেটা হলো এই ভাষাই কিন্তু আমাদের পরিচয় বহন করে। তাই আমাদের মানসিক পরিবর্তন হওয়া খুবই জরুরী। ইতিমধ্যে যে লেখাটি তিনি প্রকাশ করেছেন, ঐ যে ফুল দিতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতাটা হয়েছিলো সেটার যখন পুনরাবৃত্তি না হবে তখন মনে হবে আমরা আমাদের জায়গায় নৈতিক দিক হতে এবং সব দিক হতেই ঠিক আছি। দেশপ্রেম, ভাষার প্রতি, দেশের প্রতি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা সব কিছুই ঠিকঠাক আছে। যদি না সেটা ভিন্ন কিছু নিয়ে হট্টগোল বেধে যায়, এ বিষয়গুলো যখন সামনে আসবে না তখন মনে হবে যে না আমরা ঠিকই আছি।

সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যদি বলি একটা জিনিষ চিন্তা করে দেখেন যে, সেই সময় দাদা একটা স্মৃতি চারণ করেছিলেন স্টিমিট এর প্রধানের সাথে। বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য কিছু একটা করতে চান। ব্লকচেইন এর জগতে আমরা মাতৃভাষা বাংলায় লেখা লেখি করছি সেটা আমাদের বড় একটা প্রাপ্তি, আমরা আমাদের এই প্রাপ্তিটাকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবো, এই প্রত্যাশা থাকবে। সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

এরপর কমিউনিটির মডারেটরগণ কথা বলেন, প্রথমে বলেন @alsarzilsiam ভাই, প্রথমেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সকলকে ভাষা দিবস এবং শহীদ দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলে প্রথমে এই দিন দিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই স্বীকৃতি পায়নি, প্রথম দিকে এই দিনটি শহীদ দিবস এর পরবর্তীতে ভাষা দিবস হিসেবেও পালিত হয়েছে বহু বছর। এর পরবর্তীতে ২০০০ সালের এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। বাঙ্গালীদের জন্য এই বিষয়টি অনেকটাই গৌরবের কিন্তু বর্তমানে বাঙালিরা নিজের দেশ প্রেমটা ধরে রাখতে পারছি না, এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে সেগুলো না হয় অন্য একদিন বলব।

তারপরও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে সকলকে আবারও শুভেচ্ছা এবং ভাষা শহীদের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। এবার লেভেল তিন সম্পর্কে কথা বলতে চাই। বর্তমানে যারা লেবেল তিনে অবস্থান করছেন তাদের বেশ কিছু সমস্যা দেখতে পেরেছি। যেমন ফটোগ্রাফি পোস্টের নিয়ম অনেকেই জানেন না। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আমাদের কমিউনিটির পিন বোর্ডের সব ধরনের নিয়মকানুন দেওয়া আছে আপনারা অনুগ্রহ করে সেই পোস্টগুলো ভালোভাবে পড়ে নেবেন।

এছাড়াও যারা লেভেল ২ এর ভাইভা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছেন আপনাদের ভাইভা পরীক্ষা শেষ হলে লেভেল তিনের ক্লাস নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। কমেন্ট মনিটরিং নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়, এ সপ্তাহে আমার লিস্টে যারা ছিলেন তারা মোটামুটি অনেক ভালো করছেন, তবে বানানের ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল দেখতে পেরেছি। আপনারা কমেন্ট করার আগে একটু রিভিশন দিয়ে কমেন্ট করবেন, ওভারঅল সবকিছু ভালোই ছিল, ধন্যবাদ সবাইকে।

Untitled-000012.png

এরপর কমিউনিটির মডারেটর @rupok ভাই বলেন, প্রথমে সবাইকে জানাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলার দামাল ছেলের তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার অধিকার অর্জন করেছিলেন। তবে এই অর্জন শুধু বাংলাদেশের মানুষের নয়। এটা পৃথিবীর সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অর্জন। তো আমরা যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করি আমাদের ভাষাকে সম্মান জানাতে। যেহেতু আমরা বাংলায় ব্লগিং করি তাই আমাদের সবার জায়গা থেকে যদি আমরা আমাদের ভুলের পরিমাণ কম করতে পারি তাহলে আমাদের ভাষার জন্য কিছু করা হবে। আশা করব সবাই যার যার জায়গা থেকে মাতৃভাষাকে সম্মান করার চেষ্টা করবেন।

এখন চলে আসি লেভেল ফোর এর কথায়। লেভেল ফোরের ক্লাসে আমরা সব সময় বলি লেভেল ফোর এর বিষয়গুলো আপনারা নিজে ভালোমতো শিখে নিন। আপনি হয়তো চিন্তা করছেন আপনার ভাই বা আপনার বন্ধু বা আপনার স্বামী আপনার এই কাজগুলো করে দেবে। কিন্তু মানুষের কখন কার সাথে কেমন সম্পর্ক হয় সেটা বলা যায় না। যদি আপনি অন্যের উপর নির্ভর হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু একসময় আপনার সমস্ত আয় হারিয়ে যেতে পারে। এজন্য আমরা সবসময় বলি লেভেল ফোর এর বিষয়গুলো আপনারা ভালোমতো শিখে নিন। যারা পাশ করে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই শিট দেখে মুখস্ত করে পাশ করে যাচ্ছেন। আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি তারা বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারেনি। দেখুন আপনারা বিষয়গুলো ভালোভাবে না শিখলে শেষ পর্যন্ত আপনারাই বিপদে পড়বেন আমার কিছুই হবে না।

কমেন্ট মনিটরিং নিয়ে বলতে চাই এই সপ্তাহে কিছু ইউজার কম কমেন্ট করেছেন হয়তো তাদের কোন ব্যক্তিগত সমস্যা ছিলো। বাদবাকি ইউজার মোটামুটি ভালই কমেন্ট করেছেন। কিছু ইউজারের কমেন্টে কিছু ছোটখাটো ভুল ছিলো। বাদবাকি সব মোটামুটি ঠিক আছে।


এরপর কমিউনিটির মডারেটর @ayrinbd আপু বলেন, আজকে আমি লেভেল নিয়ে কিছুই বলবো না, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি কবিতা আবৃত্তি করবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

মনে পরে যায়, একুশের সেই মর্মান্তিক ঘটনা।
মনে পরে যায়, ভায়েদের সেই রক্ত ভেজা জামা।
মনে পরে যায়, সেই ভাষার জন্য যারা দিয়েছে প্রাণ।.........


এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন, তারপর কমিউনিটির মডারেটর @tangera তানজিরা ম্যাডামের কথা লিখে প্রকাশ করতে অনুরোধ করেন। আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সকলেই ভালো আছেন।প্রথমেই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ভাষা শহীদদের ত্যাগ কখনো ভোলার নয়।তাঁদের ত্যাগের বিনিময়েই আমরা আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি।বাংলা ভাষায় লিখতে ও পরতে পারছি। ২১শে ফেব্রুয়ারি, আমাদের গৌরবের দিন। বাংলা ভাষা আমাদের গর্ব। আমাদের ভাষা আমাদের অহংকার। সবচেয়ে বড় কথা আমরা আমাদের প্রিয় বাংলা ব্লগে কাজ করতে পারছি বাংলায়। প্রবাসে থেকেও আমি যেন একটি ছোট্ট বাংলাদেশ পেয়েছি।তাঁদের এই আত্মত্যাগ না থাকলে আজ আমরা এখানে একত্রে মিলিত হতে পারতাম না।যাইহোক আমাদের সকলেরই উচিত বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকা। সকলে যেন বাংলা ভাষা ব্যবহারে একটু যত্নশীল হই।এটিই ছিল বলার, অনেক ধন্যবাদ সকলকে।

এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদা, ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, একই সাথে বাংলাদেশের শহীদ দিবস। এই দিনটি আমরা প্রতি বছর পালন করে থাকি, বাংলাদেশের মানুষ পালন করেন, ইন্ডিয়ায়ও করে সকল স্কুল-কলেজে পালন করে, বেশ ভালো ভাবেই উদযাপন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একটা ব্যাপার হচ্ছে খুবই খারাপ যে, আমরা ভাষার জন্য কি করি? একটা দিন পালন করি শুধু! ভাষার জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে তা না হলে ভাষা টিকে থাকে না। পৃথিবীর প্রায় ৭৫০০ মতো ভাষা আছে যেগুলো বেশী বলা হয়, এছাড়াও প্রায় ২৫-৩০ হাজার ভাষা যেগুলো নানা অঞ্চলভেদে আঞ্চলিক ভাষার প্রকারভেদ বা আদিবাসী সম্প্রদায়, উপজাতি এমন বহু আছে যাদের ভাষা আলাদা আলাদা আছে। এতো ভাষা পৃথিবীতে কিন্তু ফিক্সড ফরম্যাটে থাকে না কোনটি, এগুলো নিরন্তন পরিবর্তনশীল। ভাষা কখনোই এক রকম থাকে না। যুগের পর যুগ চলে যায় আর ভাষা পরিবর্তন হতে থাকে। মাত্র ২০০ বছর আগের বাংলা ভাষা দেখেন, তখন পড়ে অনেকেই কিছু বুঝতে পারবে না। ২০০ বছর আগের বাংলা ভাষার কোন একটা লেখা পড়লে আমরা অনেক কিছুই বুঝতে পারবো না যে কি লেখা ওখানে। আর হাজার বছর আগের বাংলা ভাষার তো কিছুই বুঝতে পারবো না। অর্থাৎ বাংলা ভাষা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল।

শুধু বাংলা ভাষা না পৃথিবীর সব ভাষাই পরিবর্তনশীল। ভাষার যে ফর্মটা সেটা যদি টিকিয়ে রাখতে হয়ে তাহলে চর্চা করাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ভাষা নানা রকমভাবে জিইয়ে রাখা উচিত। তা না হলে ভাষা অন্য ভাষার সাথে মিশে যাবে তার পরিবর্তন হয়ে অন্য একটা ভাষায় রূপান্তরিত হবে, তা আর বাংলা ভাষা থাকবে না। আদি বাংলা ভাষা চেঞ্জড এখন। তখন হতে যদি চর্চা থাকতো তাহলে এতোটা চেঞ্জ হতো না। তখন লিখিত ভাষাই ছিলো না, বাংলা ভাষা খুব কমই লিখা হতো। রাজা রাজের আমলে নানা রকম মন্দির, কোন একটা সমাধিক্ষেত্র, বা যুদ্ধের প্রতীক স্বরূপ এমন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী শিলালিপি তৈরী করা হতো। সেখা খোদাই করে জীবনী বা যুদ্ধ জয়ের ইতিহাস পাথরে খোদাই করে লেখা হতো। তারপর বহুদিন পরে বা ইংরেজ আমল শুরু হলো তখনও বাংলা ভাষার প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। বাংলা ভাষায় অফিসের কোন কিছু লেখাও হতো না। ফারসি আর ইংরেজি এই দুটো ভাষাই চলতো আর পরে হিন্দি যোগ হলো।

Untitled-0000123.png

মাত্র ১৫০ বছর পিছিয়ে যান তখনও দাপ্তরিক মানে অফিসিয়াল ভাষা বাংলা ছিলো না। তখনও ফারসি ভাষা বা সংস্কৃতিও ছিলো তখন বাংলা ছিলো না। বাংলা অবহেলিত হয়েছে বহু বার। বাংলা যে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার করি আমরা, এর সবচেয়ে বড় অবদান হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের। একাই একমাত্র ব্যক্তি যে বাংলা ভাষাকে কথ্য ভাষা হতে লিখিত ভাষায় রূপান্তরিত করার জন্য তার অক্লান্ত পরিশ্রম ছিলো। বিদ্যাসাগরের আমলেও কোন ভদ্র সমাজে বাংলাকে বলা হতো মৌখিক ভাষা ও লেখার কি আছে। তখন বাংলা ভাষা কেউ লিখতো না। বাংলা ভাষাটা শুধু ছিলো কথ্য ভাষার মতো। উনি নিরলস পরিশ্রম করে বাংলা ভাষার বর্ণগুলোকে আলাদা করে, সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে, বর্ণমালায় লিপিবদ্ধ করে বাংলা শেখালেন। না হলে আমাদের আরো খারাপ অবস্থা হতো।

আজকে যে আমরা বাংলা লিখি, এই লেখাটা আমাদের সম্ভব হতো না। এখন হয়তো আমাদের কথ্য ভাষা থাকতো বাংলা কিন্তু লিখিত ভাষা থাকতো হিন্দি বা ইংলিশ এই রকম। এই জন্য বাংলা ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে গেলে বা এর প্রচারটা চালিয়ে যেতে হলে বাংলর জন্য কিছু করতে হবে। জাস্ট একটা দিন পালন করলেই হবে না। বাংলাদেশে অনেকেই ভাষার জন্য কিছু করেন, ডা. মেহেদি হাসান উনি অভ্র নামে একটা সফটওয়্যার তৈরী করেন। তখন ইউনিকোড সিস্টেম ততোটা পপুলার ছিলো না, তখন কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে বাংলা লেখাটা খুবই কঠিন ছিলো। যে কোন ভাষায় কিছু লিখতে গেলে ফন্ট থাকা আবশ্যক, ফন্ট না থাকলে কিছু লেখা যাবে না। আমরা কিবোর্ডে যখন কি প্রেস তখন বৈদ্যুতিক সার্কিটের মাধ্যমে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে, তো সেখানে ফন্ট ফুটিয়ে তুলতে পারবে না।

ফন্ট তৈরী করা সোজা ব্যাপার না, আপনারা জানেন না সিএসই পড়ার সময় একটা চেষ্টা করেছিলাম। এবিসি এই তিনটি অব্দি করেছিলাম তারপর আর ধৈর্য রাখতে পারি নাই। কারন অনেকগুলো পিক্সেল বসিয়ে বসিয়ে আলাদা আলাদা ফন্ট স্টাইল তেরী করতে হয়, তারপর সেই স্টাইল অনুযায়ী বাকি বর্ণমালাগুলো সেট করতে হয়। সফটওয়্যারটা খুব বেশী একটা কঠিন ছিলো না, ছোট একটা সফটওয়্যার। কিন্তু বড় কাজটা ছিলো এই ফন্ট তৈরী করা। এটা খুবই কঠিন একটা কাজ ছিলো। মেডিকেল স্টুডেন্ট হওয়া সত্বেও তিনি এটা করেছিলেন। এটাকে ভলা হয় ভাষা যোদ্ধা। ভাষার জন্য কিছু না কিছু করা তাহলেই ২১শে ফেব্রুয়ারী স্বার্থক হবে। যদি ভাষার জন্য আমরা কিছুই না করি, তাহলে দিন এলো দিন পালন করলাম, তারপর ভুলে গেলাম।

যারা সাহিত্যিক তারা একেক টা স্তম্ব যে কোন ভাষার। কারন তারা বাংলা ভাষাকে টিকিয়ে বা জিইয়ে রাখে এবং পরিমার্জিত, পরিশিলিতভাবে পরিবর্তন করেন। এই জন্য আমরা যদি বই না পড়ি তাহলে সাহিত্যিকরা আর থাকবে না কারন তারা পেটের দায়ে লিখে, তাইনা। এমনতো না যে তারা ফ্রি ফ্রি লিখে আর আমরা ফ্রি ফ্রি বই পড়ি। আমরা যে টাকায় বই কিনি সে পয়সাটার একটা অংশ তাদের পকেটে যায়। তাই আমরা যদি বই কিনে বই না পড়ি, তাহলে তারা লেখাও ছেড়ে দিবে, ভাষাও থমকে যাবে। বাংলা ভাষার জন্য কিছু না কিছু করতে হবে সবার। এটাই হলো মুল কথা।

Untitled-00001234.png

এরপর শুভ ভাইয়ের প্রশ্ন ও কথা প্রসঙ্গে অনেক স্মৃতি শেয়ার করেন শৈশবের এবং তার সাথে বর্তমান প্রযুক্তির প্রসঙ্গ টানেন। ব্লক চেইনে যদি বাংলা ভাষার চর্চা থাকে, যতদিন এই ব্লকচেইন সিস্টেম থাকবে ততো দিন এগুলো ধ্বংস করা যাবে না। এরপর দাদা এই সপ্তাহের বেষ্ট ব্লগার অব দ্যা উইক এর নামগুলো ঘোষণা করেন। তারা হলেন, @ronggin, @mohinahmed এবং @tasonya এছাড়াও ফাউন্ডার'স চয়েস বিজয়ী হলেন @bidyut01। এক্স (টুইটার) অব দ্যা উইক হলেন @fasoniya

এরপর শুভ ভাই আরিফ ভাইকে আমন্ত্রণ জানান কুইজ পর্ব শুরু করার জন্য। যথারীতি আরিফ ভাই এই সেগমেন্টটি পরিচালনা করেন। আর তাকে সহযোগিতা করেন মডারেটর রুপক ভাই, এ্যাডমিন সুমন ভাই এবং আমি। যেহেতু কুইজ পর্বের নিয়মগুলো আগের মতোই রয়েছে তাই দ্রুত কুইজ শুরু করা হয়। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে পর পর দশটি কুইজ শেয়ার করা হয় এবং পরবর্তীতে বিজয়ীদের রিওয়ার্ডস পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে কিছু কুইজের উত্তর নিয়ে সন্দেহ তৈরী হয় এবং দাদা সেগুলোর সঠিক উত্তর নিশ্চিত করেন।

তারপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং গানের আসরটি শুরু করেন। এই আসরে একে একে @bristychaki গান, @samhunnahar গান, @afrinkhanupoma গান, @aongkon গান, @saymaakter কবিতা আবৃত্তি, @tithyrani কবিতা আবৃত্তি, @pujaghosh কবিতা আবৃত্তি, @sumon09 কবিতা আবৃত্তি, @selinasathi1 কবিতা আবৃত্তি, @bristy1 গান, @sshifa গান এবং সবশেষে @mahbubul.lemon গান পরিবেশন করেন । সবাই এই আসরটি বেশ মুগ্ধতা নিয়ে উপভোগ করেন। তারপর শুভ ভাই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সুপার এ্যাকটিভ তালিকা প্রকাশ করেন।

তারপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অফিসিয়ালি হ্যাংআউটের সমাপ্ত ঘোষণা করেন। যদিও এরপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা কয়েকটি সুন্দর গান প্লে করেন এবং সবাই সেগুলো উপভোগ করেন।

ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন এবং মডারেটদের, যারা রিপোর্টটি তৈরী করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
@hafizullah

break .png

Community TEAM

@rme ADMIN ✠ Founder 🔯
@blacks ADMIN Co-Founder & Operations Head ♛【IND】
@winkles ADMIN Executive Admin 🇮🇳 ✨
@hafizullah ADMIN Executive Admin 🇧🇩 ✨
@swagata21 ADMIN Community Admin 【IND】
@nusuranur ADMIN Community Admin 🇧🇩 ✨
@rex-sumon ADMIN Regulatory compliance Admin ✨
@moh.arif ADMIN Witness & Dev Team Admin ✨
@shuvo35 ADMIN Social Media & Marketing ✨
@rupok MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@kingporos MOD Community Moderator 🇮🇳 ✨
@alsarzilsiam MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@tangera MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@ayrinbd MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@abb-school MOD Steem School ✍
@shy-fox MOD Extreme Curator
@amarbanglablog MOD Primary Curator ♛♝
@curators MOD Secondary Curator ♝
@photoman MOD Secondary Curator ♝
@royalmacro MOD Secondary Curator ♝
@abuse-watcher MOD Steem Watcher

break .png
Banner Annivr2.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 months ago 

বরাবরের মতো এবারের বিশেষ হ্যাংআউট প্রোগ্রামটিও বেশ উপভোগ করেছি। বড় দাদা সহ, এডমিন মডারেটরদের কথাগুলো শুনে ভীষণ ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে কুইজ পর্ব এবং বিনোদন পর্ব সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আমার বাংলা ব্লগ মানেই ভিন্ন ধরনের আয়োজন। যাইহোক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সব সময়ই চেষ্টা করে যায় তার ইউজারদের কে প্রফুল্ল এবং একটিভ রাখতে। তাই তো যে কোন আচার অনুষ্ঠানে বা বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে ইজাদের কি নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। আর এবারও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে একটি আনন্দ ঘন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। ব্যাস্ততার মাঝেও আয়োজনটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ।

 2 months ago 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউটটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়া। আর হ্যাংআউটে নিজে গান গাইতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ রিপোর্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আমার বাংলা ব্লগের হ্যাংআউট মানেই হচ্ছে অন্যরকম ভালোলাগা। আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউট আসলেই খুব বেশি ইনজয় করেছি।

 2 months ago 

মাতৃভাষা উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউট এর পুরো সময় ধরে উপস্থিত ছিলাম। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা হয়েছে এবং এই হ্যাংআউটটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে দেশাত্মবোধক গান হবার কারণে হ্যাংআউট আরো জাঁকজমক ছিল। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আবার রিপোর্ট করলেন। পড়ে পুরো বিষয়টি আবারও বিস্তারিত জানতে পারলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এবার হ্যাংআউটি বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করেছিলাম।স্পেশাল হ্যাংআউট মানে স্পেশাল আনন্দ। পুরো হ্যাংআউট জুড়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রিপোর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

হ্যাংআউট রিপোর্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি হ্যাংআউট রিপোর্ট এর মাধ্যমে আমরা সত্যি অনেক কিছু জানতে পারি। আর বিশেষ হ্যাংআউট গুলোতে আরো বেশি আনন্দ হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া পুরো পোস্টটি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

ভাষা শহীদদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউটের আয়োজন করা হয়েছিল জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। যদিও এবার ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে আজকে যখন এই পোস্ট পড়ছিলাম তখন সবকিছুই ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। ভাইয়া আপনি প্রতিটি বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 2 months ago 

আমরা তো প্রতি সপ্তাহে হ্যাংআউটের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি। হ্যাংআউট মানে বেশ ভালই লাগে। যদি হয় বিশেষ দিবসের জন্য বিশেষ কোন হ্যাংআউট। তাহলে সময়টুকু আরও অনেক বেশি ভালো যায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে হ্যাংআউটের আয়োজন অসাধারণ ছিল। প্রথমে সবার মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর অনুভূতি শুনতে পেয়েছি। এরপরে বিভিন্ন সেগমেন্টে ভাগ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে খুব সুন্দর সুন্দর গান এবং কবিতা আবৃত্তি। যা সবার কবিতা আবৃত্তি এবং গান শুনে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছিল আমাকে।

 2 months ago 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউট টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।এক সময় এই বাংলা ভাষা পৃথিবীর সকলের কাছে একটি অবহেলিত ভাষা ছিল, কিন্তু বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের বাংলা ভাষা কে ফিরে পেয়ে যায়।আর বাংলা ভাষা কে ফিরে আমাদের দেশের অনেক ভাইয়ের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 63423.66
ETH 3077.69
USDT 1.00
SBD 3.87