মজার পিকনিক!!steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আমি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আজ রাজহাঁস দিয়ে পিকনিকের গল্প শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। সেদিন কিভাবে রাজহাঁস ম্যানেজ করেছি সে গল্প শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। দিনটি খুবই ভালো ছিল আর পুরো মুহূর্তটা আমরা বেশ ইনজয় করেছি। সেদিন রাজহাঁস নিয়ে এসে আমরা পিকনিকের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম।

এবার আমাদের পিকনিকের লোকেশন টা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা তেমন ভালো লোকেশন পাচ্ছিলাম না পিকনিক করার মত। এরপর রতন কাকা আমাদের বাজারের হোটেল ম্যানেজ করে দেয়। হোটেল ওয়ালা দোকান বন্ধ করার সময় চাবি আমাদের কাছে দিয়ে যায়। হোটেলের চুলা ব্যবহার করে রান্না করবো আর খাওয়া দাওয়া সব ভিতরেই করব। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো হলো। বাইরে কোথাও যাওয়া লাগবে না ভিতরেই সব কিছুর ব্যবস্থা আছে। কোন কিছু টানাটানি করারও কোন প্রয়োজন নেই সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে ভিতরে। যাইহোক লোকেশন ম্যানেজ হওয়ার পর আমরা বাজার সদাই সব করে ফেললাম।

1683259088055-01.jpeg

1683259041610-01.jpeg

1683259057076-01.jpeg

বিকেলটা খুবই সুন্দর ছিল। সুন্দর বিকেলে আমরা বাজারের মধ্যে গিয়ে কাঁচা বাজার সদাই, মসলা, চাউল, তেল সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনে ফেললাম। তিন কেজি ওজনের একটা দই ও রেখেছিলাম। আর আমাদের হাসির ওজনটা ৩.৯ কেজি হয়েছে। আমরা মানুষ ছিলাম টোটাল দশ জন। যাইহোক সবকিছু রেডি হওয়ার পর আমরা রাত নয়টা থেকে কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। তখন বাজার আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করেছে। আর আমরাও সবাই চলে এসেছি জায়গা মত। এরপর জমিয়ে বেশ আড্ডাও দিচ্ছিলাম রান্নাও হচ্ছিল। মাঝে আমি আমার বন্ধু আর এক ছোট ভাই দুটি বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম। চাঁদনী রাত ছিল, সবাই রান্না করছে আর আমরা ফাঁকা রাস্তায় খুব ধীরে ধীরে বাইক চালিয়ে সাথে একটা গান শুনতে শুনতে গল্প করছিলাম আর এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম।

1683260807902-01.jpeg

মুহূর্তটা খুবই সুন্দর ছিল। পরিবেশটা ঠান্ডা, আইয়ুব বাচ্চুর একটি জনপ্রিয় গান, চাঁদনী রাত, ধীরে ধীরে ফাঁকা রাস্তায় বাইক চালানো সব মিলিয়ে দারুন একটি মুহূর্ত। আমরা বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর আবার চলে এসেছিলাম পিকনিক স্পটে। হাঁসের মাংস রান্না হতে বেশ দেরি হচ্ছিল। অনেক সময় ধরে জ্বালানোর পরেও সহজে সিজতেছিলো না। আমাদের সার্কেলের মধ্যে একজন ভালো রাধুনী আছে। পিকনিক হলে ওই রান্না করে। ওর হাতের রান্নাটা বেশ মজার লাগে।

1683260688968-01.jpeg

1683260711711-01.jpeg

1683260730677-01.jpeg

1683260676182-01.jpeg

1683260635835-01.jpeg

1683260654947-01.jpeg

এরই মাঝে আমাদের মাথায় ভূত চেপেছিল আম খেতে হবে। গতদিন এই আম খাওয়ার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আম খাওয়া শেষ করে আমরা আরো প্রায় আধা ঘন্টার মত অপেক্ষা করেছিলাম রান্না শেষ হওয়ার জন্য। আসলে বেশি দেরি হয়ে যাচ্ছিল ওই হাঁস সহজে না সেজার জন্য। যাইহোক অবশেষে রান্না শেষ হলো আর আমরা সবাই চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে পড়লাম।

আমরা লাস্ট যেদিন পিকনিক করেছিলাম চিনা হাঁস দিয়ে সেদিনের মাংসটা যেমন টেস্ট হয়েছিল আজকের মাংসটা ও সেরকম টেস্ট হয়েছে। জাস্ট অসাধারণ। এর থেকে ভালো রান্না আর বোধহয় হয় না। একদম পারফেক্ট, সবাই প্রশংসা করতেছিল। আর এই স্বাদ ভবিষ্যতে আরো একবার রাজহাঁস দিয়ে পিকনিক করার ইচ্ছে জাগিয়ে দিল। যাইহোক আমি সেদিন প্রচুর খেয়েছি। তিনবার ভাত নিয়েছি, সাথে মন মতো মাংস খেয়েছি।

1683260758481-01.jpeg

1683260745450-01.jpeg

1683260792298-01.jpeg

1683260776911-01.jpeg

কোন কিছুই কম কম করে খেতে হয়নি। সবকিছুই বেশি বেশি ছিল। সবাই একেবারে কব্জি ডুবিয়ে তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে। মাংস দিয়ে ভাত খাওয়া শেষ করে শেষে ছিল সেভেন আপ আর দই। দই খেয়ে খাবারের ফিনিশিং দিয়ে দিলাম সবাই। রাত তখন বারোটা বেজে গেছে। বাজারে শুধুমাত্র আমরাই ছিলাম। খুব পারফেক্ট একটা পিকনিক শেষ করলাম। এরপর হোটেলে সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখে বেরিয়ে আসলাম আমরা। এরপর যার যার বাড়িতে সে সে চলে যাওয়ার পালা। আর এরই মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল আমাদের পিকনিক। মনে রাখার মতন একটি পিকনিক ছিল। আশা করি গল্পটি শুনে আপনাদের ভালো লাগছে। আমি তাহলে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

ভাই প্লেটে হাঁসের মাংসের রেসিপির ছবি তুলেছেন আর তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার কথা বলছেন এখন তো আমার মনের মধ্যেও টং টং করছে 🤦
এমন ভরপুর খাওয়া দাওয়া শেষে আবার দই আর সেভেন আপের ব্যবস্থা আহ কি খাওয়া 😋 যাই হোক আপনার উপভোগ করা মজার সময় টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

তুমি তো ভরপুর মারলে 😜

 2 years ago 

😁😁😁

 2 years ago 

পিকনিক করার মজাই আলাদা আপনি পিকনিক করার শুরু থেকে শেষ অব্দি চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পরে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই চাঁদনী রাতে বাইকে করে ঘুরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে যদি আস্তে আস্তে বাইক চালানো হয় আর সাথে প্রিয় গান মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ ঠিক সেরকমই একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন সেদিন বোধহয় যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

তুমিতো সেই মারা মারলে 😅

 2 years ago 

ভাই,ছোট বেলা থেকেই মারার অভ্যাস,না মারে থাকতে পারি না😀😀

 2 years ago 

খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পিকনিকের অনুভূতি গুলো পড়ে। হোটেলে রান্না খাওয়া দাওয়া এটা বেশ ভালোই হলো।চিনা হাঁস দিয়ে যখন পিকনিক করেছিলেন সেই স্বাদ আর রাজহাঁসের স্বাদ একই রকম মজার লেগেছিল আপনার কাছে।যদিও আমি চিনা হাঁস কখনও খাইনি। তবে রাজহাঁস খেতে বেশ মজার। আপনাদের রান্নার কালার দেখেই তো বুঝতে পারছি খেতে ভীষণ মজার হয়েছে। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

প্রথমত বলবো যে হাসেঁর মাংস আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় ৷ বিশেষ করে ভূনা করে খেতে যে এতো পরিমান টেষ্টি সত্যি না খেলে বোঝা যাবে না ৷ যা হোক রতন কাকার হোটেলে পিকনিক আয়োজন চিনা হাঁস দিয়ে ৷ সবমিলে ভালোই একটা পিকনিক আয়োজন করেছেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷

 2 years ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

ভাইয়া হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক শুনাই তো লোভ লেগে গেল। আর আপনাদের সার্কেলের মধ্যে থাকা সেরা রাধুনী সত্যিকার অর্থেই বোধ হয় খুবই মজার রান্না করেছেন। রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই স্বাদ হয়েছিল। পিকনিকের আয়োজন শুনলেই আমারও পিকনিক আয়োজন করার প্রবণতা বেড়ে যায়। যাইহোক সবকিছুই বেশি বেশি করে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। মজার পিকনিক নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সত্যি দারুণ হয়েছিল রান্নাটা । স্বাদ মুখে লেগে থাকার মত।

 2 years ago 

আহ! কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম, স্মৃতির গভীরের থাকা সেই মজার মুহুর্তগুলো যেন আবার ভেসে উঠলো। তবে এটা সত্য বাহিরের পরিবেশে পিকনিকটা একটু বেশী মজার হয়। তবে যেহেতু উপযুক্ত পরিবেশে হোটেলে রান্না করার সুযোগ পেয়েছেন সেহেতু পরিশ্রমটা একটু কম হয়েছে। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার জন্যই তো এই ব্যবস্থা হি হি হি। ভাবিকে দেখাতে হবে এটা কেন বাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে খেতে দেয় না, হা হা হা।

 2 years ago 

ভুঁড়ি বেড়ে যাচ্ছে তো তাই বাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে খেতে দিচ্ছে না। 😜

স্মৃতির গভীরের থাকা সেই মজার মুহুর্তগুলো যেন আবার ভেসে উঠলো।

এই দিনগুলোর কথা স্মৃতি হয়ে থাকবে। সত্যি অনেক মজা এমন পিকনিকে। 😘

 2 years ago 

ভাইয়া, চাঁদনী রাতে খুবই জমজমাট একটি পিকনিক করেছেন আপনারা। আপনাদের পিকনিকের কথাগুলো পড়তে পড়তে আমি জানো পিকনিকের জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে "সেভেন আপ" শব্দটি চোখে পড়তেই মনটা খারাপ হয়ে গেল এবং অন্য একটি কথা মনে হয়ে গেল। যাহোক ভাইয়া, এখন থেকে পিকনিক করলে সেভেন আপ এর পরিবর্তে অন্য ধরনের কোল্ড ড্রিংকস এর ব্যবস্থা করবেন। অত্যন্ত জমজমাট একটি পিকনিক করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আজ কিন্তু একটি অন্য রকমের আইডিয়া পেলাম। হোটেলের ভিতর পিকনিক। কি ইউনিক একটি ব্যাপার তাই না। চুরি করা রাজহাঁস দিয়ে হোটেলের ভিতর পিকনিক দেখেই তো বুঝা যাচেছ যে বেশ সুন্দর মূহুর্তই কাটিয়েছেন। আবার নাকি চাঁদনি রাতে বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরিও করেছেন। এত লোভ লাগাচ্ছেন কেন ভাইয়া। বেশ ভালো ছিল আজকের পোস্টটি।

 2 years ago 

হাঁস চুরি করে তো পিকনিক করিনি। আপনি সম্ভবত পোস্টের শেষের অংশটুকু দেখেই কমেন্ট করেছেন।

 2 years ago 

জীবনে প্রচুর খেতে হবে, খেতে হবে প্রচুর হাঁসের মাংস। আহা রাজ হাঁসের মাংসের যেমন স্বাদ তেমন কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। এমন খাওয়া যেন জীবনে বারবার ফিরে আসে আপনার। আমি আবার রাজহাঁসের মাংস খুব একটা বেশি খেতে পারিনা। আমি যখনই রাজহাঁসের মাংস খেতে বসি তখনই মনে হয় গামলাটা একবারে ফাঁকা করে দিই 😋 কিন্তু চারপাশে তাকালে আর ফাঁকা করা হয় না।

 2 years ago 

রাজহাঁস ম্যানেজ করার গল্প পড়েছিলাম।লোকেশন টা তো খুব ভালো হয়েছিল,যেহেতু একটা হোটেল ছিল।তাই সবকিছুর ব্যবস্থা ছিল।আলাদা করে ঝামেলা হয়নি।রতন কাকা আপনাদের বেশ উপকার করেছেন তাহলে।যাক আম খাওয়া শেষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হলেও রান্না ভালো হয়েছিল।আর সবাই অনেক মজা করেই খেয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।