দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত একটা সকালের সূচনা
Copyright Free Image Source : Pixabay
গতবছরের সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখে আমার মনের অবস্থা যেমন হয়েছিলো আজকেও ঠিক তেমনই হয়েছে । গতবছর সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ এমনই এক ঘোরতর দুঃশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছিলাম আমি । অসম্ভব মন খারাপ হয়েছিল আমার । তবুও আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার মনের সেই বর্ণনাতীত অবস্থার কথা সেদিন। আসলে নিজের দুঃশ্চিন্তার ভার যখন পর্বতসম ভারী হয় তখন শুভাকাঙ্খীদের সাথে শেয়ার করলে নিজের দুঃশ্চিন্তা যেমন কিছুটা হলেও লাঘব হয় ঠিক তেমনই বুকে কিছুটা হলেও সাহস জন্মে ।
আবার আজকেও সেই রকম বিপদের মধ্যে পড়েছে আমাদের পরিবার । গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হঠাৎই আমার মা ভীষণ অসুস্থ হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়েছিলো । কী হয়েছিল আমরা কেউই ধরতে পারিনি। একভাবে বমি হচ্ছিলো আর চোখের মণি সরে গিয়েছিলো, মাথা তোলার ক্ষমতা ছিল না । সঙ্গে সঙ্গে হসপিটালে ভর্তি করে নিয়েছিলাম । হসপিটালের ডক্টররা সারা শরীর চেকাপ করেও রোগ ধরতে পারেনি । শেষমেশ সেন্ট্রাল নিউরো ব্রেকডাউন ধরা পড়ে । যদিও ঈশ্বরের অশেষ করুনায় মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই আমার মা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়েছিলো তবুও ওই কয়টি দিনের কথা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না ।
এক সীমাহীন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে পার করেছি ওই দিনগুলি । আজ আবার সেই রকম একটা দিন ফিরে এলো আমার জীবনে । আজ সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ল্যাপটপ খুলে কেবল কাজ শুরু করেছি এমন সময় আমার ছোট ভাই এসে বললো যে তার শাশুড়ি অর্থাৎ স্বাগতার মায়ের খুব শরীর খারাপ করেছে। শুনেই হঠাৎ, আমার বুকের মধ্যে রক্ত ছলাৎ করে উঠলো । হসপিটালে এডমিট করা হয়েছে শুনে বেশ দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লুম ।
স্বাগতাকে কল করে জানতে পারলাম গতকাল রাত থেকেই নাকি খুব অসুস্থ ছিলেন উনি । বুকে মাত্রারিক্ত পেইন । পাড়ার এক ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা করে গ্যাস কমানোর ইনজেকশন দিলে উনি কিছুটা সুস্থ বোধ করতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তারা । কিন্তু, আজ সকাল থেকে আবার মাত্রারিক্ত বুকে ব্যাথা হওয়াতে আবার সেই ক্লিনিকে ভর্তি হন উনি । কিন্তু, এবার বুকের ব্যথার সাথে নিঃশ্বাসের প্রব্লেম, কাঁধে ও হাতে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখে এটা হার্ট রিলেটেড প্রব্লেম হিসাবে সন্দেহ করেন ক্লিনিকের ডক্টররা।
এরপরে ইসিজি করে রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি দেখে আর কালবিলম্ব না করে অন্য একটা ভালো হসপিটালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চেকাপের পরে এঞ্জিওগ্রাম করা হয় । এঞ্জিওগ্রামে ধরা পড়ে হার্টের প্রধান ধমনীতে ৯৯% ব্লকেজ । সঙ্গে সঙ্গে ফারদার ট্রিটমেন্ট শুরু হয় । এখন উনি স্টেবল কন্ডিশনে আছেন । এনজিওপ্লাস্টি করানো হবে খুব শীঘ্রই । আশা করছি সফল হবে । উনি একদম শতভাগ সুস্থ হয়ে উঠবেন ।
আরো বেশ কয়েকটি টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে । এখন শুধুই অপেক্ষা । কখন রিপোর্ট আসবে !
কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি আমি । স্বাগতার মায়ের জন্য সবাই একটু মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন, উনি যেনো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন । এ বিপদ যেন কেটে যায় আমাদের ।
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আন্টির জন্য অনেক দোয়া রইলো,সৃষ্টিকর্তা যেনো দ্রুত উনাকে সুস্থ করে দেন সেই দোয়া ই করছি।দাদা টেনশন করবেন না,আশা করছি রিপোর্ট গুলো ভালোই আসবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 40.39% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে দাদা এমন কিছু মুহূর্ত আছে যা কখনো ভুলার মতো নয়। যদি ও আপনার মা সুস্থ হয়ে উঠেছে। আবার একই মাসে দিদির মা অসুস্থ হয়েছে জেনে অনেক খারাপ লাগলো। দোয়াকরি আন্টি শতভাগ সুস্থ হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসুক। ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
This is so sad 💔, I am very sorry for her illness, and I wish her quick recovery.
Do not worry Dada, she will be well, she will get better I believe ❤️❤️❤️
হুম গতবছর শুনেছিলাম। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত আন্টি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছিলো। কিন্তু স্বাগতা দিদির মায়ের কথা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। দোয়া করি তিনি খুব তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে যায়।
সৃষ্টিকর্তা সবসময়ই সাথে রয়েছেন।
ইনশাআল্লাহ স্বাগতা দিদির মা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার মানসিক অবস্থা আমরা বুঝতে পারছি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি দাদা 🤲
দাদা মাঝে মাঝে বিপদ এসে আমাদেরকে আরো মজবুদ করে দেয়। গত বছর আপনার আম্মার খবর শুনে যেমন খারাপ লেগেছিলো আজকেও স্বাগতা দিদির আম্মার খবরটা শুনে তেমনই কষ্ট লাগলো। এই সময় ধৈর্য্য ধরা আর দোয়া করা ছাড়া আমাদের আর কি করার আছে। দোয়া করি উনি যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।
দাদা একদম দুশ্চিন্তা করবেন না।
দেখবেন ট্রিটমেন্টে সুস্থ হবে। যেহেতু ৯৯% ব্লক ধরা পরেছে, তাতে উনি আগেও মাঝে মাঝেই বুকে পেইন অনুভব করতেন এটা নিশ্চিত। আরো আগেই এনজিওগ্রাম করালে খুব ভালো হতো। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এখন ট্রিটমেন্ট শুরু করতে পারা গেল। হার্টের রুগীকে একদম চাপমুক্ত রাখতে হবে। এখন আর চিন্তা কইরেন না দাদা।