কোলকাতার পুজো - পর্ব ১২ [শেষ পর্ব]
দেখতে দেখতে আমার কোলকাতার পুজো পর্বের একদম অন্তিম পর্বে চলে এসেছি আজ । কাশীবোস লেনের অভিনব পুজো প্যান্ডেলের ফোটোগ্রাফি শেয়ার করার মধ্যে দিয়েই শেষ হতে চলেছে দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই সিরিজ ফোটোগ্রাফি পোস্টটা । আজকে যে পুজো প্যান্ডেলের ছবি শেয়ার করতে চলেছি তার থিমটি ছিল একদমই ইউনিক । এই পুজো প্যান্ডেলের থিমের নাম ছিল "নারী সুরক্ষা" । বর্তমান সমাজে নারীদের সুরক্ষা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । এত এত আইন কানুন রয়েছে নারীদের অধিকার, শিক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক, তারপরেও আমাদের সমাজে নারীরা প্রতিনিয়ত অবহেলিত, অধিকার বঞ্চিত, নির্যাতিত আর সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে চলেছে ।
আমাদের সমাজে নারীরীরা খুবই অবহেলিত জীবন যাপন করেন । তাঁদের শিক্ষার পথে প্রচুর অন্তরায় রয়েছে । পুরুষ শাসিত এই সমাজে প্রতিনিয়ত তাঁরা নানান ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন । তাঁদের তেমন কোনো নিরাপত্তাও নেই । যেদিকে তাকাই আমরা দেখতে পাই প্রতিদিন কি পরিমাণ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । প্রতিদিননের খবরের কাগজ খুললেই নারী ধর্ষণ, খুন, যৌতুকের জন্য বধূ নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার, পতিতালয়ে বিক্রি প্রভৃতির খবর দেখা যায় ।
এই জন্য নারী সুরক্ষা নিয়েই এই পুজো মণ্ডপের থিম করা হয়েছিল । আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো এই থিমটি ।
বস্তার মধ্যে নারীদেহ । এই ভাবেই কত নারীকে পাচার করা হয় রাতের আঁধারে তার কোনো ইয়ত্তা নেই ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৯ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পুরোনো কলকাতার বাবু সম্প্রদায় । টাকার পাহাড় ছিল এঁরা । এঁদের প্রত্যেকেরই একটা করে পতিতালয় বাঁধা থাকতো ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৯ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
নারী নির্যতনের বিপক্ষে সোচ্চার হওয়া ও প্রতিবাদমূলক বিভিন্ন রকমের পোস্টার ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ০৯ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটা হলো বর্তমান সমাজের নারী সুরক্ষার পর্দা । নগ্ন, ঠুনকো অসার , কোনো কাজে আসে না ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ১০ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বর্তমান সমাজে নারী সুরক্ষা পর্দা বলতে আসলে জাস্ট একটা আই ওয়াশ বই আর কিছুই নয় । সমাজে নারীরা যেনো অল টাইম চড়া আলোর নিচে রাম্পে হাঁটছে । তাঁদের নিতম্ব আর যোনিদেশ যেন কোনো ভোগ বস্তু, আর সমাজের পুরুষ শ্রেণী হলো শকুনের পাল । তাদের দৃষ্টি ওই নারীদেহের ভোগ্য বস্তুতেই নিবদ্ধ ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ১০ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বর্তমান পুরুষশাসিত সমাজে পতিতালয় হলো সব চাইতে বড় মানবতা বিরোধী স্থান ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ১০ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পতিতালয়ে দেবী দুর্গার বোধন ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ১০ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দেবী দূর্গা । তিনি সবারই মা ।
তারিখ : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ১০ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৪৪৯ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 6f2fa5a43d72ac35b4e0a4af2a248e12c32d69a391db6372fa0014a2992a3108
টাস্ক ৪৪৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আজকে আবারো হাজির হয়ে গেলাম আরো তিনটি NFT আর্ট নিয়ে । এই আর্ট তিনটি ফ্যান্টাসি এনিম্যাল ড্রাগন এর উপর আধারিত । কাল্পনিক জীব বা ক্রিপ্টোজুওলজির অন্তর্গত এই ড্রাগন । বিশাল সরীসৃপ দেহ । ডানা আছে, আকাশে উড়ে বেড়ায় আর মুখ দিয়ে আগুনের হল্কা বের হয় । প্রায় সব দেশের রূপকথায় ড্রাগণের উল্লেখ থাকলেও এটার উৎপত্তি কিন্তু চীনে ।
এই আর্ট তিনটি পাবেন আমার Purple Dragon গ্যালারিতে । আবারো বলে রাখছি এগুলোর কোনোটাই বিক্রির জন্য নয় । তাই কেউ কোনো অফার করবেন না । তো চলুন দেখে নেয়া যাক ড্রাগনের উপর আধারিত আজকের শেষ NFT আর্ট তিনটি -
০১. purple dragon (fish hunter)
০২. Purple Dragon
০৩. purple dragon (hunter)
আপনার গ্যালারি ভিজিট করলাম। সবগুলো আর্ট হলিউডের মুভি গুলোর মত একেবারে প্রফেশনাল লেভেলের গ্রাফিক্স হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই থিমটি দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা, সত্যি এতো এতো নিয়ম এবং আইনের মাঝেও প্রতিনিয়ত নানাভাবে এবং নানা কায়দায় নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। পত্রিকায় খবরগুলো দেখলেই নিজেকে খুব বেশী ছোট মনে হয়। ফটোগ্রাফিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে থিমটা বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Dokkhin asia r deshgulote nari der respect nei bollei chole karon purush sasito somaj seta r sekhane purush ra nijedr boro mone kore. Jotoi law thakuk na kno, din ses e akhono nari ra bivinno ottachar er shikar hoi. Khub valo theme e aii pujo pandal ta, asa kori manusher moddhe kisuta sochenota sristi hobe. Thanks dada ato valo akta post diye pujor series ta ses korer jnno.
কিছু বলার নেই দাদা। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে ততদিন এরকম চলবেই। যত কড়া নিয়ম কানুন করা হোক না কেন। তবে একটা কথা মানতে হবেই, প্রাচীনকালের তুলনায় বর্তমানে নারী সুরক্ষা অল্প হলেও বেড়েছে। হয়তো এভাবে ধীরে ধীরে ভবিষ্যতে আরো বাড়বে নারীদের সুরক্ষা।
আর আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি জাস্ট দেখার মতোই। যত প্রশংসা করা হোক না কেন, ততই যেনো কম হয়ে যাবে।
শুধু বস্তা বেঁধে পাচার ই করা হয়না দাদা,মেরে বস্তা বেঁধে পঁচার জন্যে ফেলে রাখা হয় কতো কতো মেয়েকে।বর্তমানের প্রেক্ষিতে থিমটি একেবারে নজর কাড়ার মতোন ছিলো।
আজকের থিমটি একদম ইউনিক ছিল এবং বাস্তব ভিত্তিকও বটে। কারণ বর্তমানে নারীদের উপর যেভাবে অত্যাচার, জুলুম করা হচ্ছে সেই বিষয়ে বহিঃপ্রকাশ করা হয়েছে। সর্বোপরি আপনার উপস্থাপনাটিও অসাধারণ ছিল এবং সেই সাথে উপস্থাপনার বর্ণনাগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে আশা করা যায় সবাই যদি একটু সচেতন হয় তাহলে এই মনোভাব গুলো আস্তে আস্তে সমাজ থেকে উঠে যাবে।
দাদা দেখতে দেখতে এই সিরিজটি শেষ হয়ে গেল। পুরো সিরিজটা বেশ উপভোগ করেছি। যাইহোক কাশীবোস লেনের অভিনব পূজা প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে, চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে দাদা। নারী সুরক্ষা থিমটা আসলেই ইউনিক লেগেছে। আমরা যতোই আধুনিক হই না কেনো, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি আমরা উদাসীন থাকি। বেশিরভাগ মা বাবা একটি পরিবারের ছেলেকে অনেক দূর পড়াশোনা করাতে চায়,কিন্তু একটি মেয়েকে এসএসসি পাশ করিয়ে বিয়ে দিতে চায়। তারা ভাবে যে মেয়েদের পড়াশোনার দরকার নেই। আরও বিভিন্ন ভাবে নারীরা অবহেলিত আমাদের সমাজে। আসলেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা উচিত। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা কলকাতার পুজো ১২ তম পর্বের আজকের পোস্টটির থিম অনেক ভালো লাগলো দাদা। বর্তমানে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই থিমটি বেশ কার্যকরী। আজকের পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আজকের পোস্টে দারুন কিছু ফটোগ্রাফিক দেখতে পেলাম, সব থেকে বেশি ভালো লাগলো নারী বিষয়ক ফটোগ্রাফি গুলো। এখনকার সমাজ ব্যবস্থা এমন যে নারীদের কোনো দিকেই কোনো নিরাপত্তা নেই।
হোক শহর বা গ্রাম।
দারুন লাগলো আপনার কথা গুলো দাদা।