টুনকু-কে বাড়িতে নিয়ে এলুম
গতকাল দুপুরে টুনকু-কে হসপিটাল থেকে রিলিজ করলো । আমি আর আমার ভাই গিয়েছিলাম হসপিটালে টুনকু-কে আনতে । অবশ্য পরশুদিনই ডক্টর বলেছিলেন যে টুনকুর সব টেস্ট রিপোর্ট নরমাল তাই পরেরদিন রিলিজ করা হবে । গাড়িতে উঠে টুনকু প্রথমে ঘুমিয়ে পড়েছিল । এরপরে বৃষ্টি নামলে ঘুম ভেঙে উঠে সে কী কান্না । খিদে পেয়ে গিয়েছে তার ।
হসপিটাল থেকে আমাদের বাড়ি ২০ -২২ মিনিটের পথ মোটে, কিন্তু সেদিন প্রত্যেকটা সিগন্যালে গাড়ি থামার কারণে পৌঁছতে পৌঁছতে আমাদের ৪০-৪৫ মিনিট লেগে গেলো । বাড়ি পৌঁছেই দেখি স্বাগতা, আমার মা সহ বাড়ির সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে টুনকুর জন্য ।
টুনকুর গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে ছোট্ট একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । স্বাগতা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছিল ফুল দিয়ে । এছাড়াও ছোট্ট একটা কেকও এনেছিল । বরণকুলো দিয়ে, কপালে দইয়ের ফোঁটা কেটে, ধান-দূর্বা আর প্রদীপ জ্বেলে টুনকুকে আশীর্বাদ করে গৃহপ্রবেশ করানো হলো ।
এরপরে টুনকুর সামনে টুনকুর দাদা টিনটিন বাবু কেক কাটলেন । সবাই হাততালি দিয়ে স্বাগত জানালো টুনকুকে । আর টুনকু তারস্বরে কেঁদে তার খিদের কথা আবারো জানান দিলো সবাইকে । দ্রুত টুনকুর ঘরে ঢুকে টুনকুর দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হলো ।
আর এভাবেই টুনকু তার নিজের বাড়িতে এলো । বাড়ির ছোট কর্তার নিজ গৃহপ্রবেশ ।
টুনকু সোনা টুনকু সোনার
গৃহে প্রবেশ,
তাই নিয়ে তো বাসায় ছিল
মহাশমাবেশ।
কেক কেটে করলো বরণ
বড় দাদা টিনটিন,
ক্ষিদের জ্বালায় টুনকু সোনার
পেট করে চিনচিন।
সুস্থ দেহে বেড়ে উঠুক
এটাই এখন চাওয়া,
মানুষের মত মানুষ হলে
সেটাই পরম পাওয়া।
টুনকুকে বাড়িতে আনা হয়েছে জেনে খুবই খুশি হলাম দাদা। ছোট বাচ্চারা বাড়িতে এলে ঘর আলোতে ভরে ওঠে। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো দাদা।
টুনকু সুস্থভাবে বেড়ে উঠুক এই সুন্দর পৃথিবীতে। বড় হয়ে বাবার মত মানুষ হোক, এমনটাই আশীর্বাদ করছি কাকু হিসাবে। টুনকুর জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো।
নতুন অতিথির আক্রমণে বাড়ি যেন আরো সুন্দর ভাবে সেজে উঠেছে। আসলে বাড়ির সৌন্দর্য এই ছেলে মেয়েগুলোই। যাইহোক টিনটিন বাবু তার ভাইকে পেয়ে অনেক খুশি সে কেক কেটেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। বাবু সুস্থতা কামনা করছি।
ভাইয়া,আগমন টা আক্রমণ হয়ে গেছে।
শুভকামনা রইলো দাদা ছোট বাবু সোনার জন্য। খুব ভালো লাগলো বাবুসোনার সব কিছু রিপোর্ট নরমাল এসেছে জেনে। সব কিছু ঠিক ছিলো জন্য তাকে নিয়ে বাড়িতে আসতে পেরেছেন। বাড়িতে খুব সুন্দর বরনের আয়োজন করেছেন।হাসপাতাল থেকে নতুন অথিতিকে নিয়ে বাড়িতে আসলে সবার মনে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।বৌদি ও বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো।
লেখার মধ্যেও যে লেখকের আনন্দ প্রকাশ পায়, তা এলেখায় হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গিয়েছে। টুনকুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
টুনকু সুস্থভাবে বাড়ি এসেছে জেনে ভালো লাগলো। টুনকুর গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে ছোট্ট একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। ছোট্ট টুনকুকে পেয়ে বাড়ির অনেক আনন্দিত। টুনকুর সব রিপোর্ট নরমাল জেনে ভালো লাগলো। বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইল দাদা।
বাড়ির ছোট কর্তা টুনকুর নিজ গৃহে প্রবেশ খুব ধুমধাম ভাবেই হয়েছে। ছোট দিদিমনি খুব সুন্দর ভাবেই সব কিছু সাজিয়েছেন। তবে টুনকুর বড় দাদা ভাই বেঁচে থাকলে কত খুশি হতো। যায়হোক টুনকুর সুস্থতা ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি। ধন্যবাদ।
টুনকু একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে বড় হয়ে উঠুক এই দোয়া করছি। ছোটকর্তা তার বাসায় রাজকীয় ভাবে গৃহপ্রবেশ করলো, দেখেই তো ভালো লাগতেছে। এই পোষ্টটা টুনকু বড় হয়ে দেখলে, সে আরো বেশি খুশি হয়ে উঠবে।
কিছু স্মৃতি এইভাবেই ব্লকচেইনে রয়ে যাক। 😍
বেশ ধুমধাম ভাবে টুনকু বাড়িতে তোলা হয়েছে।টুনকু সুস্থ আছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আশা করছি সে সব সময় সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকবে। তার জন্য দোয়া রইল, সে যেন বড় হয়ে একজন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।তার সাথে টুনকু এর বাবা মায়ের জন্য ও দোয়া রইল।